একটি নগরের কমপক্ষে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ভাড়াটিয়া (ঢাকা নগরীতে এদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি) , বাকি ২০ভাগ বাড়িওয়ালা বা ক্ষমতাধর ব্যক্তি । শহরের জনসংখ্যার, সংখ্যা গরিষ্ঠ শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত হয়েও এরা অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত এবং মানসিক ভাবে নির্যাতিত। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পদ মর্যদা যতই উচ্চ হোক, যে কোন মহল্লাতে এরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে জীবন যাপন করেন। যত দিন যাচ্ছে এই অবহেলা এবং বঞ্চনার মাত্রা আরও তীব্রতর হচ্ছে। ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষার জন্য না আছে কোন শক্তিশালী সংগঠন না আছে কোন কার্যকর আইন।
বাড়িভাড়া আইন-১৯৯১ বলে একটি আইন থাকলেও,এটি এতটাই অকার্যকর যে বেশীর ভাগ মানুষ এ আইনের নামটি পর্যন্ত জানে না। এই আইনে থাকলেও, বেশীর ভাগ বাড়িওয়ালা কোন রকম বাড়িভাড়ার চুক্তি করেন না, ভাড়ার রসিদ প্রদান করেন না, মূলত সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য। বাড়িভাড়া নির্ধারণ ও বৃদ্ধি করেন নিজের ইচ্ছামত, এক কথায় এই আইনের কোন তোয়াক্কাই তারা করেন না এবং এ কারনে কাউকে শাস্তি পেতে হয়েছে তাও শোনা যাইনি।
একজন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ব্যক্তিকে তার আয়ের শতকরা ৫০-৭০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় করতে হয় শুধু একটা মাথা গোজার ঠাঁই এর জন্য। বাড়িওয়ালার নানা শর্ত পুরন করে এরকম একটা ঠাঁই যোগাড় করাও এখন ঢাকা শহরে দু:সাধ্য।
যদি বা বাড়ি মিলে, সে বাড়িতে কতদিন থাকতে পারবেন তা নির্ভর করে, বাড়িওয়ালার মন জুগিয়ে কতদিন চলতে পারবেন তার উপর। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি,বাড়ির মেরামত এসবের ব্যপারে কোর নিয়ম নেই সবই নির্ভর করে বাড়িওয়ালার মর্জির উপর।
কোন এলাকার ভাড়াটিয়ার সংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগ হলেও ওয়ার্ড কমিটি, এলাকার স্কুল কমিটি, মসজিদ কমিটি, কমিউনিটি পুলিশিং এর ক্ষেত্রে এ শ্রেণীর শতকরা ৫ ভাগ প্রতনিধিত্বও থাকেনা। এমনকি এলাকার ঊন্নয়ন বা আইন শৃংখলা সংক্রান্ত কোন সভায় সরকার থেকেও এদের কখনও ডাকা হয়না। এ কারণে ছোট খাট অন্যায় অবিচার এরা মুখ বুজে সহ্য করেন।
সামনে, পিছনে শুনতে হয় অবজ্ঞা সুচক শব্দ ”ভাড়াইট্টা”।
সম্প্রতি ডিজিটাল বাংলাদেশে এদের জন্য আরেকটি উপহার দেওয়া হয়েছে, তা হল, যে কোন বাড়িওয়ালা অনলাইনে তার ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে জি.ডি করতে পারবেন।
বাস ভাড়া বৃদ্ধি এবং এক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গণমাধ্যম, বিরোধীদল এমনকি সরকারি দলের অনেকে সোচ্চার এবং সরকারও বাস মালিকদের সাথে অনকেবার বৈঠকে বসেছেন, অথচ যাতায়াত খাতে একজন ব্যক্তি তার আয়ের শতকরা ১০ ভাগও ব্যয় করেন না। চিনির দাম, তেলের দাম এমনকি কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও বেশ স্বরব প্রতিবাদ হয়। কারন ক্ষমতাবানরাও এর ভুক্ত ভূগি ।
অথচ বাড়িভাড়ার ক্ষেত্রে একজন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ব্যক্তিকে তার আয়ের শতকরা ৫০-৭০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। গত দু’তিন বছর ধরে বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চলছে লাগামহীন প্রতিযোগীতা, কিন্তু এ ব্যপারে সরকার, বিরোধীদল এমনকি গণমাধ্যম গুলোও সম্পূর্ন নীরব। কারণ ক্ষমতাবান মানেই বাড়িওয়ালা, ক্ষমতাহীন মানে ভাড়াটিয়া ।
ভাড়াটিয়ারাও জানেন এর কোন প্রতিকার নাই। তাই বেশীরভাগ অন্যায় তারা মুখ বুঝে সহ্য করেন।
শুধু স্বপ্ন দেখেন বাড়িওয়ালা শ্রেণীতে উন্নিত হওয়ার।
