আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড: মেরুদন্ডের খোঁজে! (পর্ব - ২)

ব্লগিং হোক আগামীর... (আগেই বলে নেই, কাউকে ছোট করার জন্য আমি এগুলো বলছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সার্বিক চিত্র বোঝানোর চেষ্টা করছি। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অবশ্যই কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আক্রমন আমার উদ্দেশ্য না। আর এটাও মনে রাখতে হবে সামগ্রিকভাবে দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আহামরি কিছু না।

) ফানি ফ্যাক্টস আপনি জানেন কি? ১. আমাদের দেশে মেয়েরা মেডিকেলে আর ছেলেরা ইন্জিনিয়ারিং পড়তে বেশি আগ্রহী হয়। (এর কোনো জীনগত কারন আছে কি?!) মেডিকেল কলেজে তাই মেয়েদের আধিক্য আর ইন্জিনিয়ারিং এ শূন্যতা দেখা যায়! দুষ্টু ইন্জিনিয়াররা তাই তাদের পাঠস্থানকে মরুভূমি বলে থাকে!! প্রসংগত: বিয়ের বাজারে হবু ডাক্তার মেয়েদের একটা আলাদা কদর আছে! যদিও তাদের অনেকই আর ডাক্তার হতে পারেন না। (এটা স্বীকার করতেই হবে যে সদ্য মেডিকেলে ভর্তি হওয়া সুন্দরী তরুনী যখন সাদা এপ্রন পরে মুখে কৌতুকময় হাসি (নাকি চাপা অহংকার!)নিয়ে রাস্তায় বের হয়, তখন অনেক ছেলের হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায়। ওদেরকে তাই দিল মে চাক্কুই বলতে হবে...। ) ২. দেশের সেরা ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হয় বুয়েট, ডিএমসি, সলিমুল্লাহ, আইবিএ (ঢাবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে।

এই প্রতিষ্ঠানগুলির একটা ড্যাশিং ইমেজ আছে যা তরুনদের প্রলুব্ধ করে (এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারলে অনেকের মাটিতে পা পরে না)। তাদের সেই ব্যপারে আগ্রহ থাকুক আর নাই থাকুক। আমার পরিচিত একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড ফিজিক্স থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে এখন একটা ব্যংকে চাকুরী করছেন! বুয়েটের যারা বিদেশে পাড়ি জমান না, তাদের প্রথম কাজ হয় আইবিএ থেকে একটা এমবিএ নিয়ে চাকরী করা। আমার এক পরিচিত বড় ভাই বুয়েট থেকে পাশ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে জয়েন করেছিলেন। এখন তিনি সরকারী চাকরী করেন, ম্যাজিস্ট্রেট! অনেক ইন্জিনিয়ার আছেন, ব্যবসা করেন।

কিছু ডাক্তারও আছেন যারা চাকুরী না হলে ব্যবসা করেন। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবলিক, মোটামুটি পরিচিত) একবার একটা ফুল কোর্স চূড়ান্ত পরীক্ষার খাতায় আগডুম বাগডুম লিখে জমা দিয়েছিলাম। পরীক্ষামূলক আরকি! সেই খাতায় এ গ্রেড পেয়েছি। আমি নিশ্চিত সেই খাতা কেউ দেখে নি। এক্সামিনার কিন্তু দুইজন থাকেন।

আমার পুরো প্রোগ্রামে কোনো বি গ্রেডের নিচে নম্বর নেই। পড়াশোনা কি করেছি তাতো আমি জানি! তার উপর আমি হলাম ব্যকবেন্চার, রেজাল্টও পিছনের দিকে। তাহলে বাকিদের অবস্থা কি? ৪. রাজশাহী ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলে অনেকে নাক সিটকায়। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কলেজের সাথে তুলনা করা হয়। অথচ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী।

লেখাপড়ার মানেও আদতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতই। তাদের এই ইমেজ সংকটের কারন জানতে পারি নি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কিছুদিন আগেই কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। মানে স্বায়ত্বশাসন পেয়েছে। কিন্তু ওটার নাম শুনলেও অনেকে নাক সিটকায়।

কারন ইমেজ সংকট! ৫. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজও তথৈবচ। এটা অবশ্য তুলনামূলকভাবে নতুন। পড়াশোনার ব্যপারটা বাদ দিলেও, অভিবাবকরা এখানে মেয়েদের ভর্তি করতে চান না। কারন কি শ্রী সেন্চুরী মানিকচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়?! আমার পরিচিত এক মেয়ে জাবির ফার্মেসি ছেড়ে দিয়ে ইডেন কলেজের কোনো একটা বিষয়ে ভর্তি হয়েছিল। কারন তার বয়ফ্রেন্ড জাবিতে পড়াটা মেনে নিতে পারে নি।

