আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনুষ্যত্ব আমার বিশ্বাস, মানবতাইআমার ধর্ম



আলো অন্ধকারের বিপরীত। অন্ধকারে বস্তু
দেখা যায় না কিন্তু আলোতে বস্তু দেখা যায়।
পৃথিবীর নিজেস্ব আলো নেই। মূলত
পৃথীবি অন্ধকারময়। সূর্যের
আলোতে পৃথীবি আলোকিত হয়।

অর্থবহ হয়
আমাদের পৃথীবি। জীবনের বিকাশ ঘটে আলোতে।
আর সকল আলোর উৎস সূর্য। তাই মানুষ
সূর্যকে মনে করেছে দেবতা।
পূজা অর্চনা করেছে তার।


চন্দ্র-সূর্য নয়, সাগর-মহাসাগর নয়, নয় পাহাড়-
পর্বত বরং এর
নেপথ্যে যিনি সবকিছুকে সৃষ্টি করেছেন।
তিনি হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা, বিধাতা, প্রভূ।
মূলতঃ তিনিই হচ্ছেন এক বিশাল ক্ষমতাধর নূর
বা আলো। সকল আলোর উৎস। আর এই
আলোর সন্ধান মেলে জ্ঞানার্জন ও শিক্ষার
মাধ্যমে।

তাইতো আমরা বলি শিক্ষাই আলো।
কিন্তু কি জন্যে যে বলি এই শিক্ষাটুকুই
আমাদের মধ্যে নেই।
নাস্তিকতার (Atheism) ভয়ংকর ছোবল যেন
পৃথিবীটাকে ছেয়ে ফেলেছে। আমাদের সমাজে ও
সেই ঢেউ লেগেছে। সৃষ্টিকর্তার সকল
সৃষ্টিকে বিশ্বাস করলে ও
তারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না।

সৃষ্টকর্তার
কোন অস্তিত্বই তারা বিশ্বাস করে না।
তাইতো সমাজে সাম্প্রদায়িকতার চেতনায়
ব্যাঘাত ঘটছে। সৃষ্টকর্তার কাছে এই ব্যক্তিদের
জন্যে আমরা প্রার্থনা করি যেন
তারা সৃষ্টকর্তার অস্তিত্বকে মেনে নেয় অর্থাৎ
বিশ্বাস করে।
অপর দিকে সমাজে এক শ্রেনির
দেউলিয়া বাহিনী ধর্ম নেশায় নেশাগ্রস্থ
হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মনে হয় তারা সৃষ্টকর্তার
আত্মীয়স্বজন।

সৃষ্টকর্তার সকল তত্ত্ব
তারা জানে। সৃষ্টকর্তা তাদেরকে নাকি ধর্ম
রসে বিগলিত করেছে।
তারা সৃষ্টকর্তা সম্পর্কে যেন সম্পূর্নই অবগত।
তাদের মতে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা নিয়মিত
নিয়মমাফিক নির্দিষ্ট ইবাদত
বা প্রার্থনা করলেই সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়া যায়।
কারন তাদের সৃষ্টকর্তা তাদের কাছে নাকি স্বীয়
বানী পাঠিয়েছে।

কিন্তু মানুষেরই হাতে লেখা।
আমি বরাবরিই বিশ্বাস করতে বিব্রত হই যে,
মানুষের হাতে লেখা বানী মানুষেরাই
কিভাবে সৃষ্টকর্তার
বানী হিসেবে মেনে নিতে পারে।
সভ্য সমাজের লজ্জা হওয়া উচিৎ যে,
আমরা আদিম সমাজের সেই
অলোকিকতাএখনো ও ভূলতে পারিনি। অসভ্য
সমাজের কুসংস্কারাচ্ছন্ন জীবনযাপন
এখনো ছাড়তে পারিনি। তাহলে আমরা সভ্য
হলাম কি করে? উত্তরাধিকার সুত্রে জমির
মালিক হলে যে কৃষক হতে হবে এরকম
তো কোথাও বলা নেই।

তবে কেন
আমরা আমাদের ধর্মীয়
গোঁড়ামি ছাড়তে পারিনা? উত্তরাধিকার
সুত্রে পেয়েছি বলে? তারা ভূল করে কালের
গহীনে হারিয়ে গেছে বলে কি আমরা ও তাদের
মত নিতান্তই বোকা থাকব?
আসলে যত সহজে বলা যায় তত
সহজে ছাড়া যায় না। সঠিক বুঝ মাথার
মধ্যে সহজেই ঢোকে না। বহু সাধনা করতে হয়।
নেশাগ্রস্থদের নেশার বস্তু ছাড়তে দেরি হয় ঠিক
তেমনি। বস্তুবাদি উন্নয়ন ছাড়া মানুষের
সমাজতান্ত্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

আর
বস্তুবাদী উন্নতির চরম অন্তরায় আমাদের
সমাজে প্রচলিত ধর্ম। আর এ জন্যেই
ধর্মকে আফিমের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
তাই এসব নেশার মধ্যে না ঢুকে সবাই
মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করার চেষ্টা করি। কারন,
মনুষ্যত্বকে জাগ্রত না করে বড় মাপের মানুষ
হওয়া যায় না। জীবে দয়া করা মনুষ্যত্বের প্রথম
সুর।

তাই সবাই আসুন, মনুষ্যত্বের পথের
পথিককে অনুসরণ করি। আর এ
জন্যে সকলকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত
হতে হবে। ছাড়তে হবে আমাদের নেশাগ্রস্থ
ধর্মীয় গোঁড়ামি, মৌলবাদীতা ও অলৌকিকতা।
আর বিশ্বাস করতে হবে বস্তুবাদীতে,
যুক্তিবাদীতে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।