আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আউলা কথা

আউলা কথা -যাযাবর জীবন আমারে মনে হয়ে মাঝে মাঝে ভুতে ধরে, নাইলে পাগলা কুত্তায় কামড়ায়; নাইলে কেন খামাক্ষাই শব্দ দিয়া মালা গাঁথার চেষ্টা করি? তাও সব আউলা ঝাউলা কথা, আর উল্টা পাল্টা শব্দের ব্যবহার। গেন্দার সাথে কখন যে বেলি ফুল মিশাই, গোলাপের সাথে ধুতুরা; আর সুতার তো কোন ঠিক ঠিকানাই নাই। সাদার সাথে মাঝে মইধ্যে হইলদা নাইলে সবুজ যখন যেইটা পাই হেইডা দিয়া গিট্টু মারি আর শব্দের মালা গাইত্থা যাইতে থাহি তার কোনো ঠিক ঠিকানা নাই, হুদাই হুদাই। মালা গাঁথা কখনো শেষ হয় কখনো অর্ধেক কইরা ফালাইয়া রাখি, কত মালা যে গাঁথার আগেই ফুল শুকাইয়া গেছে তার কোনো হিসাব নাই; কত মালা অর্ধেক গাইত্থা ফালাইয়া দিসি তারও কোনো হদিস নাই। কোন কথার সাথে কোন শব্দ মিলাইয়া যে গুরুচণ্ডালী পাকাই পড়তে গেলে নিজেই আউলা হইয়া যাই।

মাঝে মাঝে ভালোবাসার সাথে বিরহ মিশাই, মাঝে মাঝে মাইনসের দুঃখ কষ্ট দেইখা খামাখাই গালাগালি করি দেশের সিস্টেমরে। মাঝে মইধ্যে দুই চাইরটা মালা অন্য কারো জীবনের সাথে মিল খাইয়া যায়, মাঝে মইধ্যে দুই চাইরটা সত্যি কথা মিলা গেলে তাগো মনে, মনে লয় পিছে সুঁই বিন্ধায়; পাইলে তহনই আমারে তুইল্লা আছাড় মারবার চায়। খুব করুণ কিছু জীবনের ঘটনা যদি সুঁই সূতায় মিল্লা মালা হইয়া যায় ভাইঙ্গা পরে আকুল কান্নায়, যেন আমি কহন জানি চুরি কইরা তাগো জীবনের ঘটনা সব দেইক্ষা ফালাইয়া লেকছি, আমার ইনবক্স ভইরা মেসেজের বইন্যা বইয়া যায়। মাঝে মাঝে হুদাই আজাইরা কিছু কতা লেহি যা মনে আহে, কহনো কহনো মাইনসে এইসব হাবিজাবি পড়ে; দুই চাইরটা ভালো কথা কয়, তয় বেশিরভাগ সময় গাইল দেয়। যাই লেহি না কেন যেই মালাই গাঁথি না কেন, সাধারণ কথা কিংবা অসংলগ্ন কিছু; কেন যে মাইনসের ধারনা হয় আর বেশিরভাগ মাইনসে ভাইবা বইয়া থাহে এইগুলি বুঝি সব আমার নিজেরই কতা।

ছিড়া সূতায় উল্টা পাল্টা মালা গাইত্থা মাইনসের উপদেশের পাহাড়ের তলে চাপা পইড়া মরি প্রায়ঃশই। এখন মাঝে মাঝে ভাবি, নিজের কথাই যদি সব লেখতাম তাইলে তো মহাসাগরের অতল জলরাশির তলে ডুইব্বা মইরা যাইতে হইত উপদেশবাণীর জ্বালায়। মাঝে মইধ্যে ব্লগে গিয়া আউলা কথা লেইক্ষা ব্লগর ব্লগর করি। কত যে কতা লেহি কত মালা গাঁথি তার কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। কহনো দেশের সমইস্যা লইয়া, কহনো শীতার্ত মানুষগুলাইনরে লইয়া, কহনো বিবেক, কহনো মনুষ্যত্ব, কহনো প্রেম ভালোবাসা আর কহনো কিছু হুদাই আউলা কতা।

