আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিশীথ সূর্যের দেশে- এক


গেল সামারে নিশীথ সূর্যের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম এক ঝটিকা সফরে। যদিও আমি এখন যেই দেশে থাকি সেটাকেও নিশীথ সূর্যের দেশ বলা যায় তবুও কোন ছোটতে মামা/চাচা/ খালা কারো বিসিএস গাইডে পড়েছিলাম নিশীথ সূর্যের দেশ হল নরওয়ে, সেই থেকে মাথায় গেঁথে গেছে নরওয়ে নামটা। আর সত্যি বলতে কি এই অতি রোমান্টিক নামকরণের জন্যই আমার নরওয়ে যাবার বিশাল আগ্রহ ছিল সবসময়েই।
ঝটিকা সফর মানে একেবারেই অল্প দিনের জন্য সব মিলিয়ে তিন রাত আর চার দিন ছিলাম নরওয়ের বিভিন্ন শহরে। শুনতে মনে হচ্ছে অল্প সময় কিন্তু এর মাঝেও আমাদের সফর ছিল ভীষণ মজার আর পদে পদে ঝামেলার আর বেশী ঝামেলার জন্যই বেশী রোমাঞ্চকর ও বটে।


যখন নরওয়ে নিয়ে মনে আগ্রহ তৈরি হয় তার পিছনের কারণটা ছিল -বাপরে এমন অদ্ভুত দেশ রাতের বেলায় সূর্য উঠে, তারপরে মনে পড়ে প্রোফেসর শঙ্কুর কোন গল্পে পড়েছিলাম নরওয়ে নিয়ে কোন অভিযানের গল্প, রহস্যময় প্রাণী লেমিংএর গল্প, আরেকটু বড় হয়ে জানলাম পৃথিবী বিখ্যাত ফিয়র্ডগুলোর সৌন্দর্যের কথা, উপরি পাওনা দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়সারি, নরওয়েজিয়ান সমুদ্র, তার সাথে রহস্যময় অরোরা (ফিনল্যান্ডের উত্তর থেকেও দেখা যায় তবুও নরওয়ের ট্রমসোর অরোরা ভুবন বিখ্যাত। ) সবমিলিয়ে নরওয়ে সবসময়েই ছিল আমার ড্রিম কান্ট্রি।
ফিনল্যান্ডে আসার পর বারবার নরওয়ে যেতে চেয়েছি, বারবার প্ল্যান করা হয়েছে কিন্তু কোন না কোন কারনে শেষ পর্যন্ত প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হয়নি,অন্য কিছু দেশ ঘুরা হয়েছে কিন্তু স্বপ্ন দেশটাতেই ঘুরার সুযোগ হচ্ছিল না।
এভাবেই কাটছিল সময় শেষ পর্যন্ত যাওয়া হত কিনা জানিনা,কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সুযোগ এসে গেল। গেল এপ্রিলে হেলসিঙ্কি গেছিলাম বন্ধু ফয়সাল আর তার সহধর্মিণী মৌএর বাসায়।

সেখানেই খাবার পরে বেশ আড্ডা হচ্ছিল আরেকবন্ধু সুমি সহ। হঠাৎ ফয়সাল প্রস্তাব দিল নরওয়ে যাবেন নাকি?
যাবেন নাকি মানে? আলবৎ যাব, অবশ্যই যাব, লাফ দিয়ে উঠলাম।
যাওয়া হবে মিড সামারের ছুটিতে। শুনলাম সে আর মৌ ইতিমধ্যেই প্লেনের টিকিট কেটে রেখেছে তাদের জন্য আগেভাগেই। সে সময়টাই বেশ সস্তায় হেলসিঙ্কি-অসলো টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল তাই মৌ এর জন্মদিন উপলক্ষে তাদের প্ল্যান ছিল নরওয়ে যাবার মাঝখান থেকে আমরা দুইজন ও ঢুকে পড়লাম ।

কিন্তু মূল খরচটা তো আসলে হবে নরওয়ে যাবার পরে। নরওয়ের অসলো পৃথিবীর অন্যতম ব্যয় বহুল দেশ কিনা।
সে যাই হোক প্ল্যান করে ফেললাম । আমাদের জার্নি প্ল্যানটা হল হেলসিঙ্কি-অসলো- স্টাভাঙ্গার-বারগেন-অসলো-হেলসিঙ্কি... তিন রাত চার দিনের জন্য প্ল্যানটা একটু টাইট বটে। ঠিক করলাম এই তিন রাতের এক রাত হোটেলে থাকব আর বাকি দুই রাত ট্রেনে ট্রেনে এক শহর থেকে আরেক শহর।