সে এখন সুখে সংসার করছে! জাবিতে যারা পড়ে তারা নাকি একটু “ইয়ে”! ৬. দেশের মাত্র ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্নাঙ্গ স্বায়ত্বশাসন রয়েছে। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী এবং চট্রগ্রাম। সরকার মহোদয় অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন এদের পূর্নাঙ্গ স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নিতে। কারনটা মূলত অর্থনৈতিক। ৭. কোনো একসময় দেশে তিনটি বিআইটি ছিল, একত্রে।

এখন এগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং পৃথক করা হয়েছে। বর্তমান নাম চুয়েট, রুয়েট এবং কুয়েট। নাম পরিবর্তনের কারন কি হীনমন্যতা? এমআইটির (MIT) নাম কি তারা জানেন না? এমনকি গাজীপুরে বিশেষায়িত বিআইটিকে নামকরন করা হয়েছে ডুয়েট! দেশের সব মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় নামকরন করার একটা প্রস্তাব নাকি রয়েছে। যদিও সেটার কারন মূলত অধিভুক্তি নিয়ে জটিলতা। দেশে অনেকগুলি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হয়েছে।

উদ্দেশ্য গবেষনার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া। কি গবেষনা যে চলছে তাতো দেখতেই পাচ্ছি! ৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্য অনুষদের ডিগ্রীগুলোর প্রাচীন নাম ছিল ব্যাচেলর অফ কমার্স। এখন এগুলো আধুনিক হয়েছে, বিবিএ! মাস্টার্স ইন কমার্সকে বলা হয় এমবিএ। হিপহপ! অথচ বিবিএ/এমবিএ বলতে বোঝায় সম্পূর্ন ভিন্ন একটা কোর্স। যেখানে একটা বিষয় নয়, বরং বানিজ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়।

এটা কি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে অনুসরন করা? নাকি বাজারদরের সাথে তাল মিলিয়ে চলা? ৯. বুয়েটে “চোথা” নামক একধরনের “বস্তু” রয়েছে। বলে রাখা ভালো বুয়েটের ছাত্রদের পড়াশোনার ব্যপারে যত নামডাক, টিউশনির বাজারেও তাদের দর ভালো! টিউশনির ব্যপারে তাদের আগ্রহও ব্যপক। শোনা যায়, ক্লাসের টপারসদের টিউশনি বানিজ্য থেকে দূরে রাখতে শিক্ষকদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হয়। সারা বছর টিউশনি/ভর্তি কোচিং এ পড়িয়ে পরীক্ষার আগে “চোথা” নামক বস্তুর স্বাদ নিয়ে পড়াশোনা ভালোই চলছে। চুয়েট/রুয়েট/কুয়েট তাদের অবস্থাও তথৈবচ।

১০. বুয়েট/চুয়েট/রুয়েট/কুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করে শতকরা ৭০ ভাগ ছাত্রই বিদেশে পাড়ি জমায় উচ্চ শিক্ষার্থে। বলা বাহুল্য, উন্নত বিশ্বের একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পড়াশোনার মানে অনেক পার্থক্য থাকে। প্রথমে গিয়েই তারা একটা বড় ধাক্কা খায়। তারপরেও মানিয়ে নিতে পারে যার একমাত্র কারন তারা পরিশ্রমী এবং অধ্যাবসায়ী। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তারা আসলে কিছুই পায় না।

১১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়ে থাকে! কারন এর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১০ লক্ষেরও অধিক। দেশে এতো গ্রাজুয়েট “উৎপাদনের” পরেও কেন এত পিছিয়ে আমরা, কেউ বলতে পারেন? ১২. দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫০ এর অধিক! সরকারী নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারে ৮-১০ টি। ছাত্রসংখ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেশি, তাও আবার আমাদের মতো গরীব দেশে। বারো হাত কাকুড়ের তের হাত বিচি আর কি! বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় চলছে বিবিএ আর কম্পিউটার সায়েন্স এর মতো দুএকটি বিভাগ নিয়ে। হাতে গোনা দুএকটিতে মৌলিক কয়েকটি বিভাগ রয়েছে।

বিষয় নির্বাচন করা হয় চাকরির বাজারের কথা চিন্তা করে! কিছুদিন ধরে USA (University of South Asia ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা খুব শোনা যাচ্ছে!! ১৩. দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষনার জন্য বাজেট কতো জানেন? মোটামুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ২%। বাকী অর্থের প্রায় পুরোটাই যায় শিক্ষকদের বেতন অথবা কাঠামো উন্নয়ন অথবা শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষার জন্য। উচ্চশিক্ষা শেষ করে অনেক শিক্ষকই আর দেশে ফিরে আসেন না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা বাজেটের কথা নাহয় নাই বললাম! ১৪. দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে রিপিটার বলতে একটা ব্যপার আছে। অর্থাৎ এই বছর কোনোরকম একটা বিষয়ে ভর্তি হলাম।

