নিহত আমিনুল ইসলাম রয়েল (৩২) স্থানীয়ভাবে সাংসদের এপিএসের দায়িত্ব পালন করতেন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন সাংসদ।
পুঠিয়া থানার ওসি আবু ওবাইদা জানান, রয়েল বিড়ালদহ মাজারের কাছে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রোববার রাত আড়াইটার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাসায় গিয়ে তাকে গলা কেটে ফেলে যায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রয়েলের মৃত্যু হয়।
এসময় হামলাকারীরা রয়েলের ঘরে ভাংচুর চালায় বলে ওসি জানান।
বাড়ির মালিক ইয়াকুবের স্ত্রী জামেলা বেগম বলেন, রাতে রয়েলের চিৎকারে শুনে ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সব ঘরের দরজায় বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল।
“জানালা দিয়ে দেখি, ৬/৭ জন যুবক তাকে ঘর থেকে টেনে বের করে জবাই করে পালিয়ে যায়।
”
তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে ঘরের ছিটকিনি খুলে দেয় বলে জানান জামেলা। পরে রয়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, “রয়েলে আমার দলের সক্রিয় কর্মী। রাত ১টা পর্যন্ত সে আমার বাসায় ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে।
”
নিহতের বড় ভাই ওয়াইদুল ইসলাম জুয়েল জানান, ভাইদের সঙ্গে মনোমানিল্য হওয়ায় গত ছয় মাস ধরে ইয়াকুবের বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন রয়েল।
রাজনৈতিক কারণেই রয়েলকে হত্যা করে হয়েছে বলে বড় ভাইয়ের ধারণা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।