আমরা সাধারনত সময়ের বিভিন্ন পিরিয়ডে যার যার মত নির্দিষ্ট কিছু চিন্তা দ্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকি। তরুনদের ক্ষেত্রে সাধারনত বিষয়গুলা হয় পড়ালেখা,প্রেম-যৌনতা,শূন্যতাবোধ,ফেসবুক-ব্লগ রিলেটেড বা কোন বিষয়ে প্যাশন(সাহিত্য,সিনেমা,গান ইত্যাদি। প্রতিদিন নিজেকে ঘিরে চারপাশের ঘটনা এবং অথিতি ঘটনাতো আছেই...এসকল কারনেই হয়ত মৃত্যুর মত অনিবার্য বিষয়েও 'সকল প্রানীই মৃত্যুর সাদ গ্রহন করবে' টাইপ একলাইন তথ্য ব্যাতিত আরকোনো অনুভূতি কাজ করেনা। মৃত্যুভয় অবশ্য আলাদা ব্যাপার বাসে উঠছে এক্সিডেন্ট হবেই আজকে কিম্বা দুরারুগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় টাইপ।
শিরোনামের বিষয় বস্তু সিনেমাতে আসি
IKIRU: (TO LIVE)
আকিরা কোরুসাওয়া নিজের মৃত্যু বিষয়ক চিন্তা থেকেই ইকিরুর সৃষ্টি।
সিনেমাটা দুটি পার্টে বিভক্ত করা যায়। (তাকাশি শিমুরা অভিনীত)ওয়াতানাবি হাজারো বছরের আবর্তে মনুষ্য সৃষ্ট সামাজিক নিয়মের স্রোতে বয়ে চলা একজন কমন ম্যান,বয়স পঞ্চাশোর্ধ সরকারি আমলা যার ক্যান্সার ধরা পরে আয়ু অল্প,ধাক্কা খায়,হতাশ হয়,নিজ সম্পর্কে ছেলের মানসিকতা আবিস্কার করে,জীবন উপভোগের চেষ্টা করে...কাজে ফেরে শেষ কাজ হিসাবে নানা প্রতিকূলতার মাঝে একটা পার্ক নির্মানের কাজ শেষ করে,মারা যায়,১ম পার্ট এপর্যন্তই। সাধারন একটা ভালো সিনেমা হিসেবে এটুকুই যথেষ্ট (একারনেই একটানে কাহিনীসংক্ষেপ)কিন্তু সিনেমটা কোরুসাওয়ার যা অসাধারন ভালো সিনেমা,২য় পার্ট শুরু ওয়াতানাবির মৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে,শুধু একটা ফ্যাক্ট বলি,অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার মধ্যে আলোচনার বিষয় হয় পার্ক বানানোর পূর্বেই সে জানতোকিনা তার ক্যান্সার ছিল। কারো হয়ত ১২এংরি মেন এর কথাও মনে পরে যেতে পারে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে পার্কের দুলনায় বসে ওয়াতানাবি নিচের লাইনগুলা গায়
“Life is brief. Fall in love, maidens, before the crimson bloom fades from your lips, before the tides of passion cool within you, for those of you who know no tomorrow.”
