আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্নীতির মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব! সৎ কর্মকর্তারা বিপাকে...

ন্যাকামো ভীষণ অপছন্দ, যদিও বাধ্য হয়ে সহ্য করি! বলছি সরকারের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি সংস্থার কথা (কেউ নাম জানতে চাইবেন না, প্লিজ!)। যেখানে সামান্য অসততা, মিথ্যা, ছল-চাতুরী কিংবা চুরি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকেই টলটলায়মান করে দিতে পারে। এমন একটি জায়গায় সম্প্রতি দু’জন ৩য় শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক সরকারী সম্পদ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। ঐ সংস্থায় প্রচলিত আইন ও প্রথা অনুযায়ী তাঁদের অনতিবিলম্বে চাকুরী চ্যুতিসহ জেল-জরিমানা হওয়ার ব্যাপারটি সবার কাছেই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন। সর্বপর্যায়ে চলছে আজ অন্যায়, লুটপাট, স্বজন-প্রীতি এবং নির্লজ্জ দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সুস্পষ্ট ও প্রমাণিত দোষীদেরকেও ফেভার করার এক মারাত্মক ক্ষতিকর টেন্ডেন্সি ও বিষাক্ত তদবির! তবে যে অভিনব ও ভয়ঙ্কর সেন্টিমেন্টটি অতি-সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে তা হলো: কোনো দুর্নীতি বা আত্মসাতের বিরুদ্ধে আইন-মোতাবেক কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে গেলে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে! অপরাধীদের না বলা বক্তব্যটি হলো: দেশের উচ্চ থেকে শুরু করে নিম্ন-পর্যায় পর্যন্ত যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে, সবাই যেন আখের গুছিয়ে নিচ্ছে - তাদের কিছুই হচ্ছে না, সেখানে আমরা গরীব মানুষেরা কয়েক হাজার বা দু’এক লাখ টাকা মেরে নিলে অথবা সামান্য(!) কিছু নিয়ম ভঙ্গ করলেই এতো বড় শাস্তি (চাকুরিচ্যুতি) মেনে নেবো কেন? এক্ষেত্রে সম্প্রতি এক রেল কর্মচারীকে ২/১ শ’ টাকার জন্য মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর থাপ্পড় মারার বিষয়টিও কারো কারো দৃষ্টিতে পছন্দের পাশাপাশি অনেকের কাছেই বেশ অস্বস্তিকর, অপ্রয়োজনীয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, দেশের এই আপাদ-মস্তক দুর্নীতি জনগণের সর্বপর্যায়ে এমনকি আজকের বুদ্ধিমান শিশুদের মাঝেও অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী, ক্ষতিকর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলছে - যা এদেশের কোটি কোটি ভালো ও সৎ মানুষদের জন্যও কিছুতেই কল্যাণকর নয়! লক্ষণটি বড়ই অশুভ মনে হচ্ছে!  

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।