যাচ্ছি একদম মধ্যে সামার মানে জুনের মাঝামাঝি সুতরাং রাতের সময়সীমা খুব কম তখন, তাই রাতের ট্রেনের জার্নি হলেও দুইপাশের দৃশ্য দেখতে কোন সমস্যায় হবার কথা না।
যা বলছিলাম আমি লাফ দিয়ে উঠলাম অবশ্যই যাব, সব মিলিয়ে আমরা গ্রুপে ৪ জন হলাম। সমস্যা হল আমাদের প্লেনের টিকিট কাটতে গিয়ে। ফয়সাল মৌ এর টিকিট ফিন-এয়ারে ইতিমধ্যে কাটা হয়ে গেছে, কিন্তু ফিন এয়ারে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি সব টিকিট বুক আর আমার ট্যাঁকেও কোন পয়সা নাই। বাঙালির অগত্যা ধার করায় ভরসা।

টাকা ধার করে আমরা টিকিট কাটলাম নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইনসে। ভরসার কথা হল দুটা ফ্লাইট কম বেশী একই সময়ে ছাড়বে, কিন্তু আমরা অসলো পৌঁছাব অল্প কিছু আগে।
আমাদের পরিকল্পনা ছিল এমন যে আমরা ২১ শে জুন স্থানীয় সময় ভোর ৭.৩০এ অসলোতে পৌঁছাব, সেখানে সারাদিন ঘুরাঘুরি করে রাত ১১ টার ট্রেনে স্টাভাঙ্গারের উদ্দেশে রউনা দিব। পরদিন অর্থাৎ ২২শে জুন সকাল ৬ টায় স্টাভাঙ্গারে পৌঁছে সেখানে সারাদিন ঘুরাঘুরি, আর সেখানেই রাতে হোটেলে অবস্থান, তারপরের দিন ২৩শে জুন সকাল সকাল বাসে করে বারগেনের উদ্দেশে ভ্রমন, বারগেন পৌঁছে সারাদিন সেখানে ঘুরাঘুরি করে রাত ১০.৩০ এর ট্রেনে আবার অসলো প্রত্যাবর্তন। সব মিলিয়ে খুবই টাইট শিডিউল, সারাক্ষণ রাস্তায় রাস্তায় ভ্রমন।


খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম, উত্তরে ট্রমসো পর্যন্ত যেতে পারলে আরও বেশী ভাল লাগত কিন্তু যা হবে তাই বা কম কিসে!
অসলো তে অসলো ফিয়র্ড আর বিভিন্ন মিউজিয়াম সহ শহর দর্শন , স্টাভাঙ্গারের লুসে ফিয়র্ড, প্রেকেস্টলেন আর কেইরাগ পর্বতমালা, পালপিট রকের পৃষ্ঠে আহরন, বারগেনের পৃথিবী বিখ্যাত ফিয়র্ড দর্শন, উল্রিকেন পর্বতপৃষ্ঠে কেবল কারে চড়ে ভ্রমন সব মিলিয়ে যখনি ভাবছিলাম খুব রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম। তখন এপ্রিল মাস সামনে আরও মাস দুয়েক বাকি স্বপ্নের ভ্রমনের, টিকিট কাটা শেষ তাই নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেছিলাম, এইবার আর কোন ছাড়াছাড়ি নাই, যাওয়া হবেই হবে।
এমনিতেই যাচ্ছি পৃথিবীর অন্যতম ব্যয় বহুল দেশে তারুপরে আমাদের ইচ্ছা প্রচুর ঘোরাঘুরি করার, তাই বুঝতেই পারছিলাম জলের মত পয়সা খরচ হবে, ভেবেছিলাম এই দুইমাসে টাকা জমিয়ে রাখব। কিন্তু ঐ যে বলেনা মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক, আমার কপালেও তাই হল তাম্পেরে ফেরার পর থেকে শুরু হল আমার মোটামটি শনির দশা। এমন অবস্থা হল যাওয়া হয় কিনা সেটাই প্রশ্নের মুখোমুখী পড়ে গেল।


