আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন প্রতারকের আত্মকথা (আমার মায়ের)

আমি মানুষ । মানবতা আমার ধর্ম । ভালোবাসি আন্দোলন ঘৃনা করি ভণ্ডামি । একদিন যখন আমার টাকার দরকার হলো তখন আমি কাজ খুজতে শুরু করে দিলাম। কাজ খুজতে যেয়ে প্রথম কাজ যেটা করলাম তা হলো পত্রিকায় প্রকাশিত কাজের বিজ্ঞপ্তিগুলো পড়া।

খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ে এক সময় আমার মনে হয়েছিল এইসব যা কিছু যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে সেইসব যোগ্যতা আমার নাই। তাহলে কি আমি কোনদিন কোন কাজ পাবোনা ? খুব হতাশ হয়ে গেলাম। আমি যখন হতাশ হই তখন খুব বেশী রাগ হয় আমার। মনে হয় সামনে যা কিছু আছে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলি। তারপর মনে হয় একে তো টাকা নাই হাতে তার উপরে যদি সব কিছু ভেঙ্গে ফেলি তাহলে তো এইসব কিছু আবার কিনতে পারবোনা।

কোন কিছু ভাঙ্গলে তো আমি এইসব কাজ পাবার জন্য যোগ্য হয়ে উঠবোনা। তাই ভাঙ্গাভাঙ্গিতে না যেয়ে বিজ্ঞাপনগুলো আরো ভাল করে পড়লাম । পড়ে দেখলাম যত রকমের কাজের বিজ্ঞাপন আছে সেখানে রিসেপশন ও একাউন্টিং কেরানীর বিজ্ঞাপনই বেশী। তখন তো আমি ক্লাস এইটে পড়ি। আমাকে এইসব কাজ তো কেউ দিবেনা।

তাই ভাবলাম আমি আর ছবি আঁকবোনা আর গল্প লিখবোনা। রাজনীতি করবোনা। এইসব বিপ্লবের কথাবার্তা পড়ে বা বিপ্লবীদের সাথে থেকে আমাকে কেউ টাকা দিবেনা। আমি খুব তারাতারি স্কুল শেষ করে কলেজে একাউন্টিং পড়েই এই ধরনের একটা কাজ নিয়ে নেবো। তবে রিসেপশনিষ্টের জন্য শুধু মাট্রিক পাশ হলেই হবে।

আমি বেশ লম্বা ছিলাম তখন। আর দেখতে অনেক ম্যাচুউর । বড়বোনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতাম যখন তখন কেউ টের পেতোনা যে আমি স্কুলে পড়ি। ভাবলাম একটা আবেদন করে দেখি। সুন্দর একটি সাদাকালো ফটো লাগিয়ে আবেদন করে দিলাম রিসেপশনের কাজের জন্য ।

যথারীতি ডাক এলো। মগবাজারে অফিস। মৌচাকের মোড় পেড়িয়ে অ্যারঙ্গ এর কাছাকাছি (তখন আরং ছিলনা)। এই কোম্পানী আদম ব্যবসায়ি। আরবে নানা পেশার লোক পাঠায় ।

এক বিশাল ভুঁড়িওলা লোক মালিক। চেয়ারটাতে বসলে প্রথমে ভুঁড়ি নজরে আসে তারপর মুখ। প্রশ্ন করলো আমি টাইপ জানি কিনা । বললাম জানি (আসলে জানতাম না )। জিজ্ঞাসা করলো আগে কোথাও কাজ করেছি কিনা (বললাম, না করিনি)।

মনে মনে ভাবছিলাম আশ্চর্য ! এ্যাত বৃদ্ধলোক অথচ আমার বয়স বুঝতে পারছেনা। এইটা তো অনেক মজার ব্যাপার। তারপর বললো আমার ক্লাইন্টরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসবে। তাদের কাছে জেনে নিতে হবে তারা কোন দেশে যেতে চায় আর কি কি যোগ্যতা আছে। কোন কাজের জন্য যোগ্য সেটা জানার পরে মালিকের যদি সময় থাকে তাহলে দেখা করার জন্য বসতে বলতে হবে আর যদি সময় না থাকে তাহলে অন্য আর একদিন আসার জন্য তারিখ দিতে হবে।

টেলিফোন রিসিভ করতে হবে আর সবার নাম লিখে রাখতে হবে রেজিস্ট্রি খাতার ভেতরে। চিঠি টাইপ করতে হবে। আর চা বানাতে হবে। মেহমানদের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে। আমার হাসিটা খুব মিষ্টি তাতেই চলবে।

সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা। মালিক নামাযে যাবেন শুধু শুক্রবারে। মনে মনে ভাবলাম – শুধু শুক্রবারে কেনো!! অন্যান্য দিনে তো পাঁচবারই নামায পড়া যায় । এ্যাত বড় অফিস । প্রায় তিনটা বড় বড় রুম।

