আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবচাইতে বড় সুদখোর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস……… !!!!!!

আমি অতি সহজ । তবু সাধারণ নই । আমি অতি বোকা তবু বেকুব নই। আমি তাই অসাধারণের সাধারণ হই । আর বেকুবদের মধ্যে আহাম্মক হয়ে রই.....।

এই লেখাটি আমি পেঁচা ব্লগে দিয়েছি । ঐটাতে যেহেতু সবাই ঢুকে না! কিংবা সবার তেমন এক্যাউন্ট ও নাই তাই এইখানেও দিলাম । যদিও এইটা নিয়ে এখন লেখা কতটুকু উচিৎ তা জানি না ! কারণ দেশ এই মুহুর্তে অন্য দিকে ধাবিত হচ্ছে । এক মহা সংকটের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে । তার পরেও ইদানিং Congressional Gold Medal পাওয়া নিয়ে উনার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বিধায় আমার এ লেখা !তিনি গ্রামীন ব্যংকের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রথম নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস জানি না কত জন পড়বে ? কিংবা কতজন তা পড়ার ধৈর্য রাখবেন ।

তাও লিখবো ! কারণ আমি আমার নিজের জন্যেই লিখি । তা কেউ পড়ুক আর না পড়ুক ! আমার তাতে কিছু আসবেও না ! যাবেও না ! তারপরেও দেশপ্রেমিক প্রতিটা ভাইকে বলবো একবার হলেও লেখাটি পড়বেন লেখাটি পড়বেন । ধন্য এ দেশে জন্মেছি ! যে দেশে আবুলরা দেশপ্রেমিক । দেশপ্রেমিক পীর আর দরবেশ’রা যারা কিনা ধ্বসে দিয়েছে আমাদের দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড । না তারা সুদখোর নয় ।

সুদখোর যে সব মানুষেরা এদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে ??? সবচাইতে বড় সুদখোর ডঃ ইউনুস !! কারণ – তিনি সেই মানুষ যিনি বাংলাদেশের গরীব ,অসহায় মানুষ গুলোকে উঠে দাঁড়াতে দিয়েছেন । বিশ্ব মানচিত্রে যে বাংলাদেশকে খুজেই পাওয়া দুষ্কর ?? সেখান থেকে চোখের সামনে তুলে আনেন যারা ?তারাই সুদখোর !তারাই দুর্নীতিবাজ ! অবাক লাগে – যখন দেখি বাংলাদেশের প্রথম নোবেল জয়ী মানুষকে অসম্মান করা হয় অবলীলায় । অবাক লাগে- যখন দেখি আমাদের দেশের মাথা মোটা নেতা বলেন – শুধু ওয়াইন খেয়ে আর গল্প-গুজব করে নাকি নোবেল প্রাইজ পাওয়া যায় ! আর যুদ্ধ করে দেশে শান্তি আনা নাকি শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা ! তাহলে আমার তারে বলতে ইচ্ছা করে – মিয়া আমাদের মত গরীব দেশের নেতা আর মন্ত্রী হইছেন ! কিছু একটা করেন ?? আপনিও ওয়াইন খান ! আপনার দলের সবাইকেও খাওয়ান ! আর আমাদের গরীবদের জন্যে কিছু মোটা অংকের টাকা-পয়সা নিয়ে আসেন দেখি !! কি বুদ্ধি উনার?? সারা বিশ্বে মাত্র সাতজন ব্যক্তি আছেন এরকম – যারা কিনা একই সাথে 1.Nobel Peace Prize . 2.Presidential Medal of Freedom . 3.Congressional Gold Medal . এই তিনটি পুরস্কার বিজেতা । তাদের একজন আমাদের দেশের ভাবতেই গর্বে বুক ফুলে উঠে । অবশ্য উনাদের দলে তো বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার মত আবুল হোসেন আছেন ! উনারা মনে হয় তাকে নিয়েই খুশি ! তাই তারা ইউনুসের এইগুলো তে ঠিকমত চোখ বুলাতে নারাজ ! ও হ্যাঁ আরেকটা তথ্য জেনে রাখা উচিৎ ।

