আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটা খবরের শিরোনাম “তিন স্থানে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে পুলিশের বাধা” কেন এই বাধা ? জানতে চেষ্টা করলাম ।এই বিষয় নিয়ে কিছু কথা।

জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালকে আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করে। তখন থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে এমন দেশে আদিবাসী দিবস উদযাপিত হলেও বাংলাদেশে কখনো তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি। সরকারি ভাষ্য অনুসারে, এদেশে কোনো আদিবাসী নাই, যারা আছেন তারা উপজাতি। কারো কারো ধারণা যারা পাহাড়ে বসবাস করে তারা ‘আদিবাসী’। আবার অনেকের ধারণা মঙ্গোলীয় বা নেগ্রিটো চেহারা মানেই ‘আদিবাসী’।

হতে পারে কোন জনগোষ্ঠীর শারিরীক গঠন, জীবনধারা, জীবিকা ভিন্ন; হতে পারে তাদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক জীবনও মূলধারা থেকে ভিন্ন। তাই বলে তাদের সবাই জাতিসংঘের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ‘আদিবাসী’র স্বীকৃত সংজ্ঞায় পড়ে কি? আবার অনেকে তাদেরকে ‘উপজাতি’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। এ শব্দটির মধ্য বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা মনে করেন রাষ্ট্র কাঠামোয় ‘উপজাতি’ বলে কোন শব্দ থাকা উচিত নয়। এই বেপারে বাংলাদেশ সরকার আদিবাসী ও উপজাতি নিয়ে তার অবস্থান পরিস্কার করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা দিপু মনি ও আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, চাকমা বা অন্যান্য উপজাতিরা আদিবাসী নয়, ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক জনগোষ্টি মাত্র। “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো আদিবাসী নয়: দীপু মনি। আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামের ২০১১ সালের প্রতিবেদনের দুটি প্যারায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের ভুলভাবে ‘আদিবাসী’ উল্লেখ করার বিষয়টি তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগীরা যাতে এ জাতির সঠিক ইতিহাস জানতে পারে, সেজন্য এসব আন্তর্জাতিক নথিতে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ। “বাঙালিরা অভিবাসী হিসেবে এই ভূ-খণ্ডে আসেনি। তারাই এই দেশের আদি অধিবাসী।

” আরো জানতে , Click This Link উপজাতিদেরকে সাধারনত বলা হয় Tribal, অপরদিকে আদিবাসীদেরকে বলা হয় Aborginals বা Indigenous people. Aboriginal কাদেরকে বলা হয়, এব্যপারে, Cambridge Advanced Learner’s Dictionary লিখেছে a person or living thing that has existed in a country or continent since the earliest time known to people (অর্থাৎ, মানুষের জানার মধ্যে ইতিহাসে যতদূর যাওযা যায় সেই পর্যায় পর্যন্ত ঘেটে যদি দেখা যায় অর্থাৎ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কোন এলাকার বিশেষ জনগোষ্টি যদি ঐ এলাকায় বসবাস করে তাহলে তাদেরকে ঐ এলাকার আদিবাসী হিসেবে গন্য করা হয়) দেখুন এখানে, Click This Link নৃবিজ্ঞানের জনক লুইজ মর্গান এর সংজ্ঞানুযায়ী আদিবাসী হচ্ছে ‘কোনো স্থানে স্মরণাতীতকাল থেকে বসবাসকারী আদিমতম জনগোষ্ঠী যাদের উৎপত্তি, ছড়িয়ে পড়া এবং বসতি স্থাপন সম্পর্কে বিশেষ কোনো ইতিহাস জানা নেই। ‘ দেখুন, http://en.wikipedia.org/wiki/Lewis_H._Morgan জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালকে আদিবাসী বর্ষ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আদিবাসী’র সংজ্ঞা , সংজ্ঞায়িত করেছে এই ভাবে ``...Indigenous people are such population groups as we are, who from old age times have inhabited the lands when we live, who are awere of having a characters of our own, with social tradition and means of expression that are linked to the country inhabited from our ancesters, with a language or our own and having certain essential and unique characteristics which confer upon us the strong conviction of belonging to a people,who have an identity in ourselves and should be thus regarded by others (1993).`` আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থা ILO এর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মেলনে আদিবাসী চিহ্নিত করা হয়েছে এভাবে, ``...Peoples in independent countries who are regarded as indigenous on occount of their decent from the populations which inhabited the country or a geographical region to which the country belongs, at the time of conquest or colonisation or the establishment of present state boundaries and who irrespective of their legal status,retain some or all of their social, cultural and political institutions(1989)`` বাংলা করলে দাড়ায় “আদিবাসী`` বা দেশজ মানবসমাজ, জনগোষ্ঠী অথবা জাতিসত্তার পরিচিতি পাবার অধিকারী তারাই, যাদের প্রাক-আগ্রাসন ও প্রাক-সাম্রাজ্যবাদী অধিকারের আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা আছে, যা তারা নিজ বাসভূমিতে তৈরি করেছিলেন। যারা তাদের বাসভূমিতে অথবা কিয়দংশে পাশাপাশি বসবাসকারী অন্যান্য মানবকূল থেকে নিজেকে একটি বিশেষত্বময় পৃথক সত্তার অধিকারী মনে করেন। যারা আজ সমাজের প্রতিপত্তিশালি না হয়েও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য তাদের নিজস্ব গোষ্ঠীসত্তা, সাংস্কৃতিক কাঠামো, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ও বিধিব্যবস্থা রেখে যেতে চান একটি বিশেষ মানবসমাজের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য। ” উপরের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেশন করলে বাংলাদেশের কোনো উপজাতিই আদিবাসীর আওতায় পড়ে না।

