অরুণালোক কৌতুক
১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের ঘটনা। পাক বাহিনী ও তাদের দোসর আল-বদর, আল-শামস, রাজাকাদের অত্যাচারে ইজ্জত বাঁচাতে মা-বোনেরা ইতিউতি নিরাপদ স্থানের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে। এমন সময় ষাটোর্ধ্ব এক মহিলাকে দেখা গেলো তরুণীদের সাথে দৌঁড়াচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে এক তরুণী সেই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলো_
-এই বুড়ি, আমরা তো পলাইতাছি মিলিটারিগো ডরে।
তুমি দৌড়াইয়া পলাইতাছো ক্যান?
আর কইস না, ঐ ব্যাটাগো কি বিশ্বাস আছে? ওগো লগে তো বুড়া পুলিশও থাকে। আমি পলাইতাছি ঐসব বুড়া পুলিশগো ডরে। " বুড়ির উত্তেজিত উত্তর।
২। যুদ্ধ চলছে তুলুম বেগে।
পাক বাহিনীরা বাংলার দামাল মুক্তি বাহিনীর কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছে। উপায়ান্ত না পেয়ে দলছুট এক পাক সৈন্য এক গ্রাম বাংলার এক বাড়ি গিয়ে ঢুকেছে। তো, সে গিয়ে দেখে ঐ বাড়ির লোকজন জামের সাথে কাঁসুন্দি মিশিয়ে মজা করে খাচ্ছে। ওদের খাওয়া দেখে পাক সৈনিকের মুখে পানি চলে এলে, দয়াপরবশ হয়ে গৃহস্বামী ঐ সৈনিককে কিছু জাম খেতে দিল। জাম মুখে দেওয়ার পর স্বাদের আমেজে সৈনিকটির চোখ বুজে এলো।
তখন সে আরও জাম খাওয়ার জন্য গৃহস্বামীকে বললে, জবাব পেল যে, জাম শেষ হয়ে গেছে। তো সৈনিকটি গৃহস্বামীর কাছে জানতে চাইল এ সুমধুর ফল কোথায় পাওয়া যায়। গৃহস্বামী জানালেন জাম গাছ দেখিয়ে বললেন, ঐ গাছেই এ ফল ধরে। সৈনিকটি লোভ সংবরণ করতে না পেরে হাছড়ে পাছড়ে জাম গাছে উঠে জাম খেতে লাগলো। জাম খেতে খেতে হঠাৎ ডালে বসে থাকা কালো একটা ভোমরা ধরে মুখে পুরে দিলো।
ভোমরাটা সৈনিকটার দাঁতের চাপে চিঁ চিঁ শব্দ করতে লাগলো। সৈনিক মনে করলো, এ ফলেরা বুঝি আওয়াজ তুলতে পারে। তাই সে চিবানো না থামিয়েই বলতে লাগলো, চ্যাঁ করেগা আর চোঁ করেগা, কালা কালা জাম হাম সব খায়েগা। "
হা হা হাঃ কী হাসতে পারছেন না? তাহলে অন্য কোন কৌতুক শুনে হাসার প্রাকটিস করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।