আমার মনে হয় এই সিনেমায় কোরুসাওয়া জীবনের একটা মানে দেখাইতে চাইছে যা একেকজনের জন্যে একেকরকম।
এখানে maidens বলতে তাকেই বুঝানো হয়েছে যে এখনো ভালবাসেনি যে ভালোবাসা জিয়োগ্রাফি চ্যনেলের কতিপয় ব্যক্তি সাপ ও অন্যান্য জীবজন্তুদের বাসে,এলেখার কতিপয় পাঠক যেমন সিনেমাকে বাসেন,যেকোন বস্তু বা কাজের প্রতি...জীবনকে মিনিংফুল করতে প্যশন নিজের ভেতরি শুকিয়ে হয়ে যাওয়ার পূর্বেই...সিনেমার শেষ দৃশ্যটা অসাধারনের থেকে বেশি কিছু।
ডাউনলোড লিঙ্ক
Click This Link
টরেন্ট লিঙ্ক
Click This Link)_Akira_Kurosawa
ENTER THE VOID:
মৃত্যু সম্পর্কিত সবচেয়ে গাড় বা মোটা দাগের মুভি মনে হয় এটাই। সিনেমার শুরু থেকেই ক্যামেরা থাকে অস্কারের পয়েন্ট অফ ভিউয়ে প্রায় পুরা সিনেমাই(ফ্ল্যশব্যাক ঘটনাগুলা ব্যাতিত) আমরা তার চোখ দিয়াই দেখি বলা যায়। অস্কার ও লিন্ডা ভাইবোন বাবামা ছোটবেলায় কার এক্সিডেন্ট এ মৃত। ভাই ড্রাগ সেবি,বিক্রিও করে,বোন ক্লাবে স্ট্রিপার...ঘটনাচক্রে অস্কার পুলিসের গুলিতে মারা যায়... মৃত্যুর পর The-Tibetan-Book-of-the-Dead(বইটায় মৃত্যু পরবর্তি ঘটনাবলির বর্ননা দেয়া আছে নামাইছিলাম পড়িনি তবে শিরোনাম তালিকাতে day1,day2 এভাবে day14 পর্যন্ত আছে যার মানে হয়ত মানুষের মৃত্যুর পরবর্তি ১৪ দিন পর্যন্ত বর্ননা দেয়া আছে এ বইয়ে)এ বর্ননামত ওস্কারের চোখ দিয়া বিভিন্ন রঙের আলো দেখি উপরের দিকে উঠে যাই ডেথস্পট থেকে বিল্ডিঙ্গের ছাদের উপর দিয়ে ভেসে ভসে আমরা লিন্ডার কর্মক্ষেত্রে চলে যাই কিছুক্ষন স্ট্রিপিং দেখার পর আরো এগিয়ে দেখতে পাই লিন্ডা তার দালালের সাথে সেক্সে লিপ্ত তার সেলফোন বেজে উঠে আমরা দ্রুত উড়ে চলে যাই অস্কারের বন্ধুর কাছে যে ফোনে লিন্ডাকে বলতাছে অস্কার মারা গেছে।
অস্কারকে যখন পোড়ানো হয় অস্কারের বন্ধু ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলে they burnt u,did'nt they?আমাদের উদ্দেশ্যেই সরাসরি বলা হয় c'mon think about it,c'mon close your eyes and think about it.আন্তত চেখব বলেছিলেন তিনি মানুষকে দেখাতে চেয়েছেন কি বিশ্রী ও বিরস মানুষের জীবন যাতে মানুষ তা বুঝতে পেরে জীবনকে নতুনভাবে সাজায়,এন্টার দ্য ভয়েডকে এই ক্যাটাগরিতে ফেলা যায় হয়ত। (অশ্লীল হিউমার,মেয়ে মাল,ঐদিনত জটিল অবস্থা কয়েকজন মিলা মাল খাইতাছি আমারত ধরেনাই এক বড় ভাইতো বমি কইর্যা অস্থির অবস্থা)এইযে একটা সার্কেল,কিছু মানুষ কখনোই এ সার্কেল থেকে বেরোতে পারেনা। এক বন্ধুর কাছে শুঞ্ছিলাম তার এক বন্ধু ৫-৬ জন মিলা মদ খাওয়ার সময় হটাত একজন ভয়ংকর ভাবে বমি শুরু করে বাকিরা ভয়ে পালায় ছেলেটা মারা যায়। সিনেমটিক কৌশলের জন্ন্যেও সিনেমটা গুরুত্বপূর্ন। অনেকগুলা দৃশ্যের মধ্যে কয়েকটা মনে আসতেছে