কারণ এ সংজ্ঞা অনুসারে, আদিবাসী হিসেবে পরিচিতি পাবেন তারাই, যাদের প্রাক আগ্রাসন ও প্রাক-সাম্রাজ্যবাদী অধিকারের আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা আছে, যা তারা নিজভুমিতে তৈরি করেছিলেন। যারা আদিম সংস্কৃতির ধারক এবং নিজেদের সমাজ, সংস্কৃতি ও চিরায়ত ধর্ম ইত্যাদি গভীর নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতা নিয়ে মেনে চলে। অন্যান্য মানবকূল হতে নিজেদেরকে একটি বিশেষত্বময় সত্তার অধিকারী বলে মনে করে। এ সংজ্ঞার শর্তই হলো, যাদের প্রাক আগ্রাসন ও প্রাক-সাম্রাজ্যবাদী অধিকারের আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা আছে, যারা প্রতিপত্তিশালী বা শাসকগোষ্ঠীর সদস্য নয়। কিন্তু ইসলাম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-হিন্দু ধর্ম বা ধর্মের মানুষ অবশ্যই প্রতিপ্রত্তিশালী বা শাসক গোষ্ঠী।

সুতরাং কোনো প্রকৃতি উপাসক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ যখনই ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-মুসলিম হবে তখন সে শাসক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হবে এবং আদিবাসী সংজ্ঞার আওতায় পড়বে না। পার্বত্য এলাকার অধিবাসীরা কি আদিবাসী এই বেপারে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর, বর্তমানে ডেইলী সান পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘Most of the tribal people move into this land from areas now in Myanmar (former Burma) during the period from the 15th to the mid-nineteenth centuries. The tribes belonging to the Koki group were the earliest to settle, and the Chakmas came much later (War and Peace in the Chittagong Hill Tracts, P.5, published by Agamee Prakashni Dhaka, 1999). অপরদিকে নৃতত্ত্ববিদ T.H Lewin-এর মতে, ‘A great portion of the Hill tribes, at present living in the Chittagong Hills, undoubtedly came about two generations ago from Arakan. This is asserted both by their own traditions and by records in the Chittagong Collectroate (1869, P. 28)„ আদিবাসী, উপজাতি নিয়ে তার আরো তথ্যবহুল লেখা পড়তে ক্লিক করুন, Click This Link চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর বিশিষ্ট গবেষক ড হাসান মোহাম্মদ লিখেছেন, “কয়েকটি দেশে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চলের ধারণাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে যারা প্রয়োগ করতে চান, তাদের উদ্দেশে বলা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়রা এতদঞ্চলের আদিবাসীও নন। ধারণা পাওয়া যায়, ষোড়শ শতাব্দী কিংবা তার আগে-পরে আগমনকারী উপজাতীয়রা এতদঞ্চলের আদিবাসী নন। ভূমি সংলগ্নতাসহ বিভিন্ন কারণে সংখ্যাল্প হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূখণ্ডে আগে থেকে অন্যান্য ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যধারী জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ১৩টি উপজাতি সমন্বয়ে যে ‘জুম্ম জাতি’ (এক সময়ে জুম চাষে অভ্যস্ত) তত্ত্ব প্রচার করা হয়, সেটি তাত্ত্বিকভাবেও সঠিক নয়।

গত শতাব্দীর ষাটের দশকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির আগে এসব উপজাতির অনেকেই সমতল ভূমিতে চাষাবাদ করতেন। “ (নয়া দিগন্ত, ১৭ জ়ুলাই, ২০০৮, Click This Link ) বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে তিন ডজনের অধিক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। সম্প্রতিক সময়ে সরকার সংবিধান সংশোধনের জন্য হাইকোর্টের দিক-নির্দেশনামূলক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত সংসদীয় বিশেষ কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃ-গোষ্ঠী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সরকারের সুচিন্তিত এবং ঐক্যবদ্ধ জাতিগঠনমূলক এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য দাবি করেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ঠিক একই অঞ্চল আরাকান থেকে বাধ্য হয়েই এ অঞ্চলে এসেছেন ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা এককভাবে নিজদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি চাচ্ছেন। কিন্তু তারা এদেশের আদিবাসী নন। প্রকৃত প্রস্তাবে তারা এক একটি ক্ষুদ্র জাতি। স্ব-স্ব গৌরবময় পরিচয়ে বাংলাদেশি। এদেশের বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অংশীদার হয়েছেন তারা।