ফেরার পর পরেই বাসায় চাবি হারিয়ে ফেললাম, বাসা কোম্পানিকে গুচ্ছের টাকা জরিমানা দিয়ে নতুন চাবি নেওয়া লাগল। বেশী কষ্ট হচ্ছিল এই জন্যই যে তার অল্প কিছুদিন পরেই আমার নতুন বাসায় উঠার কথা, সেখানেও একগাদা টাকা জামানত দিতে হল, সব মিলিয়ে টাকা জমাব কি আমার তখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। তখন মে মাস, এর মাঝে হঠাৎ মনে পড়ল আমার ফিনল্যান্ডের ভিসা শেষ হয়ে গেছিল মার্চের শেষে, আমি যদিও মার্চের শুরুতেই অ্যাপ্লাই করেছি ভিসার জন্য নিশ্চয় জুনের ২১ তারিখ আসার আগেই ভিসা পেয়ে যাব।
একবার ভিসা অফিসে গেলাম ও, ওরা বলল এখনও আমার ফাইল ওপেন করেনি, জানালাম আমি মধ্য জুনে বেড়াতে যাব। কথা দিল জুনের আগেই হয়ে যাবে আশা করি।

আমিও ওদের কথা বিশ্বাস করে নিজের কাজে লেগে গেলাম। তখন আমার পড়াশুনার সাংঘাতিক প্রেসার চলছে। জুনের ১৪ তারিখ গ্রাজুয়েশন পার্টিতে যোগ দিব ভেবে রেখেছি। কিন্তু তার আগে থিসিসের কিছু টুকি টাকি কাজ বাকি, আর কিছু কোর্সের পরীক্ষা। নরওয়ের কথা ভুলে গিয়ে ব্যস্ততায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম।

এত ব্যস্ত সময় কাটছিল পড়াশুনা, রিসার্চ আর কাজ নিয়ে অন্যকোন ভাবনা মাথায় আসার সুযোগ পায়নি।
জুনের ১০ তারিখে গিয়ে মনে হল আমি তখনও ভিসা পাইনি। ভিসা না পেলে ফিনল্যান্ড ছাড়ব কিভাবে ?
কোনমতে সময় বের করে ভিসা অফিসে আবার গেলাম। এবারও সেই একই উত্তর। এখনও ফাইল ওপেন করেনি।

আমার তো তখন পুরাই মাথায় হাত কারন এখন ভিসা কার্ডে দেয়, ডিসিসান হলেও কার্ড বানাতে প্রায় দিন সাতেক লেগেই যায়। এর মাঝে উইকএন্ড আছে, তার উপরে আবার বুধবার বিদেশীদের ভিসা সংক্রান্ত কোন কাজ এরা করেনা।
অফিসারের কথা শুনে আমি প্রায় কেঁদে ফেলি এমন অবস্থা। ওকে বুঝিয়ে বললাম দেখো, আমার টিকিট কাটা হয়ে গেছে যেভাবেই হোক জুনের বিশ তারিখের মধ্যে আমার ভিসা লাগবে। আমার কথা শুনে সেও চিন্তায় পড়ে গেল বলল এক কাজ কর তোমার টিকিটের কপি দিয়ে যাও আমি দেখি কি করা যায়।

ওদের ও হয়ত দোষ নাই, আসলে অনেকেই তাড়াতাড়ি ভিসা পাবার জন্য বেড়াতে যাচ্ছে এমন মিথ্যা বলে থাকে তাই ওরা এখন প্রমান ছাড়া কোন কেসই জরুরী ভিত্তিতে দেখেনা। আগে জানলে তো আমি সেই মে মাসেই টিকিটের কপি দিয়ে যেতে পারতাম।
দৌড়ে ল্যাবে আসলাম টিকিট প্রিন্ট আউট নেবার জন্য এসে দেখি ল্যাবের দুইটা প্রিন্টারই নষ্ট। এবার মেইন কাম্পাসে গেলাম কম্পিউটার রুম থেকে প্রিন্ট নেবার জন্য, সেখানে গিয়ে দেখি গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সবই বন্ধ। অগত্যা এক বড় আপুর ল্যাবে গিয়ে প্রিন্ট নিয়ে এসে দেখি সেই অফিসার সেদিনের মত ছুটি নিয়ে চলে গেছে।

আমি ঠিক করলাম অন্য কারো হাতে না দিয়ে ঐ অফিসারের হাতেই দিব আমার টিকিট কারন তাকে আমার প্রতি বেশ সহনুভুতিশীল মনে হয়েছিল। গ্রাজুয়েশনের আগে তখনও একটা পরীক্ষা বাকি তার মধ্যেই ভিসা নিয়ে এই ছুটাছুটি। কি আর করা পরদিন সকালে উঠে আবার গেলাম, অফিসারের হাতে টিকিট দিলাম। ও আমাকে বলল ও চেষ্টা করবে ২০ তারিখের মধ্যেই যেন আমি ভিসা পাই তার ব্যবস্থা করতে, কিন্তু এটাও বলল, সে কথা দিতে পারছেনা।
তখন আমার এমন অবস্থা চলছিল দুঃখ করার ও টাইম নাই।

