আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আটলান্টিকের ওপারে প্রথম মুসলিম।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু শিক্ষিত লোকই জাতির মেরুদণ্ড নহে চিকনকালা নামে একজন ব্লগার এটা নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। মহানবি(সাঃ) এই বিষয়ে জানতেন কি জানতেন না সে বিতর্কে আমার সীমিত মেধা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই। উনার এই প্রশ্নের জবাব সামুর অন্য পণ্ডিত ব্লগারগন হয়ত দিতে সক্ষম হবেন। তবে ওনার পোস্টের ১২ নং কমেন্টে ব্লগার ব্ল্যাক_ডায়মন্ড বলেছেন, “কোথায় যেন পরেছিলাম যে কোন এক মুসলিম নাকি সবার আগে আমেরিকা গিয়েছিল। কলম্বাসকে নিয়ে পশ্চিমারা মিথ্যাচার করেছে।

আমার ধারণা এটা মিথ্যা। কারন মুসলিমেরা বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গালমন্দ করে কোরআন থেকে তথ্য চুরির অপরাধে। এটাও এরকম একটা মুসলিম প্রোপাগান্ডা”। যেহেতু এখনো ওয়াচে আছি, তাই পোস্টে কমেন্ট করতে পারছি না। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই।

অনেকেই হয়ত শুনে হাসবেন তবে এটি মোটেও মুসলিম প্রপাগান্ডা নয়। কলম্বাসের প্রায় ৭২ বছর পূর্বেই একজন চাইনিজ মুসলিম নাবিক ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার উপকূল ধরে আটলান্টিক পেরিয়ে আমেরিকা পৌঁছান। তার নাম ঝেং হি। তিনি মিং রাজাদের চাইনিজ নৌবাহিনীর একজন নাবিক ছিলেন। তার অন্য নাম হল মা সানাব।

“মা” শব্দটি আরবি মুহাম্মদের চাইনিজ প্রতিশব্দ। তিনি চীনের ইয়ুনানে ১৩৭১ সালে জন্মগ্রহন করেন। আরব সুলতানদের কাছে তিনি হাজী মাহমুদ শামসুদ্দিন নামেও পরিচিত ছিলেন। মিং রাজবংশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তিনি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও রোমান সাম্রাজ্য পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি ১৪২১ সালে আমেরিকার উপকূলে অবতরন করেন যা বিভিন্ন চীনা ঐতিহাসিকগণ বলেন।

তাকে নিয়ে ইতোপূর্বে বিবিসিতেও একটি ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়েছিল। তিনি ১৪৩৩ সালে সমুদ্রে ভ্রমণরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আজকাল মুসলিমদের অনেক অপ্রকাশিত কীর্তি নিয়ে কিছু বললেই সেটাকে মুসলিম প্রপাগান্ডা বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এরকম অনেক অপ্রকাশিত ঘটনা রয়েছে যেগুলো ইউরোপিয়ানরা অন্যদের কাছে গোপন করেছিল। এর অনেক কিছুই এখন উদ্ঘাটিত হচ্ছে।

ঝেং হি কে নিয়ে কয়েক বছর আগে সমকাল পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সবশেষে আরেকটি তথ্য দিয়ে শেষ করতে চাই, “চিকনকালা’ ভাই তার পোস্টের প্রথমেই উল্লেখ করেছেন আমেরিকার কোথাও মুসলিম প্রধান দেশ নাই। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম ও.আই.সি”র সদস্য রাষ্ট্র এবং জনসংখ্যার অধিকাংশই মুসলিম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।