এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস অযোগ্য শহর নির্বাচিত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ‘বৈশ্বিক বসবাস উপযোগিতা’ শীর্ষক এক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। অপরদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর নির্বাচিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। অবশ্য এ জরিপের পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন তুলেছেন নগরবিদরা।
অবকাঠামোগত পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় রেখে মেলবোর্ন এব ছর ১৪০টি শহরের মধ্যে প্রথম আর ঢাকা সর্বশেষ- ১৪০তম স্থান পেয়েছে।
গতবছর ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৯তম। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য-সুবিধা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামোর মানদণ্ডের ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে।
গত তিন বছর ধরেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের জরিপের ফলাফলে ঢাকা শোচনীয় অবস্থানে ছিল। এবার তা আরো নাজুক হয়েছে। তবে বিশেজ্ঞরা বলছেন, বিগত ১০ বছরে ঢাকা ক্রমান্বয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নগরবিদ অধ্যাপক নজরুর ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে গত ৫ বছরে, ১০ বছরে বা গত ৩ বছরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবস্থা নিশ্চয়ই ভালো হয়েছে, অনেক বেশি উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বেড়েছে এবং চিকিৎসার সুযোগ কারো কারো জন্য বেড়েছে, বৃহত্তর সংখ্যার জন্য বাড়েনি। অথবা যেটা এই জরিপে আসে না সেটা হলো অর্থনৈতিক অবস্থানটা কী। অর্থনৈতিক ভিত্তিটা কী আগের চেয়ে মজবুত না দুর্বল। ’
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে সুশাসনসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে জোরালো অবস্থানের কথা বললেও বিনিয়োগের সময় এই দেশগুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে উন্নত দেশগুলো।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ করলেও শিল্পায়ন করতে পারবে।
এটা হলো তাদের লাভ, আমাদের লাভ না। সুতরাং তারা হয়তো এটাও হয়তো থাকতে পারে যে কোথায় বাসযোগ্যতা সবচেয়ে কম। আমরা বরং সেইখানে যাই, কারণ আমাদের খরচ কম হবে। ’
গোষ্ঠীগত নিরাপত্তা আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে অগ্রগতির উল্লেখ করে সেদিক থেকে দিয়ে শহরটির অবস্থান আরেকটু ভালো হতে পারতো বলে মনে করেন তিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।