আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদিবাসী গোষ্ঠী 'আশান্তি'

আফ্রিকার অনেকগুলো আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো 'আশান্তি'। ১৯০০ সালে ব্রিটিশদের সঙ্গে স্বর্ণকে কেন্দ্র করে এই গোষ্ঠীর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে আশান্তি গোষ্ঠীর স্লোগান ছিল: "যদি আমি যুদ্ধে যাই তাহলে মারা যাবো, যদি আমি পিছু হটি তাহলেও আমি মারা যাবো, তারচেয়ে যুদ্ধে যাওয়া এবং মৃত্যুকে বরণ করে নেয়া ভালো। "

ঘানার পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্য ঘানায় 'আশান্তি' গোষ্ঠীর বসবাস। আশান্তিরা খুবই নিয়মতান্ত্রিক এবং শক্তিশালী হিসেবে আফ্রিকায় পরিচিত।

নাইজার নদীর আশপাশের অঞ্চল থেকে স্থানান্তরিত হয়ে এরা কালক্রমে ঘানার পশ্চিমে এসে বসতি স্থাপন করে। এই দীর্ঘ যাত্রায় তারা স্বর্ণসহ বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবসা করে সম্পদশালী হয়।

'আশান্তি' গোষ্ঠীর দৈহিক বৈশিষ্ট্য হলো: এদের চেহারা হয় বহুরেখাযুক্ত। তারা বিশ্বাস করে যার চেহারায় রেখার সংখ্যা বেশি সে তার পূর্বসূরীদের কাছ থেকে তত প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বিদ্যা এবং শক্তি অর্জন করেছে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, সন্তানরা পিতার কাছ থেকে পায় সদগুণ, চরিত্র, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি।

আর মায়ের কাছ থেকে পায় রক্ত-মাংস। তাই আশান্তি সন্তানদের প্রতি মায়েদের অধিকার বেশি বলেও তারা মনে করে।

'আশান্তি' গোষ্ঠীর পরিবারিক বন্ধন বেশ অটুট আর গভীর। তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, বহুবিবাহ, জাতিগত দাঙ্গা নেই বললেই চলে। বর্তমানে কিছু 'আশান্তি' পরিবার শহরের আশপাশে বাস করে কিন্তু তাদের শেকড় রয়ে গেছে নাইজার নদীর তীরেই।

তাদের পরিবারের ছেলে সন্তানদের প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু হয় পিতার হাত ধরে। পিতা সন্তানদের জীবন, সমাজ, দেশ ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেন। আর মা শিক্ষা দেন বাদ্যযন্ত্র বাজানো বা নাচ ইত্যাদি।

তবে আফ্রিকাতে 'আশান্তি' আদিগোষ্ঠী বিখ্যাত চিত্রকর্মের জন্য। তাদের চিত্রকলার বৈচিত্র্যময়তা এবং ভিন্নধর্মিতা আফ্রিকার চিত্রকর্মের ইতিহাসে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে।

শরীরের নিম্নাঙ্গে পরিহিত কাপড়ে বিভিন্ন রংয়ের মিশ্রণে তৈরি নকশার জন্যও তারা খ্যাত। এই গোষ্ঠীর পুরুষরা নিজেদের পোশাক নিজেরাই তৈরি করে নেয়, আর এক্ষেত্রে তুলা তুলে এবং সুতা কেটে সহায়তা করে নারীরা। 'আশান্তি' নারী মৃৎপাত্রে নকশা করার কাজে বেশ দক্ষ।   

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.