রাজারবাগ দরবার শরীফ হল আল্লাহ পাক উনার এক মহান ওলীর দরবার।
কি হয় সেখানে?
-সেখানে আল্লাহ পাকের ইবাদত বন্দেগী করা হয়, অন্তর থেকে ইবাদত বন্দেগী করার শিক্ষা দেওয়া হয়।
কে শিক্ষা দেন?
-যামানার যিনি লক্ষস্থল ওলীআল্লাহ, তিনি সেখানে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত, মা’রিফত শিক্ষা দেন; আদব শিক্ষা দেন। শরীয়তের আদেশ নির্দেশও শিক্ষা দেন।
মানুষ কেন উনার দরবার শরীফে যায়?
-সূরা ফাতিহা’তে আল্লাহ পাক দোয়া করতে বলেন, “আয় বারে ইলাহী! আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ দান করুন।
এবং ঐ সমস্ত মনোনীত বান্দাগণের পথ দান করুন, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দান করেছেন”। ওলী-আল্লাহগণ হচ্ছেন সেই নিয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাই সিরাতাল মুস্তাকীমের সন্ধান পেতে মানুষ উনার দরবার শরীফে যায়।
রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলার এতো বিরোধিতাকারী কেন?
-রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক উনার ওলী বা বন্ধু। তিনি শুধু আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্যই কথা বলেন, কাজ করেন, অন্য কারও মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে নয়।
সেটা করতে গিয়ে অনেক ফতোয়া দিতে হয় যা দুনিয়ালোভী মৌলভীদের বিরুদ্ধে চলে যায়, ফলে তারা রাজারবাগের মহান মুর্শিদ কিবলার বিরোধিতা করে থাকে।
রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা যে হক্ব এবং দুনিয়ালোভী নন, তার প্রমাণ কি?
-মূলত যারা উলামায়ে ছূ, তারা দ্বীনকে বিক্রি করে দুনিয়া ক্রয় করে। যেমনঃ দুনিয়ালোভী মৌলভীরা অর্থের লোভে খেলাধুলাকে জায়িজ বলে, বেপর্দা হয়, গণতন্ত্র করে, ছবি তোলে। অথচ, ছবি তোলা হারাম। ছবি তুললে টিভিতে প্রোগ্রাম করে অনেক টাকা কামানো যায়, কিন্তু রাজারবাগী পীর সাহেব কিবলা আলাইহিস সালাম সামান্য কটা টাকার জন্য দ্বীনকে বিক্রি করেন নি, আল্লাহ পাকের আদেশের খেলাপ করেন নি।
আবার, নেত্রীকে খুশি করতে গিয়ে নিজামী, সাঈদীর মত বেপর্দাও হন নি। আর টাকার লোভে, এমপি-মন্ত্রী হওয়ার বাসনায় হারাম গণতন্ত্রে মিশেও যান নি। মূলত এটাই হচ্ছে ওলী-আল্লাহদের খাছলত যে উনারা আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টির কাজ ভুলেও করেন না। আর সেটাই হচ্ছে উনার বিরুদ্ধে দুশমনির কারণ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।