#শৈশবের অনেকগুলা দৃশ্য
#কার এক্সিডেন্ট
#বন্ধুর বাসায় আকানো ছবি দেখে শিশু অবস্থায় বুকের দুধ খাওয়ার স্মৃতি রোমন্থন
#লিন্ডার এ্যাবোর্শোনের সময় ক্যামেরার অস্থির উড়াউরি
ডাউনলোড লিঙ্ক
Click This Link
DEPARTURES:
জাপানের মুভি ফরেন কোঠায় অস্কারজয়ী সুপরিচিত হওয়ার কথা।
এক লাইনে মন্তব্য
"এই সিনেমা দেখার পর মনে শান্তি ও পবিত্রতা মিশ্রিত একধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয়"
ডাউনলোড লিঙ্ক
Click This Link
THE SEA INSIDE:স্প্যানিস ফরেন কোঠায় অস্কারজয়ী। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হিন্দি গুজারিশেও একি ঘটনা,পার্থক্য হলো দেখে মনে হয় the sea inside পরিচালক সিনেমাটা তৈরি করেছে দর্শককে বিনোদনের মাধ্যমে একটা ফ্যাক্টের সামনে দ্বার করাতে। আর গোজারিশ দেখে মনে হয় বানসালি দর্শকের কয়েক কিলো ইমোশন আদায় করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তৈরি করেছে।
ডাউনলোড লিঙ্ক টরেন্ট
Click This Link
কালপুরুষঃবুদ্ধদেব দাসগুপ্তের সিনেমা। সিনেমার থিম অনেকটা মেরিল স্ট্রিপ,কিডম্যান অভিনীত স্টিফেন ডার্ডলি(the reader) the hours মুভির কাছাকাছি।
বাবা(মিঠুন) আত্নহত্যা করে ছেলে(রাহোল বোস)যখন জীবন পুরাপুরি অর্থহীন হয়ে যায় তখনোও বেচে থাকার অদম্য আগ্রহ থাকে। বছরখানিক আগেই মুভিটা ৩বার দেখে ফেলছি। পরিচালক নিজে কবি মানুষ। তার মুভিতেও কবিতার আমেজ থাকে।
ডাউনলোড লিঙ্ক
http://www.filmshowonline.net/videos/16621/
টরেন্ট
Click This Link
DASVIDANIYA
সিনেমাটা দেখে এতই ভালো লাগছিলো যে ঐসময় অভিনেতা বিনয় পাঠাকের যেকোনো মুভি পেলেই দেখে ফেলতাম।
ডিভিডি কভারের রিভিউতে দেখছিলাম সিনেমাটা নিকলসন ফ্রিম্যান অভিনিত বাকেট লিস্ট মুভি থেকে নিছে ইকিরু দেখার পড় দেখলাম হাস্পাতালের ক্যান্সার হয়েছে জানার দৃশ্যটা সরাসরি ইকিরু থেকে নিছে। বেশকিছু টাচি মোমেন্ট আছে মুভিটাতে। নেহাধুপিয়া(বিবাহিত,সন্তানের মা) তার বাসার দরজায় দারিয়ে বাইরে বৃষ্টির মধ্যে ভিজছে বিনয়,হাত হাটুর কাছ থেকে মাথা পর্যন্ত নিয়ে অংগভংগির মাধ্যমে বোঝায় তাকে ছোটবেলাথেকেই ভালোবাসে নেহাধুপিয়া ঘর থেকে বের হতে উদ্ধত হয় বিনয় পাঠাক হাত উচিয়ে থামিয়ে দেয়।
ডাউনলোড লিঙ্ক
Click This Link
death trilogy,The Diving Bell and the Butterfly,Talk To Her টাইপ মুভিগুলাকেও হয়ত মৃত্যু রিলেটেড বলা যায়। আমি নির্দিষ্ট পয়েন্টথেকে তালিকার মুভিগুলা নিয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।