চোখের বদলে চোখ নেওয়ার নীতি গোটা পৃথিবীকে অন্ধ করে ফেলেছে...গান্ধীজি অনিক,বেলাল ও আমি সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকেই একই রুমে আছি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও দারুন। সবাই মিলে রুমে অনেক মজা করি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা মজার ঘটনা শেয়ার করব।
অনেকদিন আগে পিসি পরিষ্কার করার জন্য অনিক একটা ব্রাশ কিনেছিল।
তো সেই ব্রাশের এমনি গুন যে তার ছোঁয়ায় যেকোন বিকল ইলেকট্রনিক যন্ত্রই অবিশ্বাস্যভাবে ঠিক হয়ে যায়।
প্রথমে বেলালের সিপিইউ নষ্ট হল। টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে গেলাম মেরামতের জন্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উনি বললেন মাদারবোর্ড নষ্ট হয়ে গেছে। তখন হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বেলাল মাদারবোর্ড কিনতে পারল না।
তাই সিপিইউ ফেরত নিয়ে আসলাম। অনিক বলল দোস্ত এক কাজ করি। মাদারবোর্ডটা ভাল করে ব্রাশ দিয়ে মুছে একবার ট্রাই করে দেখি। যেই কথা সেই কাজ। শেষমেষ মাদারবোর্ড ঠিক হয়ে গেল।
চলছে আজও কোন ঝামেলা ছাড়া।
এরপর অনিকের সিপিইউ তে সমস্যা হল। টেকনিশিয়ান বলল হার্ডডিস্ক চেন্জ করতে হবে। আমরা মনের বিশ্বাস থেকে পাল্টানোর আগে হার্ডডিস্কটি ব্রাশ দিয়ে মুছে লাগালাম। অবিশ্বাস্য ভাবে এবারও সুফল পেলাম।
একটু আগে পাশের রুমের এক বন্ধু এসে বলল,দোস্ত আমার জিপি মডেমটি নষ্ট হয়ে গেছে। দেখ তো ঠিক করা যায় কিনা। আমরা স্বাভাবিকভাবেই সেই ব্রাশের সাহায্য নিলাম। মডেমটি খুলে ব্রাশ দিয়ে ভালমত মুছে পিসিতে কানেক্ট দিলাম। কি মনে হচ্ছে পাঠক ভায়েরা?ঠিকই ধরেছেন।
এখন মডেমটি কাজ করছে। আপাতত বেলাল সেই মডেম দিয়ে নেট ইউজ করছে।
ব্লগার ভায়েরা,আপনাদের যদি কোন বিকল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থাকে তাহলে আপনারা আমাদের এই "আসমানী তুলি"র সাহায্য নিতে পারেন।
আমার একটা ইউপিএস অনেকদিন থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। দেখি,কাল সকালে "আসমানী তুলি"র ছোঁয়ায় ঠিক হয় কিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।