তিনিই বিশ্বে একমাত্র মুসলিম ব্যক্তি যিনি একইসাথে এই তিনটি পুরস্কার লাভ করেছেন ! আর সে জন্যেই হয়তোবা আমাদের মাথা মোটা মন্ত্রীর উনার প্রতি এতো ক্ষোভ ! কারণ উইকিপিডিয়াতে দেখলাম উনার নাকি কোন ধর্মই নাই ! উনার অবশ্য ইউনুসকে পছন্দ না লাগার আরেকটা কারণ ও থাকতে পারে ! উনার প্রোফাইলে আমার মত সাধরণ মানুষ ও পা মারায় না ! আর ইউনুস সাহেবের প্রোফাইলে কম করে হলেও বিভিন্ন দেশের প্রধান’রা প্রতিদিন একবার ঢু মারেন । উনি হয়তো হিলারীর পি.এস এর নাম্বার ও ব্যস্ত পান ! আর ওআইন খেয়ে আর গল্প গুজব করে নোবেল প্রাইজ পাওয়া ডঃ ইউনুস যে সরাসরি হিলারীর সাথে আড্ডাবাজী খেলায় মেতে উঠেন । তাহলে কেমুনটা লাগে আপনারাই বলেন ??? তাই তিনি সুদখোর , গাজাখোর !! আর যত খোর লাগানো যায় ? সবকিছুই তার সাথে মানায় ! আর উনাদের আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক । চুরন্জিত দেশপ্রেমিক ,আর আরেক আবুল সেরা অর্থনীতিবিদ ! তিনি চশমাটাও হারিয়ে যাবে এই ভয়ে গলায় সোনার চেইন দিয়ে বেধে রাখেন ! উনি নাকি দেশকে উপরে তুলবেন ! আরে যিনি চশমা কোথায় রাখেন তা মনে রাখতেই হিমশিম খান ? তিনি করবেন দেশের কাজ ???!! ভালু তো ! ভালু না ??দেশের যতসব দরবেশ আর তার মুরিদ ?? সব তাদের কাছে দেশসেরা , বিশ্ব্সেরা অর্থনীতিবিদ আর দেশপ্রেমিক !! কাল আমার এক প্রিয় বন্ধু আক্ষেপ করে বলেছিলো-” আমরা দেশ থেকে বিতারিত করি আর বিদেশীরা তোমাকে মাথায় তুলে রাখে৷ তুমি এ জাতিকে পরিচিত করিয়ে দাও, আর এ জাতিই তোমার মান সম্মান নিয়ে ফুটবল খেলে৷ ছিঃ,ছিঃ….. আমরা সত্যিই অকৃতজ্ঞ৷ ” আমিও আজ তার সাথে একমত । ডঃ ইউনুস আমাদের ক্ষমা করে দিয়ো ! এই জাতি কখনো গুণীদের কদর করতে শেখে নি ! ! আমার বাকী কথা গুলো আরিফ আর হোসাইন ভাই সবচাইতে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন – তাই বাকী অংশটুকু হুবহু তুলে দিলাম ।

উনার অনুমতি ব্যতিত তুলে ধরলাম বলে উনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । অনুমতি নিলাম না এ কারণে আমি জানি উনি এতে কিছুই মনে করবেন না ! আরিফ জেবতিকের ওয়ালে তার করা একটি স্ট্যাটাস মেসেজে। স্ট্যাটাস মেসেজ ও মন্তব্য দুটোই পাবলিক। আর উনার সব লেখা যেহেতু পাবলিকভাবে দেয়া তাই এইটাও হয়তো আমাদের মত সাধারণের জন্যেই লিখেছেন ? “Arif R Hossain: আমাদের সমস্যা কি জানেন আরিফ ভাই? সমস্যা হলো খুঁজে খুঁজে খুঁত বের করা …তার কারনে আজ বিশ্ব, বাংলাদেশকে জানে; এটা ব্যাপার না? …তার কারনে আজকের ছাত্ররা বাইরের দেশে পড়তে গেলে, বুকটা ফুলে থাকে গর্বে; এটা ব্যাপার না? ব্যাপার হয়ে গেলো তিনি কেনও দেশের দুর্যোগের সময় কথা বলেন না… এটা!! উনি কথা বলে না কারন, দেশে এতো ফাউল কথা বলার মানুষ আছে যে, খুব সম্ভবত তার রুচিতে বাধে না কথা বলার… আর তাইই হয়ত বলেন না একজন মানুষ কেনও কথা বলে না এটা তার খুঁত? কথা বলে না সে ঘৃণায়… কথা বলে না সে অকৃতজ্ঞদের সাথে আমি পার্সোনালি এতে দোষের কিছু দেখি না আর যারা সুদখোর বলে লালা ফেলাচ্ছেন, তাদের বলি, অনেকেই হয়ত জানেন না… কিন্তু পুরো পশ্চিমা বিশ্ব কিন্তু ঠিকই জানে যে, ‘উপার্জনশীল খাতে তাদের ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ২০ শতাংশ। ১০০০ টাকা ঋণ নিলে এক বছরে সাপ্তাহিক কিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করলে মোট পরিশোধ করতে হয় ১১০০ টাকা।

