ধরায়ে দেবানি... ইউটিউবের একটি ভিডিও নজরে আসলো আজকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে জাতীয় সংসদের সাংসদ ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থ একটি লাইভ টিভিতে কথা বলছেন। সেখানে তিনি বলছেন যে তিনি ১৯৯৭ সালে ব্যারিস্টার হয়েছেন এবং এরপর ব্যারিস্টার রফিকের জুনিয়ার হিসাবে কাজ করেছেন। তারপর তিনি নাকি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের শিক্ষকতা পার্থ কবে করলেন? ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন কি জিনিস এইটা পার্থ কি জানে? এই ইউনিভার্সিটির আন্ডারে আছে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, কিংস কলেজ, কুইন মেরী, সোয়াস সহ সব নামীদামী ১০টা কলেজ।
এরাই মূলত ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পার্থের কথাতে যা বুঝলাম যে তিনি এই ইউনিভার্সিটির আন্ডারে এই কলেজগুলাতে শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু আদতে কি তা সত্য?
ইতিহাস বলে আনাদলিব পার্থ ঢাকাতে নিজের টাকায় ব্রিটিশ স্কুল অফ ল নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালায় যেখানে ২০০২ সালের দিকে তার পার্টনার ব্যারিস্টার রাহাত খলিলের সাথে বচসায় লিপ্ত হয়ে তাকে রিভলবার দিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই ইন্সটিটিউশন থেকেই বের করে দেয়। এটা অনেকটা একটা কোচিং সেন্টারের মতন।
ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের আইন বিষয়ক এক্সটারনাল কোর্স গুলি করিয়ে থাকে পার্থের এই প্রতিষ্ঠান এবং এরকম ভুরি ভুরি প্রতিষ্ঠান আছে যারা ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের এক্সটারনাল কোর্স করায়।
কিন্তু নিজের তৈরী এমন কোচিং সেন্টারে পড়ালেই ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের শিক্ষক হয়ে যায় না। কিন্তু লাইভ টিভিতে এমন ফ্রডগিরি তথ্য দেয়াটা আইনত অপরাধ।
একজন আইনের প্রণেতা হয়ে, একজন সংসদ সদস্য হয়ে পার্থ কেন লাইভ টিভিতে নিজের পরিচয় নিয়ে মিথ্যাচার করলেন? দয়া করে এই পোস্টের মাধ্যমে এই মিথ্যুকের কথা আপনারা সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।