ডিগ্রির সব ঝামেলা মিটে গেল শুক্রবার মাঝে দুই দিন ছুটি, ভিসা অফিসে আবার গেলাম ১৭ তারিখ সকাল বেলায়। শুনলাম ডিসিসান নেওয়া হয়েছে কার্ড বানাতে দিয়েছে এখনও কার্ড আসেনি। জানতে চাইলাম কবে আসবে কার্ড, বলল মিনিমাম সাত দিন লাগবে। আবার কাঁদো কাঁদো অবস্থা, এবার ছিল অন্য অফিসার কিন্তু তার দেখলাম দয়া হল প্রানে। কাকে জানি ফোন করল বলল তারা চেষ্টা করবে।


সেই সময়টা কোথায় আমার অন্যদের সাথে নরওয়ে নিয়ে প্ল্যান করার কথা তা না দুনিয়ার দুশ্চিন্তা মাথায়, খালি মনে হচ্ছিল হয়ত আর যাওয়া হবেনা। ওরা তিন জন চলে যাবে, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াবে আর আমি ফিনল্যান্ডে পচে মরব ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। ওরা তাই ওদের মত গোছগাছ করছিল, আমার সাথে আলাপ করতে চাইলেও আমি আগ্রহী হইনি আগে বাবা ভিসার ব্যাবস্থা হোক, তারপর অন্য চিন্তা।
১৮ তারিখ আবার গেলাম। এবারও নেতিবাচক উত্তর।

এখনও কার্ড আসেনি।
আমার অবস্থাটা বুঝুন ২১ তারিখ খুব ভোরে ফ্লাইট হেলসিঙ্কি থেকে, ২০ তারিখ সন্ধ্যায় হেলসিঙ্কি যেতেই হবে তাই, ১৯ তারিখ বিদেশীদের ভিসা সংক্রান্ত কাজ কর্ম বন্ধ আর ওরা বলে ১৮ তারিখ ওদের হাতে কার্ড আসেনি।
যদি ১৮ তারিখে কার্ড হাতে পাই এই আশাতেই সারাদিনে চার বার গেলাম ভিসা অফিসে, বারবার একই উত্তর। আমি তখন মোটামটি নিশ্চিত আমার আর স্বপ্নদেশে যাওয়া হচ্ছে না কোনভাবেই।
১৯ তারিখ তো কোন কাজ হবার কথা নয় এই ভেবে মনমরা হয়ে ঘুরছিলাম, ফয়সাল দুইবার ফোন দিয়েছে ভিসার খবর জানার জন্য ফোন ধরিনি।

বিকালের দিকে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসল, ধরেই দেখি ভিসা অফিস থেকে ফোন করেছে, পরদিন সকাল অর্থাৎ ২০ তারিখ সকালে যেন ভিসা নিয়ে আসি।
কিভাবে বুধবারে ফোন পেলাম জানিনা (বুধবারে ভিসা অফিস খোলা থাকে শুধু বিদেশীদের বিভাগ বন্ধ থাকে ), মনে হয় আমার প্রয়োজনটা ওরা বুঝতে পেরেছিল। সে যাই হোক বুকে পানি পেলাম। পরদিন সকাল সকাল ভিসা নিয়ে আসলাম, এরপর ব্যাগ গোছান, মাঝে প্রফেসরের সাথে দেখা করা, ল্যাবে যাওয়া, তারপর কাজে যাওয়া সব মিলিয়ে দিনটা চোখের পলকে উড়ে গেল।
অবশেষে সন্ধ্যা ৭.৩০ এর ট্রেনে চড়ে বসলাম হেলসিঙ্কির উদ্দেশে।

নরওয়ের উদ্দেশে আমার যাত্রার পালা শুরু হল।
(আমরা যে শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যিই নরওয়ে গেছিলাম আর পুরো জার্নিটা ছিল ভীষণ রোমাঞ্চকর তার প্রমান স্বরূপ কিছু ছবি দিলাম। এই পর্বে কোনটা কিসের ছবি তার ব্যাখায় গেলাম না, পরের পর্বে ছবি সহ বিস্তারিত বর্ণনা আসবে। )
চলবে.......
১)
[img][/img]
২)
[img][/img]
৩)
[img][/img]
৪)
[img][/img]
৫)
[img][/img]
৬)
[img][/img]

সোর্স: http://www.sachalayatan.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।