আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুঠোফোনে কায়দা কানুন

Shams হাতের মধ্যে ছোট্ট যন্ত্র। নেড়ে-চেড়ে কেটে যায় দিন। কথা বলতে বলতে কখন যেন ফুরিয়ে যায় ২৪ ঘণ্টা। তাতে কী! রাতেও তো সেই শয্যাসঙ্গী। মার কপালের ভাঁজ আরও গভীর।

বাবার মেজাজ তিরিক্ষি। অটোতে-বাসেও প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হয় লোকজনের গঞ্জনা। তবু এড়ানো যায় না এর মোহ। কেউ কিছু বললে, বয়েই গেল। আমরা বুঝি দরকার থাকতে পারে না কথা বলার! থাকতে পারে নিশ্চয়ই।

তবে সেটা অন্যের বিরক্ত উৎপাদন করলে তো মুশকিল। তোমার যতই রাগ হোক, একটু ভেবে দেখ তো, সারাদিন কানের সামনে কেউ যদি বকবক করে, কেমন লাগতে পারে। শুনতে না চাইলেও কানটা কিন্তু চলেই যায়। আর এতে অন্যের কাজকর্মের ক্ষতি হয়। মুঠোফোনের ব্যবহারেরও কয়েকটা নিয়মনীতি রয়েছে।

সেগুলো মেনে চললেই কিন্তু চারপাশের এই বাঁকা দৃষ্টি মিলিয়ে যাবে। বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছ। তখনই একটা ফোন এলো। ফোনটা ধর, কিন্তু কথাটা বল আস্তে। যে কোন সময়ই মুঠোফোনে কথা বলার সময় গলার স্বর নিচু রাখাই ভালো।

সবার মাঝখানে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা না বলাই ভালো। বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া করতে হলে ফোনটা নিয়ে দূরে কোথাও যাও, যেখানে অন্য কেউ উপস্থিত নেই। তারপর মন খুলে ঝগড়া কর। এ ঝগড়া পাঁচকান হলে কিন্তু ঠাট্টার পাত্র হবে তুমিই। আর সেই সঙ্গে গোপন কথাটি রবে না গোপনে।

হয়তো কোন একজন বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলছ। তৃতীয় ব্যক্তি উপস্থিত নেই সেখানে। তখনই সুরেলা স্বরে বেজে উঠল মুঠোফোন। খুব দরকারি না হলে ফোনটা না ধরাই ভালো। এতে অন্যজন বিরক্ত বা অপমানিত হতে পারে।

দরকার থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করে ফোনটা ধর। ফোনটা ধরলে না, তার মানে এই নয় যে তুমি একের পর এক মেসেজ করইে যাবে। এটাও কিন্তু অভদ্রতা। বরং একটাই মেসেজ করে জানিয়ে দাও তুমি ফ্রি হয়েই ফোন করবে। সিনেমা দেখতে গেলে বা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে ফোন সাইলেন্ট রাখাটাই নিয়ম।

আর কোন বিয়ে বাড়ি, অফিসের মিটিং বা স্মরণসভায় গেলে ফোনটা সুইচ অফ করে রাখ। পড়া এবং পড়ানোর_ দুই সময়ই ফোনটা বন্ধ রাখ। গাড়ি চালানোর সময় কখনোই ফোন করা বা ধরা উচিত নয়। দরকারি ফোন হলে গাড়িটা রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে কথাটা সেরে নাও। তারপর আবার রওনা দাও।

মুঠোফোনে কথা বলার সময় ফোনটা কেটে যেতেই পারে বিভিন্ন কারণে। দোষটা হয়তো তোমার নয়। তা বলে অন্যজনকে বলে বসো না যেন, ফোনটা কাটলে কেন? এতে তার অস্বস্তি হতে পারে। বরং কথাটা এড়িয়ে যাও। এতে কথোপকথনটা সহজ হয়ে যাবে।

একজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে মেসেজ পড়াটা কিন্তু বাজে অভ্যাস। খুব প্রয়োজন থাকলে অন্যপ্রান্তে থাকা লোকটির অনুমতি নিয়ে নাও। কারও পাশে বসে ফোনে কথা না বলাই ভালো। মাঝে অন্তত ১০ ফুট দূরত্ব রেখে কথা বল। এতে অন্যজনের সমস্যা হবে না।

রাত ১০টার পর কোন ফর্মাল ফোন কল না করাই ভালো। দরকার পড়লে আগে একটা মেসেজ পাঠিয়ে অনুমতি নাও। অন্যজন রাজি হলে তবেই ফোন কর। নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই রিংটোন পছন্দ কর। তুমি কলেজে পড় কিন্তু তোমার মুঠোফোন হাসে অসভ্যর মতো, এ রকমটা হলে কিন্তু আড়ালে লোকজনের হাসাটাই স্বাভাবিক।

পাবলিক প্লেসে মুঠোফোনের টোনটা ভাইব্রেশনে রাখাই ভালো। তুমি রিহানার ভক্ত বলে ওর লেটেস্ট গানটাকে রিংটোন করতেই পার। তা বলে অন্যের কী দায় রয়েছে যে, তোমার ফোন এলেই ওসব শুনতে বসবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।