বেশিরভাগ সময় দেহি মাইনসে পড়ে তয় কোন কমেন্ট দেয় না, দুই চারজন ছাড়া - যারা চিনে আমারে। ডিজিট্যাল টি আর পি তে বিশেষ কইরা এইসব বিবেক, মনুষ্যত্ব, স্বাধীনতার চেতনা এইগুলি একদম নিচের দিকে থাকে। প্রেম ভালোবাসার কথাবার্তা তাও চলনসই। তয় মজার একটা বিষয় লইক্ষ্য করছি - নারী ও সেক্স লইয়া যহনি কোন একটা লেহা পুষ্টাই ঐটার টি আর পি যেন ডিজিট্যাল মিটার আউলা কইরা দেয়। মিটার মহাশয় মনে লয় হিসাব করতে গন্ডগোল পাকাইয়া ফালায়।

আর ওই সব পুষ্টে যদি খালি কমেন্ট এর বাহার দেকতেন তাইলে আপনারা নিজেরাও আঁতকা খাইয়া যাইতেন। যেন আমি একটা নারীমাংস খেকো নরপশু, কাপড়ের উপ্রে দিয়াই বেবাক দেইহা ফালাইছি। অথচ আমি নিজের চোহে দেকছি, এই সব সুশীল সমাজের বন্ধুরা আলিয়াস ফ্রসিস এ গিয়া অনেক মনোযোগ দিয়া অর্ধেক কাপড় খোলা নারী ছবির দিকে গভীর অনুরাগের দৃষ্টিতে চাইয়া থাকে, আর বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফালাইয়া কমেন্ট করে - বাহহহহ, কি এখখান ছবি না আঁকছে !!! ভাস্কর্য প্রদর্শনী তে গিয়া নারী মূর্তি গুলার দেহের প্রতিটা বাঁক যেন ম্যগনেফাইং গ্লাস দিয়া দেহে আর বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফালাইয়া কমেন্ট করে - ওয়াওওওওও এর হাতটা সোনা দিয়া বান্ধাইয়া রাকতে হইব। কি সৌন্দর কইরাই না শইল্যের বাঁক গুলাইন ফুডাইয়া তুলছে!!! আর ব্লগেও আমি খুব বালা কইরাই জানি এইতান সুশীল সমাজের মানুষগুলাইনই আমার টি আর পির চরমে পৌঁছাইয়া দিছে; যেই সব লেহা দিসিলাম ওইতান আছাল এহনকার সমাজের অল্প কিছু আউলা ঝাউলা বইখ্যা যাওয়া মাইয়াগো অসংলগ্ন কাপড় চোপড় লইয়া কটাক্ষ, কিংবা পরকিয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে দুই চাইরটা সাবধান বাণী লইয়া কিছু কতা কিংবা দুই চাইরটা ওই অতি দর্শনীয় আলিয়াস ফ্রসিস এর ছবির উপরে কিছু কবিতার লাইন লেখা। মাগো মাগো!!!!! কি দুষটাই না কইরছিলাম।

পারলে আমারে চিবাইয়া খায়, কোনো এক সুশীল ব্লগের ব্লগাররাতো আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনেই গেল যে নরপশুডারে ব্লগের থাইক্কা ব্লক মাইরা দেওয়া হোক। এডমিনের কাছে কি করুন আকুতি? টি আর পি আমার ডিজিট্যাল মিটারের কাঁটা ভাইঙ্গা ফালাইছে। এডমিন সাহেব সুশীল সমাজের আহ্বানে সাড়া দিয়া আমারে অই ব্লগের থাইক্কা ব্লকই কইরা দিল। হায় কপাল!!!! হায় হিপোক্রেসি!!! মনুষ্যত্ব আর বিবেকবোধ কিংবা পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়া লেখাগুলাতে কোন টি আর পি নাই, কোনো সাড়া শব্দ নাই; তহন বিবেক থাকে ঘুমাইয়া। আর যেই নারী নামে কোন একটা পুষ্ট দেহে সুশীল ব্লগাররা বেবাকতে পড়ে ঝাপাইয়া।

আরে কি জ্বালা হইলো? হুদাই আমি মনের আউলা ঝাউলা কথা গুলারে সাজাইয়া শব্দের কবিতা খেলতে যাই। হুদাই আমি বিবেক আর মানবতার কথা শব্দের মালায় গাঁথতে চাই, হুদাই আমি মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণের কতা কইতে যাই, হুদাই হুদাই সমাজের অসংলগ্নতার কথা কইয়া গাইল কুড়াই। মাথার ভিতরে হুদাই হুদাই আউলা ঝাউলা কথাগুলাইন ঘুরপাক খায়, শব্দ দিয়া কবিতার মালা গাঁথতে চায়। আমারে মনে হয় কবিতার জলাতঙ্কে পাইছে, মগজের ভিতরে কোনো একটা পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।