নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহের কিছু বেশি বাকি। কিন্তু জার্মানির কোথাও তথাকথিত ‘ভোটের উত্তাপ-উত্তেজনা’ খুঁজে পাওয়া কঠিন। মাইকের আওয়াজ নেই, রাস্তাঘাটে যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার-লিফলেটের বালাই নেই। দেয়ালে দেয়ালে চিকা তো চিন্তাও করা যায় না। বিশ্বগ্রামে পরিণত হওয়া আজকের দুনিয়ায় চর্মচক্ষে না দেখলেও টিভি আর ইন্টারনেটের কল্যাণে উন্নত বিশ্বের নির্বাচনের এ ছবিটা আজকাল অনেকেরই চেনা।
প্রত্যেক রাষ্ট্রের এবং সমাজের গণতান্ত্রিক পরিক্রমার মূল আলোচনা বা পদ্ধতি দেশজ হয়। অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে ধাপে ধাপে তা এগিয়ে যায়। কিন্তু জার্মান জাতির কপালে ১৯৪৫ সালের আগে পর্যন্ত তা ঘটেনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা ঐতিহাসিকেরা কেউ কেউ সময়টিকে আরও এগিয়ে ১৯৯০ সালে জার্মানির নতুন ঐক্য প্রক্রিয়ার পর থেকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক উত্তরণের সময় বলে উল্লেখ করেন।
উনিশ শতকের প্রথম থেকেই জার্মান রাজনীতিতে দুটি প্রশ্ন প্রধান হয়ে দেখা দিয়েছিল—এগুলো হচ্ছে জার্মান জাতির ঐক্য ও গণতন্ত্র।
১৮০২ সালে দর্শনশাস্ত্রের বিশ্বখ্যাত অধ্যাপক ফ্রিডরিশ হেগেল ইয়েনা শহরে প্রথম জার্মান সংবিধান লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। সেই সময় জার্মান বুদ্ধিজীবীদের সময়োপযোগী নীতিনির্ধারণ এবং সম্মিলিত বিপ্লব জার্মান জাতিকে ফরাসি রণনায়ক নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বিরুদ্ধে লড়তে সাহস জুগিয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।