জালিয়াতির অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপা বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গতকাল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার ও ৩ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্রমেই গুরুতর অভিযোগের পাল্লা ভারি ও বের হচ্ছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পড়ছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে আগুনিয়াপাড়া গ্রামের মজিবর খানের পুত্র সাদ্দাম হোসেন বাণিজ্য বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে। কিন্তুু সাদ্দামের অসুস্থতার সুযোগে প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের বিনিময়ে উক্ত রেজিষ্ট্রেশন নম্বরের বিপরিতে একই উপজেলার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামের ওয়াহেদ কাজীর পুত্র রেজাউল করিমের ছবি লাগিয়ে ফরম পূরণ করে বোর্ডে পাঠিয়ে দেয় এবং রেজাউল করিম একাধিকবার পরীক্ষা দিয়ে ২০১২ সালে উত্তীর্ণ হয়।
রেজাউল তার সার্টিফিকেট বের হওয়ার পূর্বেই চুক্তিমোতাবেক তার বাবা-মায়ের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংশোধন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে তাগাদা দিলেও কোন কাজ না হওয়ায় চাপাচাপি শুরু করে। প্রধান শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনকে শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে ছবি পরিবর্তন করে রেজাউলের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ করে দেওয়ায় বিধি বাম। বর্তমানে দুই ছাত্রই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করায় প্রধান শিক্ষক চাকুরী বাঁচাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে মামলার রশিতে ঝুলে থাকা এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, তিনি এক শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় স্কুল চলাকালীন প্রকাশ্য জুতাপেটার স্বীকার হন তিনি।
এছাড়াও স্কুলে শূন্যপদ না থাকলেও ভূয়া পদ সৃষ্টি করে চাকুরী দেওয়ার নামে রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে ৪৬ হাজার হাতিয়ে নেন। বর্তমানে রেজাউল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী পাওয়ায় উক্ত টাকার দাবিতে প্রতিনিয়ত ঘুরছেন। গত বছর বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার হল সুপার থাকা অবস্থায় কর্তব্যে অবহেলার কারনে তিনি সাময়িক বহিস্কার হন তারই কারসাজিতে একই ঘটনায় ওই কেন্দ্রে বাকাইসিদ্ধি নিজ স্কুলের এক ছাত্রও ২ বছরের জন্য বহিস্কার হয়েছে। স্কুলের সাবেক সভাপতি ও একাধিক সদস্য জানান, তার বিরুদ্ধে উপবৃত্তি ও বিভিন্নখাতে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ছাড়াও প্রশ্নপত্র বিক্রির মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষক আমজাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, সুচতুর প্রধান শিক্ষক ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের নিকট ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উকিল উদ্দিন জানান, শিক্ষকতার অন্তরালে অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকবার তার জন্য স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়েছে। ইতিমধ্যে দৈনিক ইনকিলাব, মাথাভাঙ্গা, নবচিত্র, লোকসমাজসহ, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্র-পত্রিকায় তথ্যবহুল অভিনব জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ফলে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও যশোর শিক্ষাবোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকাশিত সংবাদটি তার দৃষ্টি গোচর হয়েছে এবং বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির নিকট চাকুরী বাঁচাতে প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘুরছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে সত্বর স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্রমেই সোচ্চার হয়ে উঠছে।
জালিয়াতির অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপা বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গতকাল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার ও ৩ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্রমেই গুরুতর অভিযোগের পাল্লা ভারি ও বের হচ্ছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পড়ছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে আগুনিয়াপাড়া গ্রামের মজিবর খানের পুত্র সাদ্দাম হোসেন বাণিজ্য বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে। কিন্তুু সাদ্দামের অসুস্থতার সুযোগে প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের বিনিময়ে উক্ত রেজিষ্ট্রেশন নম্বরের বিপরিতে একই উপজেলার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামের ওয়াহেদ কাজীর পুত্র রেজাউল করিমের ছবি লাগিয়ে ফরম পূরণ করে বোর্ডে পাঠিয়ে দেয় এবং রেজাউল করিম একাধিকবার পরীক্ষা দিয়ে ২০১২ সালে উত্তীর্ণ হয়। রেজাউল তার সার্টিফিকেট বের হওয়ার পূর্বেই চুক্তিমোতাবেক তার বাবা-মায়ের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংশোধন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে তাগাদা দিলেও কোন কাজ না হওয়ায় চাপাচাপি শুরু করে। প্রধান শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনকে শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে ছবি পরিবর্তন করে রেজাউলের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ করে দেওয়ায় বিধি বাম। বর্তমানে দুই ছাত্রই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করায় প্রধান শিক্ষক চাকুরী বাঁচাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে মামলার রশিতে ঝুলে থাকা এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, তিনি এক শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় স্কুল চলাকালীন প্রকাশ্য জুতাপেটার স্বীকার হন তিনি। এছাড়াও স্কুলে শূন্যপদ না থাকলেও ভূয়া পদ সৃষ্টি করে চাকুরী দেওয়ার নামে রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে ৪৬ হাজার হাতিয়ে নেন। বর্তমানে রেজাউল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী পাওয়ায় উক্ত টাকার দাবিতে প্রতিনিয়ত ঘুরছেন। গত বছর বেনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার হল সুপার থাকা অবস্থায় কর্তব্যে অবহেলার কারনে তিনি সাময়িক বহিস্কার হন তারই কারসাজিতে একই ঘটনায় ওই কেন্দ্রে বাকাইসিদ্ধি নিজ স্কুলের এক ছাত্রও ২ বছরের জন্য বহিস্কার হয়েছে।
স্কুলের সাবেক সভাপতি ও একাধিক সদস্য জানান, তার বিরুদ্ধে উপবৃত্তি ও বিভিন্নখাতে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ছাড়াও প্রশ্নপত্র বিক্রির মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষক আমজাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, সুচতুর প্রধান শিক্ষক ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের নিকট ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উকিল উদ্দিন জানান, শিক্ষকতার অন্তরালে অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকবার তার জন্য স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়েছে। ইতিমধ্যে দৈনিক ইনকিলাব, মাথাভাঙ্গা, নবচিত্র, লোকসমাজসহ, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্র-পত্রিকায় তথ্যবহুল অভিনব জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ফলে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও যশোর শিক্ষাবোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকাশিত সংবাদটি তার দৃষ্টি গোচর হয়েছে এবং বাকাইসিদ্ধি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির নিকট চাকুরী বাঁচাতে প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘুরছেন। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে সত্বর স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্রমেই সোচ্চার হয়ে উঠছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।