খুব সুন্দর বড় বড় জানালা। রোদ এসে লুটোপুটি খায় জানালার পর্দায়। সুন্দর একটা নতুন টাইপ রাইটার যেটাতে আমি টাইপ করবো জীবনে কোন দিন টাইপরাইটার না ধরেই। চাপাবাজীর একটা সীমা থাকে । আমি মনে মনে খুব অস্বস্থিবোধ করতে শুরু করলাম।

তখন মালিকে জিজ্ঞাসা করলেন – “আপনে তো বাংলা স্কুলে পড়ালেখা করেছেন । ইংরেজী কি জানেন ? ইংরেজীতে চিঠি টাইপ করতে হবে। আমি তো লেখাপড়া কিছুই জানিনা। তবে বিদেশের চিঠি এ্যাম্বেসীর চিঠি এইসব চিঠি আমাকে পড়ে শোনাতে হবে। অনুবাদ করতে হবে।

তারপর আমি বাংলাতে তার উত্তর দিলে সেটা ইংরেজীতে টাইপ করে ডাক যোগে পাঠিয়ে দিতে হবে। বললাম, হ্যাঁ পারবো। আমি ইংরেজী পড়তে পারি। ইংরেজী চিঠি লিখতে পারি ( তখন আমি কমার্শিয়াল চিঠি লিখতে জানতাম না। একেবারে ডাহা মিথ্যা কথা বলেছিলাম)।

ছোটবেলায় আমি মোটামুটি স্মার্ট ছিলাম। ব্যাস কাজ হয়ে গেলো। আর আমি ঘেমে গেলাম। কপালে ঘামের বিন্দু বিন্দু জলে নাকের ডগা বেয়ে নেমে আসতে থাকলো । বাইরে এসে কিছুদুর হেঁটে ফুটপাতেই পা লম্বা করে বসে পড়লাম।

এ্যাত বড় ধোঁকাবাজ আমি । কিছু না জেনেই একেবারে নিখুঁত অভিনয় করে এইভাবে কাজ পেয়ে যাওয়া কি একটা চাট্টিখানি কথা। নিজের মধ্যে এক প্রচন্ড অপরাধবোধ নিয়ে ঘরে ফিরলাম। ঘরে ফিরে দুনিয়ার বই পত্র ঘেটে ঘেটে কমার্শিয়াল চিঠি লেখার কোন বই পেলাম না। এখন কি হবে ।

বাসায় অবজার্ভার রাখা হতো। তার এডিটোরিয়াল পড়া শুরু করে দিলাম। পুরানা পত্রিকার সব এডিটোরিয়াল পড়া শেষ। বাসার লোকজন খুব অবাক হয়ে গেলো আমার এই আচরনে। লিলুকে ঘরে কোনদিন এ্যাত মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা পড়তে কেউ কোন দিন দ্যাখেনি।

অনেকেই সন্দেহ করছিলো এই আচরনের পেছনে একটা ঘোরতর ঝামেলা আছে। এর পরে ওদের মাথার উপরে কি আসছে কে জানে। যাই হোক তিন দিন পরে নতুন কাজে জয়েন করলাম। স্কুল বাদ দিয়ে। এমনি আমার স্কুলে যেতে ভাল লাগতোনা।

খুব বিরক্তিকর শিক্ষিকা শিক্ষক আর খুব একঘেয়ে একই জিনিষ প্রতিদিন ঘ্যানর ঘ্যানর করে পড়া করা একটা বিশ্রি ব্যাপার ছিল। যাক প্রথম দিন হেঁটে হেঁটে অফিসে গেলাম। আমি হেঁটে হেঁটে ঢাকা শহরের সবখানে যেতাম। আব্বার পকেট থেকে পয়সা চুরি করে আইস্ক্রিম খেতাম, চানাচুর খেতাম, রিকশার পয়সা কোথায় পাবো ! যাক আমার নতুন অফিসের সামনে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলাম। বেলা বারোটার সময় ভুরিওয়ালা মালিক এলো।

দরজা খুলতে খুলতে প্রশ্ন করলো আমি অনেকক্ষন অপেক্ষা করেছি কিনা। উনার এক ক্লায়েন্টের সাথে আজ একটা মিটিং আছিল। তাই উনি সকালে ঘর থেকে বেড়িয়েই সেই ক্লাইন্টের কাছে গেছিলেন। সেখান থেকে ব্যাংকে আর ব্যাঙ্ক থেকে অফিসে এসেছেন। উনার কোন গাড়ী নেই।

রিকশাতে করেই সব খানে যান। তবে খুব শীগ্রি উনি গাড়ী কিনবেন বলে জানালেন। যাই হোক আমার বসার জাগা দেখিয়ে দিলেন। আর বললেন সব খামগুলো খুলে ফাইল তৈরি করতে । প্রতিটি ফাইলে নাম লিখে রাখতে, ইত্যাদি।

