অর্থ নয়, কীর্তি নয়...আরো এক বিপন্ন বিস্ময়/আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে খেলা করে টিভি দেখার সময় বিজ্ঞাপন শুরু হলেই আচমকা শব্দের মাত্রা বেড়ে যায়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে জার্মানির রেডিও শ্রোতা ও টেলিভিশন দর্শকেরা এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। আজ ডয়েচ এ ভেলে’র ওয়েবসাইটে এই খবরটি দেখে বেশ ভাল লাগল। Click This Link প্রতিবেদনটিতে বলা হয়- বিধিনিয়ম অনুযায়ী প্রায় গোটা বিশ্বেই রেডিও ও টেলিভিশনে শব্দের নির্দিষ্ট মাত্রা স্থির করে দেওয়া রয়েছে৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে শ্রোতা ও দর্শকদের মনে হয়, বিজ্ঞাপন, ট্রেলার বা পপ গানের সময় আচমকা যেন শব্দের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে৷ বাস্তবে কিন্তু সেটা ঘটে না৷ বিজ্ঞাপনের আগে বা পরে শব্দের মাত্রা যা থাকে, বিজ্ঞাপনের সময়ও তার তারতম্য হয় না৷ তাহলে কি আমরা কানে ভুল শুনি? ডয়চে ভেলের যন্ত্রকুশলী ইয়র্গ মোরাভেৎস বললেন, আসলে কাগজে-কলমে শব্দের মাত্রা না বাড়িয়েও চালাকি করে জোরালো শব্দ সৃষ্টি করা যায়৷ তিনি বললেন, ‘‘কোনো অনুষ্ঠানের মধ্যে যে অংশে শব্দের মাত্রা কম, সেই অংশগুলিকে কৃত্রিমভাবে জোরালো করা হয়৷ শব্দের স্বাভাবিক ওঠানামার বদলে সবটাই সবচেয়ে উঁচু মাত্রায় ধরে রাখা হয়৷ ‘কমপ্রেশন' নামের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটা করা হয়৷'' যারা বিজ্ঞাপন তৈরি করছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা৷ অথচ শ্রোতার মোটেই তা পছন্দ হওয়ার কথা নয়৷ তারা বিরক্ত হয়, অনেকের রক্তচাপও বেড়ে যায়৷ রেডিও বা টেলিভিশন অনুষ্ঠানে শব্দের ওঠানামার স্বাভাবিক ছন্দ মানুষ পছন্দ করে৷ কারসাজি করে একটা বিজ্ঞাপনের গোটা সময় জুড়ে শব্দ শুধু উঁচু পর্যায়ে রাখলে ছন্দপতন ঘটে৷ জার্মানিতে নিয়ম করে এই কারসাজি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ সেপ্টেম্বর থেকে শব্দের মাত্রা নয়, শব্দের তীব্রতার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে৷ আমাদের দেশেও এই সমস্যা অতি প্রকট। জার্মানির এই উদ্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও কি পারিনা আমাদের শ্রোতা দর্শককে এই অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।