মনে ভেতর দ্বিধা, পা বাড়াতে বাঁধা, শেকল পড়া পায়, কদিন বাঁচা যায় । বেঁচে থাকা যে দায়। দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুল, মনের আগল খোল, রক্ত আবির অঙ্গে মেখে " সূর্যস্নানে চল " অনেক দিন আগে এই গল্প তা আমি শুনেছিলাম। তখনই খুব বড় একটা ধাক্কা লাগলো। অসাধারণ এইটা গল্প।
যারা এখনো জানেন না তাদের কাছে নিঃসন্দেহে খুব ভালো লাগবে আশা করি।
" অর্ফিয়ূস " গ্রিক গড এপোলোর ছেলে। সে ছিল অসম্ভব দক্ষ একজন মিউজিসিয়ান। সবাই তার গান শুনতে যেত। এমনকি পশু পাখিও তার গানের খুব ভক্ত ছিল।
তার অসম্ভব একজন সুন্দর স্ত্রী ছিল। ইউরিডিসি। তাদের মধ্যে ভালোবাসার কোন কমতি ছিল না। দুজন দুজন কে অসম্ভব ভালোবাসতো।
একদিন বাগানে অর্ফিয়ূসের গান শুনতে গেল ইউরিডিসি।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেদিন বাগানে একটি সাপ তাকে দংশন করে।
মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন ইউরিডিসি।
কিন্তু অর্ফিয়ূস কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না নিজের ভালোবাসার মানুষটির মৃত্যু। যে কোন কিছুর বিনিময়ে তিনি ফিরিয়ে আনতে চান তার ভালোবাসার মানুষকে। তিনি ছুটে চলেন মৃত্যু দেবতা হিরিস এর কাছে।
তার অসাধারণ গান দিয়ে প্রার্থনা করেন হিরিসের কাছে তার প্রিয়তমাকে ফিরিয়ে দেবার জন্য।
অসাধারণ গানে মুগ্ধ হয়ে মৃত্যু দেবতা হিরিস ইউরিডিসিকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হন। কিন্তু একটা শর্ত জুড়ে দিলেন তিনি।
সেদিন রাত্রে অর্ফিয়ূস ইউরিডিসিকে তার পেছন পেছন নিয়ে যাবে ঠিকই তবে সূর্যের আলো শরীরে লাগার আগে সে পেছন ফিরে তাকাতে পারবে না। অর্থাৎ সূর্যের আলো শরীর স্পর্শ করার আগে সে ইউরিডিসিকে দেখতে পারবে না।
আর এই সূর্যের আলো শরীরে লাগার পূর্বেই যদি অর্ফিয়ূস ইউরিডিসিকে দেখে ফেলেন তবে ইউরিডিসি চিরতরে দূরে চলে যাবে।
এই শর্ত মেনেই শুরু হল তাদের পথ চলা।
অর্ফিয়ূস, ইউরিডিসিকে দেখার জন্য এতই ব্যাকুল হয়ে উঠলেন যে সূর্যের আলো তার শরীরে লাগার সাথে সাথেই তিনি পেছন ফিরে ঘুরে দাঁড়ান।
যার ফলে তিনি চিরদিনের জন্য হারান ইউরিডিসিকে। ইউরিডিসি চলে যান না ফেরার দেশে।
ইউরিডিসির চিরতরে দূরে চলে যাবার কারণ হল " অর্ফিয়ূস যখন পেছন ফেরে তাকিয়েছিলেন তখনও সূর্যের আলো ইউরিডিসির গায়ে লাগেনি। লেগেছিল শুরু অর্ফিয়ূসের গায়ে। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।