যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গুপ্তচরবৃত্তির খবর ফাঁস করে সাড়াজাগানো অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের পক্ষে গতকাল শনিবার হংকংয়ের কয়েক শ মানবাধিকার ও রাজনৈতিক কর্মী মিছিল-সমাবেশ করেছেন। রয়টার্স বলছে, সিআইএর সাবেক কর্মী স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এক গোপন কর্মসূচির মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য জোগাড় করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্নোডেন এখন হংকংয়ে লুকিয়ে আছেন।
রয়টার্স জানায়, সমাবেশে উপস্থিত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের সামনে সমবেত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রকে চীন ও হংকংকে লক্ষ্য করে গোয়েন্দা তত্পরতা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করেন।
তবে হংকংয়ের অন্যান্য রাজনৈতিক সমাবেশে যে পরিমাণ মানুষ উপস্থিত হন, সে তুলনায় গতকালের সমাবেশে জনউপস্থিতি ছিল বেশ কম।
পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা ‘ওবামাকে আটক করো, স্নোডেনকে মুক্তি দাও’ স্লোগান দেন। প্রতিবাদীদের অনেকের হাতে ব্যানার নিয়ে উপস্থিত ছিল। ব্যানারে লেখা ছিল ‘স্নোডেনের সঙ্গে বেইমানি করলে, তা হবে স্বাধীনতার প্রতি বেইমানি’, ‘বড় ভাই আপনাদের দিকে চেয়ে আছে’ এবং ‘ওবামা আপনার ই-মেইল খুঁজে দেখছে। ’
হংকংয়ের প্রশাসক লেয়াঙ শুন-ইং গতকাল রাতে বলেন, সমস্যার সমাধানে সরকার বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কাজ করবে।
চলমান সংকট নিয়ে লেয়াঙ এই প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন।
হংকংয়ের প্রধান রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে। প্রধান রাজনৈতিক দল ডিএবি দাবি করেছে, ‘বেআইনি’ গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ওয়াশিংটনকে ক্ষমা চাইতে হবে। ডিএবির ভাইস-চেয়ারম্যান স্ট্যারি লি বলেন, ‘আমার মনে হয় হংকং সরকারের উচিত নিজেকে রক্ষা করা। ’
গত ২০ মে স্নোডেন হংকংয়ে যান।
সেখানে তিনি গত সোমবার পর্যন্ত এক হোটেলে ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।