"বাবারা যখন য়্যুনিভার্সিটিতে পড়তেন..." আমাকে ও বরাবরের মত
থামিয়ে দিয়ে বলল,"তোমার কয়জন বাবা বলত?"
রাতের সব থেকে এই সময়টাতেই ও মুখ খোলে। অবাঞ্চিত লজ্জার অবগুন্ঠন সরিয়ে এই সময়টাতেই ও আমার হয় ; ঠিক যেভাবে চাই।
নেতিয়ে আসা শ্রান্ত দেহে ভর করে রাজ্যের ঘুম। আমি জেগে থাকতে চাই-।
জেগে থাকতে চাই অনন্ত।
সুখটুকু নিংড়ে শুষে নিয়ে; অজস্রবার-হাজারবার।
জড়িয়ে আসা চোখে আমি বলে যাই- গল্পটাকে ইন্টারেস্টিং বানিয়ে বলতে চাই।
আর হঠাৎই পঙ্গপালের মত হাজার হাজার অবিরত ঘটনাপ্রবাহকে আমি
ভুলে যাই। ভুলে যেতে থাকি আমাকে জেগে থাকতে হবে-আমার জন্য ও'
জেগে আছে,অপেক্ষায়...।
একটা মাংশভেদী গন্ধ আমাকে আবার জাগিয়ে তোলে।
নরম এক টুকরো
আঙ্গুলের ফাঁকে গুঁজে থাকা নখ ছুয়ে যায় আমার কাঁপা ঠোটের ম্পর্শকাতর
চেতনাগুলোয়।
"হ্যা, বাবা যখন পড়তেন, সেই সময়টা ঠিক এরকম ছিল না। বন্ধু-আড্ডা-গান সবই ছিল। আটসাট প্যান্টিতে, গলায় ওড়না পেচিয়ে, নিতম্বে
ভূমধ্যসাগরের ঢেউ তুলে সদ্য কৈশর পেরুনো ধিঙ্গী মেয়েরা গটগট করে
সামন দিয়ে হেটে যেত তখনও। বাবারা ওসব দেখে মনে মনে খিস্তিখেউর
করলেও মুখে রা শব্দটিও..."
"আবার বাবারা?"
"হ্যা।
বাবারা'ই
-অযথা তর্ক না করে শুনবে?"-ক্ষেপে উঠি আমি। আর তখুনি সরীসৃপের
মত ফস করে চাগিয়ে ওঠে ক্ষুধা। আমার হৃদপিন্ডের গতিবেগ তরতর করে বেড়েই চলে। যন্ত্রনায় একবারের মত কঁকিয়ে ওঠে ও। তারপর একসময় সামলে নেয় নিজেকে।
আর সেই সাথে সামলে উঠি আমিও।
নিরবিচ্ছিন্ন শ্রমের পর পানির তেষ্টাটা বড় বেশি পেয়ে বসে। চুমুকেই শুষে
নেই হাতের কাছে রেখে দেয়া গ্লাস। হৃদপিন্ডের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে এলে আবার শুরু করি।
"ইভ টিজিং আসলে কী? বাবাদের সময়ও বাবারা নিশ্চয়ই মুখ ফসকে একটু আধটু বলেই ফেলত, তাই নয় কী?"
"বা রে! তোমার বাবা'রা তো সাধু সন্যাসী; তারা টিজিং করবে কেন!"
"আহা, শোনই না-
ডিবি রোডের কলিম বিহারীর পানের দোকানটা ঠিক যেখানটায় ছিল,বাবা
আমায় ঠিক সেই জায়গাটাতে নিয়ে এল।
আঙ্গুল ইশারায় আর বর্ণনায় কত কিছু পরিচয় করালো- আমি নেহায়েত শিশু বলে সেইসব আর সঠিক
দেখতে তো পেলামই না, বরং আইসক্রিমের দোকানটায় চোখ আটকে গেল বরাবরের মত।
বাবা বলল, আইসক্রিম আর কত খাবি? চল, ক্ষুধা লেগেছে, প্যাটেশ্বরী
মন্দিরে কিছু পুজো দিয়ে আসি।
আমাকে নিয়ে আসা হল একটা নিরিবিলি(ঢাকাতে আবার নিরিবিলি!)
রেষ্টুরেন্টে। বাবা খেতে খেতেই টেবিলের ও প্রান্তের বাকী দু'জনের সাথে
আলাপ জমিয়ে তুললো।
পা থেকে মাথা অব্দি শিহরণ তোলা সুটৌল মেয়েটাকে বাবা হাসতে হাসতে বলেই দিল,"কিছু মনে করবেন না, কামিনী নামের মেয়রা সচরাচর একটু সেক্স হেরিটেড হয়ে থাকে।
আমার দেখা ওই নামের এ পর্যন্ত যত মেয়ে পেয়ছি এটা তাদের সবারই যেনো একটা কমন থিং। "
রাতে ফিরে এসে চুপিসারে ডিকশনারী ঘেঁটে আমি 'সেক্স' শব্দটার সহজ
একটা মানে খুঁজে পেলেও আর একটা শব্দের কথা কিছুতেই মনে আনতে পারলাম না। "
(চলবে)
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।