চার্লি চ্যাপলিন কে নিয়ে লেখার ইচ্ছা অনেক দিন থেকেই,কিন্তু সময়ের অভাবে আর হয়ে উঠেনা।
কথা না বাড়িয়ে আসুন চ্যাপলিন সর্ম্পকে আরেকটু জেনে নিই।
স্যার চার্লি চ্যাপলিন জন্মগ্রহন করেন ১৬ ই এপ্রিল ১৮৮৯ walworth ,London এ। কিন্তু সম্প্রতি একটি চিঠি যা ১৯৭০সালের দিকে চার্লি চ্যাপলিনকে লেখা ,দাবি করছে চার্লি চ্যাপলিন জন্মগ্রহন করেন Black Patch Park, in smethwick ,Staffordshire এ। চার্লি চ্যাপলিন এর বার্থ নেম Charles Spencer Chaplin।
জন্মগত ভাবে মেষ রাশির জাতক। চার্লি চ্যাপলিন এর বাবা-মা দুজন ই ছিলেন মিউজিক হলের এন্টারটেইনার। তাঁর বাবা Charles Spencer Chaplin Sr ছিলেন একজন ভোকালিস্ট ও অভিনেতা,অন্যদিকে মা Hannah Chaplin ছিলেন একজন গায়িকা ও অভিনেত্রী যাকে সবাই Lilly Harley এ নামে চিনতেন। তাঁর যখন ৩ বছর বয়স তখন তাঁর বাবা-মা এর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। চার্লি চ্যাপলিন তাঁর বাবা-মা এর কাছেই গাইতে শিখেন।
১৯০১ সালে যখন তাঁর বয়স ১২ বছর তখন তাঁর বাবা লিভার সিরোসিস এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
১৯১০ সালে সর্বপ্রথম যাত্রাদলের সাথে চ্যাপলিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়িজমান এবং এখানেই তার প্রথম ফিল্ম মুক্তি পায়। "Making a Living" তাঁর প্রথম ফিল্ম যা ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯১৪ সালে মুক্তি পায়।
কিন্তু চ্যাপলিন জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেন তাঁর ২য় ফিল্ম "Kid Auto Races at Venice" এ যা একটি সাইলেন্ট ফিল, মুক্তি পায় ৭ই ফেব্রুয়ারি ১৯১৪ , এবং এ ফিল্ম এর মধ্য দিয়েই আমাদের চিরচেনা চার্লি চ্যাপলিন এর যাত্রা শুরু।
অর্থাৎ এ ফিল্মে তাঁর বিখ্যাত চরিত্র "The Tramp" বাংলায় বললে "ভবঘুরে" ঢোলা প্যান্ট, লম্বা জুতা,মাথায় হ্যাট , হাতে ছড়ি এবং মুখে সর্বদা দুষ্টু-মিষ্টি হাসি চ্যাপলিন এর অভিষেক হয়।
তারপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম দিকে চ্যাপলিন প্রায় এক ডজন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিল্ম এ অভিনয় করেন এবং পরবর্তিতে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফিল্ম এ অভিনয় শুরু করেন। ১৯২০ সাল পর্যন্ত বানানো সিনেমা গুলো ছিলো সাইলেন্ট ফিল্ম ,এবং পরবর্তিতে সিনেমায় শব্দ সংযোজন করা হয়। কিন্তু চ্যাপলিন তখন ও সিনেমাতে ডায়লগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। ১৯৩১ সালে বানানো "City Lights" তাঁর বিখ্যাত সিনেমার গুলোর একটি যেখানে কোন ডায়লগ নেই, এবং ১৯৩৬
সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর আরেকটি বিখ্যাত সিনেমা "Modern Times" এ খুব অল্প সময়ের জন্যে কথা বলতে দেখা যায়।
এ সিনেমাকেই তাঁর সর্বশেষ সাইলেন্ট সিনেমা হিসেবে ধরা হয়। মজার ব্যাপার হলো এ সিনেমাতে তাঁর নিজের গলায় গান গাইতে দেখা যায়।
চলবে.....
রেফারেন্স..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।