আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় মুভি হোম অ্যালোনের প্রধান চরিত্র সেই ছোট্ট কেভিন বর্তমানে যেমন আছেন!

খবরটি পড়ে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। আমার প্রথম দেখা ইংলিশ মুভি ‘হোম অ্যালোন’। তার প্রধান চরিত্র সেই ছোট্ট কেভিন যার কথা মনে পড়লে যে মুখটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার সাথে বর্তমান চেহারা কোনভাবেই মেলানো যাচ্ছেনা। তাই খবরটি পড়ার সাথে সাথেই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম.......... তুমুল জনপ্রিয় ‘হোম অ্যালোন’ চলচ্চিত্রের সেই ছোট্ট কেভিনের কথা মনে আছে? তীব্র বুদ্ধিমত্তা আর ধুন্ধুমার সব কাণ্ড ঘটিয়ে বাঘা বাঘা অপরাধীদের নাস্তানাবুদ করে দর্শকহূদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছিলেন কেভিন ম্যাকক্যালিস্টার চরিত্রে রূপদানকারী ম্যাকলে কালকিন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার হিট চলচ্চিত্র ‘হোম অ্যালোন’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে মাত্র ১০ বছর বয়সে রাতারাতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকায় পরিণত হন কালকিন।

দুই বছর বাদে ‘হোম অ্যালোন-২: লস্ট ইন নিউইয়র্ক’ চলচ্চিত্রেও কেভিন চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এখন তাঁর বয়স ৩২ বছর। কেমন আছেন তিনি? দুঃখজনক হলেও উত্তরটা হলো, মোটেও ভালো নেই কালকিন। মাদকের জালে জড়িয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন হলিউডের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল শিশুশিল্পী তকমা পাওয়া কালকিন। সম্প্রতি এক খবরে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বড়জোর আর মাত্র ছয় মাস আয়ু আছে তাঁর।

মার্কিন মুলুকের তারকাদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়, সাফল্য আর খ্যাতির রেশ ধরে মাদকের জালে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন ‘হোম অ্যালোন’-তারকা ম্যাকলে কালকিন। মাত্রাতিরিক্ত প্রপোফল সেবনে ২০০৯ সালে মারা গেছেন মাইকেল জ্যাকসন। শৈশবে জ্যাকসনকে গুরু মেনেছিলেন কালকিন। জ্যাকসন স্বীকার করেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তিনি মাদকের জালে জড়ান।

পেপসির বিজ্ঞাপনচিত্রে শুটিং করার সময় চুলে আগুন লাগার পর তিনি চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন শুরু করেছিলেন। মূলত এর পর থেকেই ব্যথানাশক ও চাপমুক্ত রাখার বিভিন্ন ওষুধের প্রেমে পড়ে যান তিনি। ছয় বছর বাদে ১৯৯০ সালে কালকিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে জ্যাকসনের। ১৯৯১ সালের ১১ নভেম্বর প্রকাশিত হয় মাইকেল জ্যাকসনের ‘ব্ল্যাক অর হোয়াইট’ গানটি। এর মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিয়েছিলেন কালকিন।

পরবর্তী সময় জ্যাকসন ও কালকিনকে ঘিরে মুখরোচক খবরও প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। কালকিনের সঙ্গে এক বিছানায় শুয়েছেন জ্যাকসন—এমন অভিযোগে মামলাও হয়েছে। অবশ্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জ্যাকসনকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন কালকিন। তিনি বলেন, ‘একদিন ভিডিও গেমস খেলার জন্য আমাকে ডেকেছিলেন জ্যাকসন। সেই থেকে আমাদের মধ্যে সুন্দর একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

জ্যাকসন এবং আমি দুজনই শিশু বয়সে তারকাখ্যাতি পেয়েছিলাম। সম্ভবত এ কারণেই আমাদের বন্ধনটা অনেক দৃঢ় হয়েছিল। ’ ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’ পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়েছে, জ্যাকসন যে ধরনের মাদকে আসক্ত ছিলেন, ঠিক একই ধরনের মাদকে আসক্ত কালকিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে মন্তব্য করেছেন, তবে কী জ্যাকসনের কাছেই এসব মাদক নেওয়া শিখেছিলেন কালকিন! অভিনয়জগতে মাত্র চার বছর বয়সে যাত্রা শুরু করেছিলেন কালকিন। মঞ্চ দিয়েই যাত্রাটা শুরু হয়েছিল তাঁর।

আশির দশকে মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৯০ সালে ‘হোম অ্যালোন’ চলচ্চিত্রটিই তাঁকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলে। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল কালকিন অভিনীত ‘গেটিং ইভেন উইথ ড্যাড’, ‘রিচি রিচ’ ও ‘দ্য পেজমাস্টার’ চলচ্চিত্রগুলো। এগুলো মাঝারি মাপের সাফল্য অর্জন করে। এর ছয় বছর বিরতির পর ২০০০ সালে ‘ম্যাডাম মেলভিল’ মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে ফেরেন কালকিন।

২০০৩ সালে অভিনয় করেন ‘পার্টি মনস্টার’ চলচ্চিত্রে। পরের বছর ‘সেভড!’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে হাজির হন। চলচ্চিত্রটি খুব বেশি সাফল্য না পেলেও পূর্ণবয়স্ক অভিনেতা হিসেবে প্রশংসিত হন কালকিন। ২০০৬ সালে তিনি প্রকাশ করেন আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘জুনিয়র’। কালকিন ২০১১ সালে নিরীক্ষাধর্মী ‘দ্য রং ফেরারি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

পুরো চলচ্চিত্রটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল আইফোনে। ব্যক্তি-জীবনে ১৯৯৮ সালে অভিনেত্রী র্যাচেল মিনারকে বিয়ে করেন কালকিন। কিন্তু বছর দুয়েকের মাথায় তাঁরা আলাদাভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০০২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সে বছরই আরেক অভিনেত্রী মিলা কুনিসের সঙ্গে অভিসার শুরু করেন কালকিন।

বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০১১ সালে মিলার মুখপাত্র জানান, কয়েক মাস আগে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তাঁরা। মাদকের সঙ্গে কালকিনের সম্পৃক্ততার খবর প্রথম চাউর হয় ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেবার ১৭ দশমিক ৩ গ্রাম গাঁজা ও আরও দুই ধরনের মাদকসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। এ জন্য জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে তাঁকে। অবশ্য চার হাজার ডলার মুচলেকার বিনিময়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

সুত্রঃ প্রথম আলো ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.