হাতের লেখা ভালো, চেহারা ভালো না তিনজনকেই এরকম নাটাইয়ের মতো ঘুরানোর অর্থ কি আসমানী? তুই আমাদেরকে কোথায় নামাতে চাস বলে দে, আমরা সুরসুর করে নেমে যাই। ঘর-দোর ছেড়ে আমরা একন বনে বনে তুই অতটুকুন আর আমরা মধ্যবয়সী তারপরও তোর কী ক্ষমতা! আচ্ছা, তুই যদি আমাদেরকে কোথায়ও যেতে বলিস, বলে দে আমরা তড়তড় করে চলে যাই। সাজ্জাত অংক ইংরেজীতে ভালো ফরেস্ট অফিসারের সাথে ওর আলাপ হয়েছে গত মাসের ২ তারিখ থেকে ঐ ঘরের ছোট নাতনীটাকে পড়াচ্ছে মাস শেষে ৭০০ টাকা! গানের বিদ্যা জানা থাকায় মজিদেরও একটা ব্যবস্থা হয়ে গেছে অফিসারের মেয়েটাকে গান শিখানোর দায়িত্ব পেয়েছে আর এদিকে তুইও অতটুকুন আর আমিও মধ্য বয়সী তাই কেউ-ই কোন কাজে আসছিনা, তুই কি করতে চাস বল, ঝটপট করে দেই এই দোটানার যন্ত্রনা আর ভালো লাগেনা! শুনে তোর কেমন লাগবে জানিনা, বনের মধ্যে আমরা একটা বাড়ির মতো বানিয়েছি নামও দিয়েছে একটা ‘‘আসমানী কটেজ’’ সাইনবোর্ডটা আমরা তিনজনে মিলে লিখেছি শেষের আর প্রথম অক্ষটা আমি, মাঝখানের দুটো ওরা দুজনে দ্যাখ আসমানী, তুই অতটুকুন ্র আমরাও মধ্যবয়সী বলে তুইও আমাদের হাত ধরতে পারিস না, আর আমিও ঘরের মধ্যে বসে থাকি পোড়া মাটির মতো, রং বদলে! সাজ্জাত ফেরে রাত ১০ টায় দরজার সামনে এসে ক্লান্ত স্বরে ডাকে, ‘‘আসমানী, দরজা খোল, ও বাড়িতে একটা আস্ত গাঁধা পড়াচ্ছি, মাথা ভর্তি গোবর, ঠিক তোর মতো, যেন কিচ্ছু বোঝেনা! মজিদটাও দরজায় এসে তোর নাম ধরেই ডাকে তোকে ভেবে ভেবে ওরা যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে আসমানী, তুই কি করবি কর, পুড়ে পুড়ে মরে যাচ্ছিতো আমি! যাইহোক, সাজ্জাত মজিদতো একটা কাজে লেগে গেছে ওদের দিন ভালোই যাচ্ছে- ‘‘সারাদিন সারামুখে হাসি’’ তোর বিশ্বাস না হলে এসে দেখে যা এও শুনেছি, অফিসারের নাতনীটা নাকি ওদের কফি বানিয়ে খাওয়ায় কি বলবো; মজিদটাও যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে ইদানিং বাড়িটার নাম নিয়ে আমার সাথে ও প্রায়ই ঝগড়া করে, নামটা নাকি ভালো হয়নি! আরও কিসব কথা! তাই বলি কি, তুইও যতটুকুন, আমিও মধ্যবয়সী দুজন যদি হাত ধরাধরি করি খুব বেশি খারপ দেখাবে? তুই রাজি থাকলে বল, আমি চুপচাপ একটা রিক্সা নিয়ে আসি কেউ টের পাবেনা, কেউনা!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।