কেমন আছেন সবাই? জানি হয়তো অনেকে মে দিবসের ছুটি উপভোগে ব্যাস্ত। কবিতা অনেকে লেখে, এদের অনেকে কবি আর অনেকে আমার মত ছন্দ মিলানোর চেষ্টা করে। যদি দশ /বার লাইন ছন্দ মিলে যায় তবে আমার খুব আনন্দ হয়। তখন মনে হয় কবিতার মত বুঝি হল। আসলে এই রকম আনন্দটা ও কিন্তু কম নয়।
তবে নিজেকে কবি কবি ভেবে নয়, কবিতার মত করে দুটো কথা লিখতে পারার আনন্দ। আমি যখন ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম তখন স্কুলে স্বরচিত ছড়া আর কবিতা বলার প্রতিযোগিতা হতো, সে সময় ৩ টাকা দামের নীল মলটের খাতাট পুরস্কার হিসেবে পাওয়া অদ্ভুত আনন্দটাই নিজেকে জাগিয়ে তুলল ছড়া লিখতে। সব সময় নয়, যখন প্রতিযোগীতা শুরু হত তখন দুই চারটা ছন্দ মিলিয়ে একটা লিখে ফেলা আর কি! হাঁ সে রকম লিখেও ২/৪ টা তথাকথিত পুরস্কার নেচে নেচে মার হাতে তুলে দিতাম। হায়রে ৩ টাকার খাতার সোনালী দিন আজ শুধু স্মৃতি হয়ে রইল। আমার কিন্তু যখন মনে পড়ে তখনি ভাল লাগে।
তার পর কলেজে পা রাখলাম। প্রথম দিন শুধু একটা ডাইরী হাতে আমার মত কলেজ স্টুডেন্ট ভাবতে ভাবতে অনেকেই কলেজে যেত। আবার শুরু কললাম ছন্দ মিলানো হোক না হোক চালিয়ে গেলাম। দেখলাম কারো বিদায় (মানে প্রেমিক/প্রেমিকাকে) নিয়ে কবিতার ছন্দ মিলালে দোস্তরা আমাকে বাহ বা দিত। আমিতো পাম পেয়ে আরো লিখতাম ওরা তুলে দিত আকাঙ্খার হাতে নিজের কাবতা বলে।
বেশ ভাল লাগত। তারপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় আমার প্রথম কবিতা যখন ছাপালো তখনতো আর আনন্দের সীমা নেই। কবি না হয়েও কবিদের সাথে আমার ছন্দ মিলানো লাইনগুলো পড়ে আর কেউ আনন্দ না পাক আমি কিন্তু বারবার পড়তাম।
এই রকমই হয় বোধহয় মাঝে মাঝে আমাদের জীবনের অদ্ভুদ পাগলামীগুলো। হোক না এই রকম তবুও বলি আমার মত যারা আছেন।
চালিয়ে যান কারন আনন্দ কেউ আপনাকে দেবেনা, বরং আপনার আনন্দ আপনার একান্ত মন নামের কারখানায় তৈরি। তাই বলি যে ভাল কাজটি আপনাকে ক্ষুদ্রতর আনন্দ দেয় কিংবা ভাল লাগায় তাই বিরাট পাওয়া।
ভেবে দেখেন তো আসলে কয়জন পারে দুটো লাইন লেখার মন মানসিকতা তৈরি করতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।