বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের নিবন্ধকের দপ্তর থেকে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। ।
এর আগে কমিটির সদস্যরা এই গত ১৩ মে প্রতিবেদনটি নিবন্ধকের দপ্তরে জমা দেন।
আদালত এই প্রতিবেদনের উপর আগামী ২৮ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস এবং ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অংশ নেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমী।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আদালতে তথ্য উপাত্তসহ প্রতিবেদনটি জমা পড়েছে। আদালত আমাদেরকে অনুলিপি নেয়ার অনুমতি দিয়েছে। অনুলিপি পেলে তখন বিস্তারিত বলা যাবে। "
গত ১৩ ডিসেম্বর হাই কোর্ট রামুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এই আদেশের ভিত্তিতে পরে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা জজ) শরীফ মোস্তফা করিম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা অধিদপ্তর-২ এর উপ-সচিব মো. জহুরুল ইসলাম।
দায়িত্ব পাওয়ার পর এই কমিটি ২০ মার্চ তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে তারা রামুর ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও বসতি ঘুরে দেখেন এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফেইসবুকে কুরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা।
রাতভর হামলায় সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, অন্তত ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়।
পরদিন চট্টগ্রামের পটিয়া এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে নতুন করে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা হয়।
পরে এ বিষয়ে হাই কোর্টে দু্টি রিট আবেদন আবেদন হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া একটি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ অন্য আবেদনটি দায়ের করেন। এসব রিট শুনানির এক পর্যায়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ আসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।