আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামুতে পুলিশ কই ?

মন্দির, বসতবাড়ি , দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি কোন কিছুই নয়- স্রেফ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও ঠেকাতে জাতীয় কমিটির কর্মীদের দিকে ব্যারিক্যাড, লাঠিচার্জ আর টিয়ারশেল সহ পুলিশ লেলিয়ে দিতে প্রশাসনের উৎসাহের কখনও কোন কমতি হয় না। অথচ সারারাত ধরে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অসংখ্যা ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ সাত সাতটি মন্দির ভাঙচুর চললো, আগুন দেয়া হলো, লুটপাট করা হলো- সারা রাত ধরে একটাও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হলো না, কোন মন্দিরের সামনে একটা ব্যারিকেডও পড়লো না- সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর সকালে এসে ১৪৪ ধারা জারি করে দায় সারা হলো- একটুও কি অদ্ভুত লাগে না? মনে হয় না যে দুটো ঘটনায় দুই ভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়া- একদিকে ব্যাপক ক্ষমতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া আর অন্যক্ষেত্রে দেখেও না দেখার ভান করা- এর পেছনে শাসকদের স্বার্থের যোগ আছে? না, আমি বলছিনা যে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির এখানে হাত নেই, হাত অবশ্যই আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি কি কেবল জামাত, শিবির বা হিজবুত তাহরীর? জামাত-শিবির-হিজবুত-বা অন্য কোন উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী/দল আরেকটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বসতি, জীবিকা আর উপাসনালয়ে হামলা করবে, সারা রাত ধরে তান্ডব চালাবে আর ক্ষমতায় বসে বসে আওয়ামিলীগ নেতৃত্বাধীন মহাশক্তিধর মহাজোট সরকার তা দেখবে, সবকিছু ঘটে যাওয়ার পর বক্তৃতা বিবৃতি কিংবা শান্তি মিছিল করবে- এটা কি কম সাম্প্রদায়িকতা? ধর্মীয় স্পর্শকতারতার দোহাই দিয়ে একটার পর একটা লুন্ঠন আগ্রসনের পৃষ্ঠাপোষকতার নাম কি অসাম্প্রদায়িকতা নাকি? আবার ভার্চুয়াল জগতে ধর্মীয় অবমাননার দোহাই দিয়ে ঘটা বাস্তব লুটপাট-অগ্নি সংযোগের- উচ্ছেদের ঘটনা সারারাত ধরে ঘটতে দেয়ার পেছনে সাম্প্রদায়িকতার আড়ালে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জায়গাজমি-ব্যাবসা-বাণিজ্য দখলের জন্য স্থানীয় আওয়ামিলীগ-বিএনপি-জামাতের একেবারে মেটেরিয়াল বা ইহজাগতিক গোষ্ঠীস্বার্থগত মেলবন্ধনের যে কোন ভূমিকা নেই তাও বা কেমনে বলি! দীর্ঘ সময় ধরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর চলার সময় স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় প্রশানযন্ত্রের নিস্ক্রিয়তা, চট্টগ্রাম- দিনাজপুর-সাতক্ষিরা-বাগেরহাট ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানেই এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটতে দেয়া, ঘটানো এবং সকল আমলেই সমান তালে সংখ্যালঘু দুর্বল জনগোষ্ঠী/সম্প্রদায়ের সম্পদ লুট, জায়গা দখল ও উচ্ছেদের ইতিহাস কিন্তু ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার আড়ালে শাসক রাজনৈতিক দলগুলোর অ-ধর্মীয় বা ইহজাগতিক স্বার্থের মেলবন্ধনের কথাই বলে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.