কক্সবাজারের রামুতে সহিংসতার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল তদন্ত করতে আসে। কিন্তু মাত্র দুই ঘণ্টারও কম সময়ে দলটি তাদের ‘প্রাথমিক তদন্ত’ সম্পন্ন করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্ত শুরু করে সাড়ে ১২টার মধ্যেই তা শেষ করেন বিএনপি নেতারা। রামু সদরের আশপাশের মন্দিরগুলোতেই কেবল যান তারা। মন্দিরের কমিটির লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
পরে তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে সহিংসতার সূত্রপাত। কিন্তু রাত দেড়টার পরেও অনেক বৌদ্ধবিহার ও বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়েছে, হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রশাসন সক্রিয় থাকলে ঘটনা এতোটা ভয়াবহ হতো না। এতো বড় সহিংসতার জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাই দায়ী।
তদন্ত দলে অন্যদের মধ্যে তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ, গৌতম চক্রবর্তী, অধ্যাপক সুকুমল বড়–য়া প্রমুখ ঘটনাস্থলে আসেন।
তদন্ত দল রামু পৌঁছে প্রথমে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তদন্ত কমিটি বৌদ্ধ নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। ব্যারিস্টার মওদুদ আরো বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তদন্ত দলের কাছে অভিযোগ করেছেন এ সহিংস ঘটনাটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত।
পরে তদন্ত দলের সদস্যরা পুড়িয়ে দেয়া কয়েকশ বছরের পুরোনো লালচিং, সাদা চিং, মৈত্রীবিহার, অপর্ণাচরণ চিং, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার ও উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
অন্যদিকে, আমাদের উখিয়া প্রতিনিধি জিয়াউল হক সুমন জানান, বিএনপির তদন্ত দল গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া পৌঁছান।
তারা জাদীমুরা বৌদ্ধবিহার, মরিচ্যা বৌদ্ধবিহার, রতপালং বৌদ্ধবিহারসহ ৫টি বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন। বিএনপি নেতারা ঘণ্টাদেড়েক উখিয়ায় অবস্থান করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।