অর্থাৎ এক হাজার টাকার ঋণের ওপর বছরে মোট ১০০ টাকা সুদ। মূল টাকার ওপর ফ্ল্যাট রেটে মাত্র ১০ শতাংশ সুদ দিতে হয়। সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করা হয় বলে এ ঋণের কার্যকর সুদ ২০ শতাংশ’। আল্প বিদ্যা ভয়ংকরী মূর্খদের আরও জানিয়ে রাখি যে, তাদের… গৃহনির্মাণের জন্য ঋণ নিতে হয় ৮ শতাংশ হারে, ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ঋণে শিক্ষা চলাকালীন কোনো সুদ না নেওয়া হলেও শিক্ষা সমাপ্তির পর ৫ শতাংশ হারে সুদ নেওয়া হয়। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ভিক্ষুকদের যে ঋণ দেয় এবং ব্যাংকের সদস্যদের কেন্দ্রঘর নির্মাণের জন্য যে ঋণ দেয়, তা সুদবিহীন ভুলে কি গেছি আমরা…মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) আইন- ২০০৬ এর আওতায় প্রণীতব্য বিধিমালার খসড়া বিষয়ে ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণীর ৫ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের সাধারণ ক্ষুদ্রঋণের বর্তমান কার্যকর বার্ষিক সুদের হার ২০ শতাংশ (যা ফ্ল্যাট পদ্ধতিতে ১০ শতাংশ), ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এমআরআই কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ সুদের হার ধার্য করা হয়েছে ২৭ শতাংশ।

… আর ভুলিয়েন না কিন্তু, “গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ সুদের হারের চাইতে ৭ শতাংশ কম”। তারপরেও যদি এটাও অনেকের কাছে বেশী মনে হয়, তাহলে এটা বুঝছেন না কেন যে… ‘ঋণ তো গ্রামীন ব্যাংক মানুষ কে ডেকে ডেকে দিচ্ছেন না। যার দরকার, সেই যাচ্ছে ঋণ নিতে। আর যে যাচ্ছে, সে জেনেই যাচ্ছে। কাউকে কোলে করে নিয়ে যেয়ে জ্বর করে ঋণ দেয়া হচ্ছে না’ এখানে অনেকেই আমার কমেন্টের কাউন্টার করতে পারেন… অবশ্যই করবেন; কিন্তু আমি কারো উত্তর দিবো না।

উত্তর দিবো না কারন, আমি ডঃ ইউনুস স্ট্রেটেজিতে আছি; মূর্খদের উত্তর দেই না…মাফ করবেন আনফলো করে দিচ্ছি পোষ্ট… আর ক্যাচাল তর্ক বিতর্ক চাই না। আমার যা মনে হয়েছে তাই বলেছি…ভাল লাগলে লাইক দিবেন না লাগলে দিবেন নাহ ধন্যবাদ “- আমি তাই পরিশেষে এইটুকুই বলবো – অবাক বাংলাদেশ, অবাক করলে তুমি ! জন্মেই দেখি কত অকৃতজ্ঞ ভূমি !! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.