নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!
ভারতের কেজরীওয়াল মাত্র কয়েকদিনের জন্য দিল্লীর অধিপতি হয়েছিলেন। সারা বিশ্বকে তিনি ওই কয়েকদিনের ব্যতিক্রম ও বাস্তবসম্মত কাজে চমকে দিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় নেতা রাশেদ খান মেননের রাজনীতির বয়সও সম্ভবত কেজরিওয়ালের চেয়ে বেশী। সারা জীবন নীতি কথার থুবরী উড়িয়েছেন, বক্তৃতাবাজী করে বাহবা কুড়িয়েছেন। শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে হয় এ কারনে যে তার মত লোককে বিমান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ধন্যবাদটা এজন্য যে তাকে ওই মন্ত্রনালয় থেকে টাকা পয়সা লুট করার জন্য দায়িত্ব দেন নি তিনি, বরং বাংলাদেশের অন্যতম ব্যর্থ, লুজার, করাপটেড মন্ত্রনালয়কে হাজার মাইল গভীর গর্ত থেকে টেনে তুলতে দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই আমি বিশ্বাষ করি।
এখন দেখার বিষয়, মেনন ভাই কত দ্রুত এ সফলতা অর্জন করেন। সময় কিন্তু পাঁচ বছর ধরলে হবে না, সময় ধরে নিতে হবে খুব বেশী হলে ছয়মাস। ছয় মাসকে মাইলষ্টোন টার্গেট করে তার উচিত এখনই জনগনের সামনে একটা লাইভ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলা যে তিনি দায়িত্ব নেবার পর বিমান মন্ত্রনালয়ের সার্বিক অবস্হা কি ছিল এবং আগামী ছয়মাসের মধ্যে তিনি সেটাকে কোন অব্স্হায় উন্নতি করতে পারবেন ইত্যাদি।
তারপর আজ থেকে ঠিক ছয় মাস পর আর একটা সংবাদ সম্মেলন জাতি দেখতে চায়।
সেখানে হয় তিনি ব্যতিক্রম কিছু করেছেন বলে দেখাবেন না হলে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে চলে আসবেন।
হাতুরী, কাস্তে, বাম সাইনবোর্ড নিয়ে মেনন ভাই সারা জীবন যেসব কথা বলেছেন, একটা পার্টির প্রধান হিসেবে জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে তার সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা, সে জন্যইতো রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন বলে বিশ্বাষ করি, তাহলে আজ যখন সামান্য একটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন, কেন সেখানে সফলতা দেখাতে পারবেন না?
যদি না পারেন, যদি অন্য দশজন আওয়ামী মন্ত্রির মতো চলতে চান, তাহলে দয়া করে ওয়ার্কাস পার্টি বিলুপ্ত করে সরাসরি আওয়ামী লীগে যোগ দিন।
বাংলাদেশের মিডিয়ার দায়িত্ব এই মন্ত্রনালয়টা যেহেতু গতানুগতিক কেউ চালাচ্ছে না, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান, যিনি বা যার দল ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করবেন, তার বর্তমান কাজের জায়গাটায় বেশী করে ফোকাস করা এবং জনগনকে জানানো যে তিনি বা তার পার্টি আসলেই যা বলে তাই করে নাকি সবই বোগাস!
তবে আমি আশা করি মেনন ভাই, আপনি নিশ্চয় পারবেন। গুড লাক! লেটস কাউন্ট ডাউন দ্যা টাইম ফর নেক্সট সিক্স মান্থ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।