জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। ইনু ও মেনন মন্ত্রীত্ব পেলেন (এখনও তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেননি)। দিলীপ বড়ুয়া আগেই পেয়েছেন। আওয়ামী মহাজোট আপাতত সজীব হলো।
এ মূহূর্তে আওয়ামী-বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট-মহাজোট যখন মানুষের সকল বিশ্বাস হারিয়েছে।
যখন মানুষের কাছে এটাই সত্য বলে প্রতীয়মান যে "নৌকা-পাল্লা-লাঙ্গল-শীষ সব সাপেরই দাঁতে বিষ, তফাৎ শুধু ঊনিশ বিশ", যখন দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোর ঐক্য ও সঠিক রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এদের হটিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা ঘনীভূত হচ্ছে। ঠিক তখন এসকল বাম নেতারা বামদের মুখে চুনকালি দিয়ে দ্বিদলীয় রাজনীতিকে টিকে থাকতে আরেকটু সহায়তা করলো।
সাবেক আওয়ামী বিদ্বেষী এই বাম নেতাদের কাছ থেকে অবশ্য এটুকু আশা করাই যায়। কারণ এদের রাজনীতি সবসময়ই যতটা না নীতি নির্ভর হয়েছে তার চেয়ে বেশি হয়েছে যেকোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বিদ্বেষীতা নির্ভর। যেমন কখনো আওয়ামী বিদ্বেষীতা আবার কখনো বিএনপি বিদ্বেষীতা।
আর এই ভূলের কারণে বিদ্বেষীতা ভালোবাসায় পরিণত হয় কখনো। অথচ এঁরা রাজনীতিটা যদি নীতি নির্ভর করতেন তাহলে এমনটা হতো না।
বিদেশী শক্তি নির্ভর লুটেরা শ্রেণি আওয়ামী-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টিতে ভাগ হয়ে আছে। এই শত্রুশ্রেণীকে চিহ্নিত করেই নীতি নির্ধারণ করা উচিত। তাতে করে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে এককভাবে শত্রু বানাতে গিয়ে অপর আরেকটি রাজনৈতিক দল নির্ভর হতে হয় না।
বরং এই লুটেরা শ্রেণির টিকে থাকার উপাদানগুলো যেমন সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার ইত্যাদি নির্মূলকে প্রধান উপলক্ষ করেই সমাজতন্ত্রের পথে ধীরে ধীরে এগুতে হবে। আর এগুলোকে মোকাবিলায় কৌশলে যখন যাকে তাৎক্ষণিক পাওয়া যাবে (এরাও হয়তো নিজ রাজনৈতিক স্বার্থেই থাকবে) তাকেই সাথে নিতে হবে। কোনো একটি সমস্যাকে প্রধান মনে করে অপরটির কাছে নিজ দলকে সমর্পণ করা যাবে না। সমর্পণের পরবর্তীতে কিভাবে নিজের সর্বশেষ সম্পদ আত্মমর্যাদা ও নীতিকে বিসর্জন দিতে হয় সেটিতো আমরা দিলীপ বড়ুয়া, মেনন ও ইনুদের দিকে তাকালেই দেখতে পাচ্ছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।