বাস্তব কি আসলে এতই কঠিন………….
রোজ রোজ দিন শেষে আঁধার নেমে আসে, জোনাকিরা আলো দিয়ে পৃথিবীকে জাগ্রত রাখে তাদের নিয়ম মাফিক । পৃথিবীর কোন এক স্বপ্ন কুঠিরে আমার স্বপ্ন গুলোও রোজ রোজ আলো দিত, জাগিয়ে রাখতো আমার মন্দির , যতদিন না বাস্তবের মুখোমুখি হলাম । আশার তরীতে ভর করে অনেক স্বপ্নের নিঃশ্বাস সঞ্চয় করে ভর্তি হলাম পাবলিক ভার্সিটি “ডুয়েট” এ, কাংখিত সি.এস.ই ডিপার্টমেন্ট ও পেলাম । শুরু হলো স্বপ্নের পথচলা । ইন্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে পড়া সত্বেও মাথায় সব সময় ক্রিয়েটিভ কিছু কাজ করার চিন্তা ঘুরপাক খেত যা বলা চলে একেবারে ছোট বেলার বদ অভ্যাস ।
লিখে ফেললাম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আমার প্রথম উপন্যাস, যা বিনা পয়সায় প্রকাশিত হলো একুশে বইমেলায় । আমার আত্মবিশ্বাসের পারদ আরও টগবগ করতে লাগলো ভাবলাম যে পথ আমি চাই, সে পথের দেখা একদিন আমি পাবই । আরে ইন্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে পড়, তোমার এসমস্ত লেখালেখির কোন মূল্য আছে, অনেকের এজাতীয় টিপ্পনি আমার গায়ে লাগতো না । অবশেষে ভার্সিটি লাইফ শেষ করে পা দিলাম আসল লাইফে, ক্রিয়েটিভ কাজ করার মন বাসনা থেকেই প্রাথমিকভাবে স্ক্রিপ্ট রাইটিং, প্রোডাকশন অ্যাসিস্টেন্ট কিম্বা ভিডিও এডিটিং এ কাজ করার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোতে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করলাম, এমনও আবদার করলাম, আমার জন্য শুধু দাড়াবার জায়গাটুকু হলেও হবে সে যেই পোষ্ট হোক তারপর আমার যোগ্যতা দিয়ে ঠিকই জায়গা করে নিব, শুরু হল আসল বাস্তব । এতদিনে ভুল বোঝা শব্দটার মমার্থ খুজে পেলাম “ নাই মামার চেয়ে,কানা মামা ভাল” ।
যার কানা মামাও নাই তার জন্য আজকের পৃথিবীটা আসলে বড়ই কঠিন । মামা..মামা…মামা….. মামা ছাড়া আসলে কোন পথই মসৃন নয় । বলেছিলাম মামা নাই কিন্তু সুযোগ পেলে যোগ্যতা প্রমানের সামর্থ আছে,পরিশ্রম আর পরিশ্রম করার মন মানসিকতা আছে,ক্রিয়েটিভ কাজ করার সাহসিকতা আছে । নাহ অবশেষে হতাশ….. বুঝলাম আমার মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের হতাশার বৃত্তে বন্দী হওয়া ছাড়া আর কি বা করার আছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।