আমি খুব যত্নের সাথে খাম গুলো খুললাম। চিঠিগুলো পড়লাম। বাংলা, ইংরেজী, বেশীরভাগ ইংরেজী চিঠি। অনেকগুলো পত্রিকা। আরবে মালিকের কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে আসা চিঠি।

সব চিঠিপত্র ফাইল করে। জরুরী কিছু চিঠি মালিককে পড়ে শোনালাম। অনুবাদ করলাম। তারপর মালিক বাইরে চলে গেলে টাইপ রাইটারটা নিয়ে বসলাম। প্রথমে কাগজ কিভাবে ঢুকাতে হয় সেটা খুজে পেতে আবার আমার কপাল ঘামতে থাকলো।

কিছুতেই বুঝতে পারছলাম না কাগজ কিভাবে টাইপরাইটারের ভেতরে ঢুকাবো। আবার হতাশ হয়ে গেলাম। হাতের কাছে একটা গ্লাস ছিল। অন্যের সম্পত্তি আমার ভাঙ্গার কোন অধিকার নাই। জানালাতে ছুঁড়ে মারবো কিনা সেটাও ভাবলাম একবার।

পুলিশের কথা মনে পড়লো। তখন রক্ষীবাহিনী ছিল। পুলিশরা তখনও এ্যাত পশু হয়ে উঠে নাই। যাক উঠে পায়চারি করে পুরা অফিসটা দেখে নিলাম। এবং সব চাইতে মজার ব্যাপার হলো টাইপ রাইটারের সাথে আসা ম্যানুয়ালটি পেলাম মালিকের ড্রয়ারে।

আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। তখন আমাকে আর কে পায়!! কাগজ লাগিয়ে ফেললাম ছবিটি দেখে। তারপর শুরু করে দিলাম “ব্রাউন ফক্স জ্যাম্প অভার দ্য লেজি ডগ “ । মনে মনে ভাবলাম এইটা আমার কুকুর লুলু যদি হতো তাহলে ব্রাউন ফক্সের খবর আছিল । লুলু জ্যাম্প অভার দ্যা ব্রাউন ফক্স হয়ে যেতো।

যাক অনেক টাইপ করে ফেললাম । মোটামুটি চিঠি দুই একটা যা ডাকে এসেছিল সেইগুলো দেখে দেখে কায়দা মাফিক টাইপ করে ফেললাম। তারপর একেবারে রেডী হয়ে বসে থাকলাম । কিছু জরুরী চিঠির উত্তর দিবেন মালিক ফিরে এলে। কিন্তু বিকেল পাঁচটা হয়ে গেলো মালিক আর ফিরলেন না।

তখন ভয় শূন্য মনে ভয়ের সঞ্চার হলো। আমাদের বাসার লোকজন কি আমাকে খুজছে নাকি সেটাও ভাবলাম। আমি এখন একটি চরম মিথ্যুক কর্মজীবি মহিলা। পুরা চাপাবাজীর উপরে কোন রকম লেখাপড়া বা দক্ষতা ছাড়াই এইখানে আমি প্রতারনা করছি । সাড়ে সাতটার সময় মালিক এসে অনেক দুঃখ প্রকাশ করলেন আর বললেন যে উনি একটা কাজে কাল রাজশাহী যাবেন তাই কাল আর পরশু অফিস বন্ধ থাকবে।

আমার মনের মধ্যে খুশির বন্যা বয়ে গেলো। আচ্ছা আমার বেতনের কথাই বলা হয়নি। বেতন সাত শত টাকা মাসে। আবার মালিকে বললেন যে এই দুইদিনে যখন উনি অফিসে আসবেন না আর আমিও অফিসে আসবোনা এই দুইদিনের বেতন আমাকে দেওয়া হবে। খুব খুশী মনে ঘরে ফিরে আসলাম।

আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেলো । সব চাইতে খুশী হলাম যে আমি টাইপ রাইটারে কাগজ ঢুকাতে পেরেছি আর টাইপও করতে পারি। অনেক অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘরে ফিরে এলাম। দুইদিন পরে অফিসের সামনে যেয়ে দেখি সেই আগের মত । কেউ কোথাও নাই।

দশটা বাজলো । তারপর বারোটা বাজলো । কারুকে আসতে না দেখে ভাবলাম মালিক ঢাকাতে ফেরেন নাই। মন খারাপ হয়ে গেলো টাইপ রাইটারটাকে খুব মিস করছিলাম । একটু প্র্যাকটিস করবো বলে দুইদিন বসে কত ভেবেছিলাম।

সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো । অনেক মন খারাপ নিয়ে বাসায় আসলাম। টাকা আয় আমার কপালে নাই। মিথ্যা কথার উপরে কোন কাজ করলে এভাবেই ভুগতে হয় । নিজেকে অনেক দোষারোপ করলাম ।

ভাবলাম এইভাবে প্রতারনা করে কোন কাজ করতে গেলে তার পরিনতি তো এমন হবেই। যাই হোক লজ্বার মাথা খেয়ে পরের দিন আবার অফিসের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন দেখলাম আরও কিছু মানুষ এসে সেখানে অপেক্ষা করছে। কথায় কথায় জানতে পারলাম ওরা “আদম” । বিদেশে যাবার জন্য পাসপোর্ট করতে টাকা দিয়েছে মালিকের কাছে।

সেই পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা জানতে এসেছে। পাসপোর্টগুলোতে ভিসা লাগাতে হবে। তারপর বিদেশে যাবে। বেশিরভাগ মানুষেরই পাসপোর্ট নাই। তাই পাসপোর্টের ফর্ম ভরার জন্য আগে একটা লোক এখানে কাজ করতো সেটা আমি জানতে পারি প্রথম দিনের আলাপে।

সেই লোক একদিন হঠাৎ করে চাকুরী ছেড়ে চলে গেছে মালিককে কোন কিছু না বলেই। একটা অনেক বড় রেজিষ্টি খাতাতে সবার নাম লেখা আছে যাদের পাসপোর্ট করার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। আর সবার ফর্মে ফটো লাগিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। নিয়ম হলো এইসব পাসপোর্ট ডেলিভারী দেবার আগে পাসপোর্ট অফিসে ব্যক্তিগতভাবে এইসব লোকের উপস্থিতির দরকার আছে । আর পাসপোর্ট অফিসে টাকা দিলে সেটার কাজও হয়ে যায়।

এইভাবে দেখা যায় যেকোন মানুষের নামেই যেকোন মানুষের ছবি লাগিয়ে পাসপোর্ট বানানো যায়। এইসব লোকেদের সাথে কথা বলে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম । অনেক কস্ট করে ধারদেনা করে এইসব লোকজন টাকা জড়ো করেছে বিদেশ যাবে বলে । দু’একজনের বিদেশে আত্মীয় থাকে। তারা সাহায্য করেছে যাতে তাঁদের কাছে ওরা যেতে পারে।

ওখানে সবাই বাড়িভাড়া করে থাকবে একসাথে। এইসব পরিকল্পনার কথা জানলাম। কিন্তু মালিকের দেখা নাই। কথায় কথায় অনেক বেলা হয়ে গেলো। আমার খুব ক্ষুধা পেয়ে গেলো ।

ভাবলাম আইস্ক্রিম খাই। আইস্ক্রিম খেলেই আমার অনেকক্ষন ক্ষুধা পায়না। চলে গেলাম সেই রেললাইনের কাছে। খুব সম্ভবত তেজগায়ের দিকে যেতে একটা রাস্তার ধারে মজার আইস্ক্রিম খেলাম। আবার হেঁটে হেঁটে এসে দেখলাম আরোও বেশ কিছু লোক এসে হাজির হয়েছে।

কিন্তু মালিকের দেখা নাই। আমি ভাবলাম বাসায় গেলে হয়তো অনেক বকা দিবে আমাকে। এমনিতেই আজকাল স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি যদি কেউ টের পেয়ে যায় তাহলে কপালে অনেক দুঃখ আছে। ভাল ভাল বাসায় ফিরে এলাম হেঁটে হেঁটে । পরের দিন আবার গেলাম কিন্তু দুপুর দুইটা পর্যন্ত নানা ধরনের লোক এসে অপেক্ষা করে করে সবাই চলে গেলো আমিও চলে এলাম।

এর পরের দিন আমার খুব সন্দেহ হলো ভাবলাম আমি তো একজন প্রতারক আর এই অফিসের মালিক তো মহা প্রতারক। আমার কথা ভুলও হতে পারে। আমি খুব কৌতুহলী হয়ে গেলাম। অপেক্ষারত মানুষরা জানালো যে এই লোকের দেখা আর হয়তো পাওয়া যাবেনা। যাক পাসপোর্টের জন্য টাকাটা মাইর গেলো।

অনেকে বিদেশে যাবার জন্য এডভান্স দিয়েছিল। সেটাও মার গেছে। সেইদিন এইসব কথা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। এইভেবে যে আহা এ্যাতগুলো মানুষকে এই লোক এইভাবে প্রতারিত করলো । সবার টাকার দরকার।

ভুরিওয়ালা মালিকের টাকার দরকার। তাই প্রতারনা করেছে। আমার টাকার দরকার তাই প্রতারনা করেছি। ঐসব মানুষের টাকার দরকার তবে ওরা প্রতারনা করেনি – প্রতারিত হয়েছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.