দ্বিধা-দ্বন্দের সমীকরণ ! গোলাপ,সেই যে তুমি এসেছিলে সৌন্দর্যের কাতান প’রে- বসেছিলে চেয়ারে জানালার পাশে সেই যে এসেছিলে পড়ার টেবিলে আমার- ঈষৎ হাসি ছিলো তোমার টোল পরা গালে কপালের উপর এসে পরছিলো চূর্ণ কালো চুল আঁচল খানিকটা স’রে গেলে বুক থেকে - ডান চাঁদের কালো তিলটা অদ্ভুত শিহরণ তুলেছিলো ভেতরে ভেতরে আমার তোমার উষ্ণ শুভ্রস্তনের সোনালী ব্রা আভা ঝ’রে পড়ছিলো অনিন্দ্য সৌন্দর্য হয়ে... অই সৌন্দর্য হৃদয়ে সেদিন কী সহ্যাতীত আনন্দের ঢেউ তুলেছিলো- তা জানি, খুব জানি আজ । সেদিন কী অপ্রকাশিত বাসনা দু’ঠোঁটে চেপে রেখেছিলে তুমি তাও বুঝি । খুব বুঝি গোলাপ... সেইতো প্রথম বুঝিয়েছিলে সহ্যাতীত অই অপার সৌন্দর্যের স্বত্ব কার তরে সঁপেছো তুমি অথচ,অসহায়ত্ব ছাড়া আর কিছুই তোমাকে দিতে পারিনি প্রয়োজনে । সেদিনের তোমার অই নীল চোখে ভুরুতে মেশানো ছিলো যে স্বপ্ন আর স্বর্ণালী ভবিতব্যের আগমনী বার্তা তা হৃদয়ের উপকুল উপচে প’রে ঢেউ তুলেছিলো খুব । সেই শেষ বিকেলে যখন তুমি ওষ্ঠাধরের পাপড়ি দু’টো মেলে বললে -দ্যাখেো তো সৈকত ভাইয়া শাড়িতে কেমন মানিয়েছে আমায়- তখন আমার সমস্ত আবেগ মিশিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়েছিলো -হে উর্বশী,সৌন্দর্যের অভিধা আমার,এসো- হৃদয়ের খুব কাছা-কাছি এসো,বসো দু’পা ছড়িয়ে চাইলে শাড়ি-সজ্জা খুলে এসো,দেখিয়ে যাও সৌন্দর্যের কী কী উপমা তুমি রেখেছো পুষে! এসো হে প্রিয়া,এসো,সঁপে দাও এবার অনিন্দ্য সৌন্দর্য অই । অথচ,সেদিন আমি বলিনি তেমন কিছুই, বলিনি কেননা- অই সৌন্দর্যের আগুনে হাত রাখার দুঃসাহস সেদিন ছিলোনা আমার ! নিছকই যে ছিলোনা তাও কিন্তু নয় বিদ্যুৎ সুপরিবাহী দু’টি তারের মাঝে নিরাপদ দূরত্ব রাখাটাও ভীষণ শ্রেয় ছিলো তখন । সেইতো প্রথম বুঝেছিলাম সহ্যাতীত অই অপার সৌন্দর্যের স্বত্ব কার তরে সঁপেছো তুমি... অথচ এরপর,ভীষণ প্রয়োজনে যখন আমাকে চাইলে- অসহায়ত্ব ছাড়া আর কিছুই তোমাকে দিতে পারিনি সেদিন প্রয়োজনে বুঝিনি,তোমার ওষ্ঠের লাবণ্য স্পর্শ কতটা জরুরি ছিল সেইদিন বুঝিনি,ওটা শুধু আস্বাদ যোগ্যই ছিলোনা তার চেয়েও বেশী ছিলো কিছু... অই অনিন্দ্য শরীরের ঘ্রান ,ওষ্ঠে শুভ্রস্তন কতটা জরুরি আজ বুঝি ভীষণ বুঝি গোলাপ ! অথচ,অসহায়ত্ব ছাড়া আর কিছুই তোমাকে দিতে পারিনি প্রয়োজনে । -আজ বুঝি,ভীষণ বুঝি,আজ বুঝি গোলাপ,কে আজ অন্য ঘরে আমার !