'গ্রেট গাধা'স থিঙ্ক এলাইক'-সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। লোটাকম্বল।
কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে তোমার প্রিয় বই কোনটি,তো আমি নির্দ্বিধায় বলব 'লোটাকম্বল'।
এমনিতেই সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় আমার বিশেষ প্রিয় লেখক। কিন্তু 'লোটাকম্বল' যেন সবকিছু ছাড়িয়ে এক উচ্চমার্গে প্রবেশ করেছে।
একটা সিরিয়াস বিষয়কে কিভাবে হাস্যরসের মাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে ফুটিয়ে তোলা যায় তা লোটাকম্বল পড়লেই বোঝা যায়। প্রতিটি লাইনে লাইনে যেন টুইস্ট। ঠিক যেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের লেখার মতই। ইনিয়ে বিনিয়ে একটা লাইনকে টেনে হিঁচড়ে শব্দগুলোকে ডিগবাজি দিয়ে এমন এক রসের সৃষ্টি হয় যে মর্মার্থ বোঝার পর পাঠকের হাসতে হাসতে দফা রফা।
রোগীর পথ্য হিসেবে সাধারনভাবে এক ডেকচি মাগুর মাছের ঝোল বললেই যেখানে হয়ে যায়,সেখানে,"রান্নাঘরে এক ডেকচি জলের মত ঝোলের তলদেশে ছাল ছাড়ান আস্ত একটি মাগুর মাছ কাঁচকলার বালিশ মাথায় দিয়ে শেষ শয্যায় শুয়ে আছে"-লেখাটি বোধকরি সঞ্জীবের পক্ষেই লেখা সম্ভব।
বইটি যতবার পড়ি ততবারই মনে হয় পিন্টু নয়, যেন আয়নায় আমারই প্রতিবিম্ব। পিন্টুকে ন্য়,যেন আমাকেই চুলচেরা বিশ্লেষন করা হচ্ছে!
প্রথম খন্ড হারিয়ে যাবার পর অনেক খুঁজেও যখন পেলাম না তখন অখন্ড 'লোটাকম্বল' বইটিই আবার কিনে নিয়ে এলাম। এই নিয়ে কতবার পড়েছি জানি না। কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে যেন নতুন করে নতুন রস আস্বাদন করছি। জয়তু লোটাকম্বল!জয়তু সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।