০
০
০
০
০
০
০
কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৌদ্ধ বসতি ও মন্দিরে হামলা-অগ্নি সংযোগের ঘটনায় প্রশাসন কেন জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া শনি ও রবিবারের ওই ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ার ওসিকে সাত দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে।
একই সঙ্গে ওইসব এলাকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও আদেশ দিয়েছে আদালত।
ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে শনিবার রাতে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় ধর্র্মীয় উগ্রপন্থীরা।
রাতভর হামলায় সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, অন্তত ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়।
পরদিন চট্টগ্রামের পটিয়া এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে নতুন করে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সময়মতো তৎপর হলে ঘটনা এতো বড় হতে পারত না। গাফিলতির অভিযোগের মধ্যেই রামু থানার ওসি নজিবুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
রামুতে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া।
রিটে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও ঘটনার সময় রামু থানায় দায়িত্বরত ওসিকে আদালতে তলবের আর্জি জানানো হয়েছে।
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।