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা দুই ভাগের কম কিন্তু ভারতে তা শতকরা আট এর বেশি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গ ও বাঙালির ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের এবং তাদের উৎপত্তি ও বিকাশ এদেশের মাটিকে কেন্দ্র করেই। প্রাচীন বাংলার রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধনপুর, পাহাড়পুর, জগদল বিহারসহ অঙ্গ, বঙ্গ, কুলিঙ্গ, রাঢ়, বরেন্দ্র, গৌড় ইত্যাদি অঞ্চলে বসবাসরত প্রাচীন জনগোষ্ঠীকে এদেশে আগত আর্যরা ‘অনার্য বা নিষাদ’ ইত্যাদি নামে অভিহিত করেছে। এদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী তাদের কাছে ছিল হীন ও অন্ত্যজ। হিন্দু ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী জাতি-বর্ণ প্রথায় এরা ছিল অস্পৃশ্য।

প্রাচীনকালের পরিব্রাজকদের কাছে এরাই “পাখির মত কিচির-মিচির ভাষায় কথা বলা” জনগোষ্ঠী। এরাই এদেশের মূল বাসিন্দা বা আদিবাসী। তাহলে জেনে এবং বুঝে ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে এদেশের যারা ভূমিজ সন্তান নয় বরং বহিরাগত, তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি চাওয়ার মূল রহস্য কোথায়? প্রাগৈতিহাসিককালের অখণ্ড ভারতে বর্তমান সার্কভুক্ত দেশসমূহে বসবাসরত সকল নরগোষ্ঠীর সকল গ্রুপ বা মানবগোষ্ঠী বসবাস করছিলেন। সকলেই ভারতের আদিবাসী। ভারত এদেরকে আদিবাসী ও তপসিলি উপজাতি বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বর্তমানে এদেশে `ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী-উপজাতি-আদিবাসী` শব্দ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস চলছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ব্রিটিশ শাসকদের চালু করা ইংরেজি `ট্রাইবাল` শব্দের বাংলা পরিভাষা হিসেবে `উপজাতি` কথাটি ব্যাপক স্বীকৃতি লাভ করে। পূর্বে এ নিয়ে আপত্তি না থাকলেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিগণ বর্তমানে বলছেন,“আমরা কোনো জাতির ‘উপ’ অংশ নই”। তাদের আপত্তির মুখে সরকার `ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী` বলে স্বীকৃতি দিলেও তারা এখন নিজেদের `আদিবাসী` দাবি করছেন।

এদেশের বৃহৎ বাঙালি জাতি এ দাবি মেনে নেবে কি-না, তা বিবেচনায় রাখতে হবে। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অথবা শান্তি অথবা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যদি তর্কের খাতিরে তাদেরকেও বাঙালিরা আদিবাসী বলে মনে করেন, তবে উভয় পক্ষই আদিবাসী। একপক্ষকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে সরকারের বর্তমান অবস্থান সঠিক (আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ এ বিষয়ে সত্যভাষণ করছেন না)। কারণ, যে কোনো স্বতন্ত্র মানবগোষ্ঠীকে নরগোষ্ঠী বা নৃ-গোষ্ঠী বলে।

নৃ-বিজ্ঞান বা সমাজবিজ্ঞানে `উপজাতি` বা `আদিবাসী` বলে আলাদা কোনো শব্দ বা প্রত্যয় নেই। বরং `রেস` বা `নরগোষ্ঠী` বা `নৃ-গোষ্ঠী` একটি স্বীকৃত প্রত্যয়। ঐতিহাসিকভাবে বাঙালিরাই বাংলাদেশের আদিবাসিন্দা বা ‘ফার্ষ্ট নেশন’ হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃত। অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী (বাংলাদেশে বসবাস করছে ৪০টি জনগোষ্ঠীর অধিক) পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে এসে অত্র অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে বসবাসরত মনিপুরীদের আদিবাস ভারতের মনিপুর রাজ্যে, খাসিয়াদের মেঘালয় রাজ্যে, গারোদের আসাম ও মেঘালয়ের গারো পাহাড়ি এলাকায়।

চাকমা, বোমাং, মং, রাখাইনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এসেছে প্রতিবেশী মিয়ানমার (বার্মা) এবং থাইল্যা- থেকে। এসব জনগোষ্ঠীর আগমন ২০০ থেকে ৬০০ বছর আগে। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রমাণপত্রে দেখা যায় অত্র এলাকায় বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব ৫ হাজার বছরেরও অধিক পুরনো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.