একটি নগরের কমপক্ষে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ভাড়াটিয়া (ঢাকা নগরীতে এদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি) , বাকি ২০ভাগ বাড়িওয়ালা বা ক্ষমতাধর ব্যক্তি । শহরের জনসংখ্যার, সংখ্যা গরিষ্ঠ শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত হয়েও এরা অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত এবং মানসিক ভাবে নির্যাতিত। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পদ মর্যদা যতই উচ্চ হোক, যে কোন মহল্লাতে এরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে জীবন যাপন করেন। যত দিন যাচ্ছে এই অবহেলা এবং বঞ্চনার মাত্রা আরও তীব্রতর হচ্ছে।
ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষার জন্য না আছে কোন শক্তিশালী সংগঠন না আছে কোন কার্যকর আইন। বাড়িভাড়া আইন-১৯৯১ বলে একটি আইন থাকলেও,এটি এতটাই অকার্যকর যে বেশীর ভাগ মানুষ এ আইনের নামটি পর্যন্ত জানে না। এই আইনে থাকলেও, বেশীর ভাগ বাড়িওয়ালা কোন রকম বাড়িভাড়ার চুক্তি করেন না, ভাড়ার রসিদ প্রদান করেন না, মূলত সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য। বাড়িভাড়া নির্ধারণ ও বৃদ্ধি করেন নিজের ইচ্ছামত, এক কথায় এই আইনের কোন তোয়াক্কাই তারা করেন না এবং এ কারনে কাউকে শাস্তি পেতে হয়েছে তাও শোনা যাইনি।
একজন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ব্যক্তিকে তার আয়ের শতকরা ৫০-৭০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় করতে হয় শুধু একটা মাথা গোজার ঠাঁই এর জন্য।
বাড়িওয়ালার নানা শর্ত পুরন করে এরকম একটা ঠাঁই যোগাড় করাও এখন ঢাকা শহরে দু:সাধ্য। যদি বা বাড়ি মিলে, সে বাড়িতে কতদিন থাকতে পারবেন তা নির্ভর করে, বাড়িওয়ালার মন জুগিয়ে কতদিন চলতে পারবেন তার উপর। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি,বাড়ির মেরামত এসবের ব্যপারে কোর নিয়ম নেই সবই নির্ভর করে বাড়িওয়ালার মর্জির উপর।
কোন এলাকার ভাড়াটিয়ার সংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগ হলেও ওয়ার্ড কমিটি, এলাকার স্কুল কমিটি, মসজিদ কমিটি, কমিউনিটি পুলিশিং এর ক্ষেত্রে এ শ্রেণীর শতকরা ৫ ভাগ প্রতনিধিত্বও থাকেনা। এমনকি এলাকার ঊন্নয়ন বা আইন শৃংখলা সংক্রান্ত কোন সভায় সরকার থেকেও এদের কখনও ডাকা হয়না।
এ কারণে ছোট খাট অন্যায় অবিচার এরা মুখ বুজে সহ্য করেন। সামনে, পিছনে শুনতে হয় অবজ্ঞা সুচক শব্দ ”ভাড়াইট্টা”।
সম্প্রতি ডিজিটাল বাংলাদেশে এদের জন্য আরেকটি উপহার দেওয়া হয়েছে, তা হল, যে কোন বাড়িওয়ালা অনলাইনে তার ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে জি.ডি করতে পারবেন।
বাস ভাড়া বৃদ্ধি এবং এক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গণমাধ্যম, বিরোধীদল এমনকি সরকারি দলের অনেকে সোচ্চার এবং সরকারও বাস মালিকদের সাথে অনকেবার বৈঠকে বসেছেন, অথচ যাতায়াত খাতে একজন ব্যক্তি তার আয়ের শতকরা ১০ ভাগও ব্যয় করেন না। চিনির দাম, তেলের দাম এমনকি কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও বেশ স্বরব প্রতিবাদ হয়।
কারন ক্ষমতাবানরাও এর ভুক্ত ভূগি । অথচ বাড়িভাড়ার ক্ষেত্রে একজন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ব্যক্তিকে তার আয়ের শতকরা ৫০-৭০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। গত দু’তিন বছর ধরে বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চলছে লাগামহীন প্রতিযোগীতা, কিন্তু এ ব্যপারে সরকার, বিরোধীদল এমনকি গণমাধ্যম গুলোও সম্পূর্ন নীরব। কারণ ক্ষমতাবান মানেই বাড়িওয়ালা, ক্ষমতাহীন মানে ভাড়াটিয়া ।
ভাড়াটিয়ারাও জানেন এর কোন প্রতিকার নাই।
তাই বেশীরভাগ অন্যায় তারা মুখ বুঝে সহ্য করেন। শুধু স্বপ্ন দেখেন বাড়িওয়ালা শ্রেণীতে উন্নিত হওয়ার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।