নিজেকে জানার প্রচেস্টায় অহর্নিশ ভাবিত দেখলাম, ‘যুদ্ধ’ নামে আইউব বাচ্চুর নতুন একটা অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে এই ঈদে। এবং সেটা হয়েছে বাংলালিংকে। আগে অ্যালবাম রিলিজ হত মার্কেটে। এখন হচ্ছে সেলফোন কম্পানির নেটওয়ার্কে।
এর আগে সোলস এর একটা অ্যালবাম রিলিজ হয়েছিল গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে।
আমার কাছে আশ্চর্য লাগে, এসমস্ত ব্যান্ডের অ্যালবাম একটা নেটওয়ার্কে রিলিজ হয়। এ থেকে কী প্রমাণ হচ্ছে!- এদের গান কেউ শোনে না? সেলফোন কম্পানিগুলো গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস দিয়ে গান শোনাচ্ছে? নাকি তারা কপিরাইট ঠেকাতে না পেরে এসমস্ত কম্পানিগুলোকে তাদের গান দিয়ে দিচ্ছে দু’টা কাঁচা টাকার আশায়।
প্রথম কথায় ধরা যাক, সোলস আর এলআরবির মত ব্যান্ডের গান কেউ শুনবে না এটা ভাবাই যায় না। তাহলে কি সেলফোন কম্পানিগুলো তাদের সাবস্ক্রাইবারদের বিনা মূল্যে বিনোদনের ব্যাবস্থা করছে? কখনই না। এটা ভাবাও অন্যায় যে, তারা বিনামূল্যে গান শোনাবে।
অবশ্যই টাকা নিচ্ছে। এবং সেটা যে অনেক মোটা অংকের সেটা সবাই জানে। আর যাদের নেটওয়ার্কে ঠিকমত কথায়ই শোনা যায় না তাদের নেটওয়ার্কে গানের মত একটা জিনিসের শ্রুতিমধুরতা কতটা থাকবে সেই প্রশ্ন করাই বাহুল্য। বস্তুত গ্রাহককে কোনরকম কিছু একটা শুনিয়ে টাকা কামানোই এদের লক্ষ্য।
অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দিন দিন শিল্প-সংস্কৃতির সবকিছু চলে যাচ্ছে অর্থলগ্নিকারী বহুজাতিক কম্পানির হাতে।
দেখে মনে হচ্ছে তারাই এদেশের শিল্প-সংস্কৃতির সমঝদার এবং বিকাশের সহায়ক। যারা একটা অফার দিয়ে দ্বিগুন লাভের আশা করে তাদের হাতে শিল্প-সংস্কৃতি কতটা নিরাপদ সেটাই ভাবার বিষয়।
সেলফোন নেটওয়ার্কে গান দিয়ে ব্যান্ডগুলো শুধু শ্রোতাদের সাথে প্রতারণাই করছে না, বিরাট অন্যায়ও করছে। সংস্কৃতি দখলের ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে এভাবে তারা।
সুতরাং ব্যান্ডগুলোর কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যেন তাদের গান কোন সেলফোন নেটওয়ার্কে দিয়ে শ্রোতাদের টেষ্ট নষ্ট না করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।