পরের বার পছন্দসই বিষয়ে পড়ার জন্য আগের ভর্তি হওয়া বিষয় ছেড়ে দিলাম। ছেড়ে দেয়া সিটটা কিন্তু পচ্চা! ঐরকম একটি সিটের জন্য সরকারের গড় খরচ ৫০ হাজার টাকার উপরে। অনেকে ডিএমসি বা সলিমুল্লাহতে পড়ার জন্য কক্সবাজারের মতো মেডিকেল কলেজ ছেড়ে দেয়। মেডিকেল কলেজের মত বিষয়ে এর পরিমান লক্ষাধিক টাকা। ১৫. দেশে ছাত্র রাজনীতি বলে একটা কথা প্রচলিত আছে।

তবে রাজনীতিটা মূলত করে শিক্ষকরা। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়টাই মূখ্য। ১৬. “বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ” বলে একধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় না কলেজ তা ঠিক জানি না! ১৭. দেশে পাশ করা ডাক্তারের সংখ্যা অনেক। কিন্তু ভালো ডাক্তার একহাত দিয়ে গোনা যাবে, দুইহাত লাগবে না।

১৮. একসময় সিএ অথবা সিএমএ কোর্সগুলি স্বনামধন্য ছিল। এগুলো সরকারী অর্থায়নে হয়। এখন এসিসিএ এসেছে। লোকে এখন এসিসিএ করে। আগে তেমন টাকা খরচ হতো না, এখন হয়।

এরকম আরো অপ্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে যারা মূলত বিদেশি ডিগ্রী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ১৯. দেশের একটা অংশ “স্টুডেন্ট ভিসায়” বাইরে চলে যায়। স্কলারশিপ নয় টাকা খরচ করে। মূল উদ্দেশ্য পড়াশোনা নয়, ভিনদেশী সিটিজেনশীপ। তাদের পরিকল্পনা থাকে কাজ করে টাকা উপার্জন করে পড়ালেখার খরচ মেটাবে।

সেটা আসলে আর সম্ভব হয় না। আলটিমেটলি যেটা হয়, সেটা হলো মানবপাচার। ২০. মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশিরভাগ ছাত্র খারাপ করে ইংরেজি এবং গনিতে। যে বছর ইংরেজিতে পাশের সংখ্যা বাড়ে, মোট পাশের হারও বেড়ে যায়। ইংরেজি গনিতে পাশ করানোর জন্য সরকারের নির্দেশই থাকে প্রশ্ন সহজ করার! অথচ ভাষাগত দক্ষতা আর গানিতিক যুক্তিতে পারদর্শিতা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটা মৌলিক দক্ষতা।

২১. স্বনামধণ্য সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র, কেন he goes to হবে, he go to হবে না সেটা বুঝতে পারছে না। কিছু ছাত্র আছে ঠিক কি ভাবে SSC পাশ করলো সেটাই বুঝতে পারি না। সে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রী পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেল কিভাবে সেটাও একটা চিন্তার বিষয়। এক কলিগ (অবশ্যই বিজনেস গ্রাজুয়েট, এমবিএ !) আমাকে একবার ইংরেজি fruit বানান জিজ্ঞেস করেছিল।

ধরনী, দ্বিধা হও! ২২. সদ্য বিবাহিত আমার এক বান্ধবীর উক্তি দিয়ে আজকের পর্ব শেষ করছি। সে বিয়ে করেছে এক সেনা কর্মকর্তাকে। আমাকে পড়াশোনায় উদ্ধুব্ধ করার জন্য সে একদিন বললো, “তোর তো চাকরি করা লাগবে। আমি তো বিয়ে করে ফেলছি। আমার পড়াশোনা না করলেও চলবে।

“ কোনো এক গল্পের আসরে সে জানিয়েছিল, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তার সবচেয়ে বড় অর্জন একজন ভালো স্বামী পাওয়া!” আবার আরেকদিন ঐ মেয়ে অন্য এক মেয়ের সমালোচনা করছে এভাবে যে, অমুক মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে, কিন্তু বাচ্চা পালতে পারে না! আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম, বাচ্চা পালার সাথে পড়াশোনার কি সম্পর্ক। রীতিমতো আমার দিকে তেড়ে আসলো। বেগম রোকেয়া নাকি এই বংগেতে জন্মেছেন! এরকম আরও মজার মজার ঘটনা এখন মনে পরছে না। মনে পরলে কমেন্টে বলবো। আর কতই বা বলার দরকার?! এই কথা গুলি বাস্তব সত্য, খারাপ লাগলেও।

এটা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থারই একটা খন্ডচিত্র। হতাশ লাগলেও কিছু করার নেই। এই পর্বে সবার পছন্দ, মনোভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে বললাম। আগামী পর্বে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে। চলবে... গত পর্ব  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.