সাংসদ রাশেদ খান মেনন দাবি করেছেন, তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম করেননি। তবে এ বছর এক শ থেকে দেড় শ ছাত্রী মেধা তালিকার বাইরে ভর্তির কথা স্বীকার করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি ছিল, স্পিকার, মন্ত্রী, সাংসদসহ শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধ তিনি উপেক্ষা করতে পারেননি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ওয়ার্কার্স পার্টি কার্যালয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জনাব মেনন এই দাবি করেন। এ সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিজাত এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকেয়া আক্তার বেগমকে দায়ী করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জনাব মেনন ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, বয়সে কনিষ্ঠ হওয়ায় সাংবাদিকদের তিনি তাঁর বক্তব্য বোঝাতে পারছেন না। সাংবাদিকেরা এ সময় প্রশ্ন করেন, কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ বি এম ইকবাল ও মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তাঁর পার্থক্য কী? কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে ভর্তিসংক্রান্ত যে ধরনের অভিযোগ ছিল একই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। জবাবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ মেনন বলেন, তাঁদের রাজনীতি ও আদর্শের সঙ্গে এ ধরনের তুলনা দুঃখজনক।
সাংবাদিকেরা জানতে চান, সভাপতি হয়ে নিজের একান্ত সচিব নাইমুল আজম খানকে তিনি কেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য করলেন। তা ছাড়া একান্ত সচিবের বিরুদ্ধেও ভর্তিসংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।
জবাবে মেনন দাবি করেন, এতে দোষের কিছু নেই। শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর একান্ত সচিবকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
মেনন দাবি করেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পরিবর্তন ও পূর্ণ অধ্যক্ষ নিয়োগ করাকে কেন্দ্র করে কিছুু সংবাদমাধ্যমে একপেশে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো একটি মহল খুবই সুপরিকল্পিতভাবে এটা করিয়েছে বলে তাঁর ধারণা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রোকেয়া আক্তার বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতায় ঘাটতি থাকায় তাঁকে সরিয়ে পূর্ণ অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে তাঁর ও অন্যান্য সদস্যের অন্যায় আদেশ মেনে না নেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মেনন বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবন কলুষিত করার জন্য এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তোলা বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে রোকেয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, একজন শিক্ষক ভৃত্য হতে পারেন না। তাই তিনি সব কথা বা আদেশ শোনেননি। তিনি বলেন, একজন প্রবীণ রাজনীতিক মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাত-আট মাস আগে এতটা খারাপভাবে তাঁকে বিদায় না করলেও পারতেন।
পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে যে রিট খারিজ হয়েছে তার বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।