১৯২২ সালের ১লা নভেম্বর । সুলতান ষষ্ঠ মাহমুদকে সরিয়ে
ক্ষমতা আসলেন কুখ্যাত কামাল পাশা । সুন্দর সুন্দর বুলি
দিয়ে তার পিপলস পার্টি ক্ষমতা আসলেন । যদিও সে আগে
রাষ্ট্রপতির পদ বাগিয়ে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র করে সব ক্ষমতা নিয়ে
নিলেন । কামাল পাশা ক্ষমতা আসার আগ পর্যন্ত তুরুস্ক ছিল
ইসলামিক রাষ্ট্র ।
রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও সামাজিক জীবন ব্যবস্থা
চলতো ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী । কামাল পাশা সব ক্ষমতা
সংবিধানে নিজের হাতে নেয়ার পর বের হল তার আসল চেহারা
। প্রথমে কামাল ক্ষমতা বলে সংবিধান থেকে ইসলামকে মুছে
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষনা করলেন। মুসলিম জনতা তেমন
প্রতিক্রয়া হল না । কিন্তু আলেম ওলামা প্রচন্ড বিক্ষোভে ফেটে
পড়লেন ।
কারন, আলেম ওলামারা বুজতে পেরে ছিল এ এক
ষড়যন্ত্র। কামাল পাশা আলেমদের সাথে আলোচনা করে, বিভিন্ন
ভয়ভীতি , লোভ দেখিয়ে সমঝোতা করতে চাইলেন। কিন্তু
আলেম ওলামাদের কোন মতে ঠান্ডা করা গেল না । তারপর
প্রচন্ড নির্মম ভাবে দমন করা হল আলেম ওলামাদের । দেশের
অধিকাংশ জনতা বিরোধীতার পরও কামাল পাশা তুরুস্ককে ধর্ম
নিরপেক্ষতা রেখে দিলেন ।
তারপর শুরু হল ধর্ম নিরপেক্ষতার
নামে ইসলাম দমন । ইসলামের বিয়ে করার নিয়ম ভেঙ্গে
করলেন চালু করলেন রেজিস্ট্রি বিয়ে । মেয়েদের হিজাবের
উপর আসলো নিষেজ্ঞা । ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে
বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা করার নামে নাস্তিকতা শিক্ষা দেয়া
হতে লাগলো । মাইকে আজান নিষিদ্ধ হল ।
গোল টুপির
পশ্চিমা টুপি দিতে বাধ্য করা হল । আরবি ভাষা নিষিদ্ধের নামে
কুরআনকে নিষিদ্ধ করা হল । সামরিক বাহীনিতে তার সমমনা
দের উচ্চ পদস্থ করে বাহীনি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিল। ইসলামকে
দমনের জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাকে ব্যবহার করলো সুচতুর ভাবে ।
এবার আসুন দেখি, কোন পথে হাটছে বাংলাদেশ ।
সংবিধানে
বিসমিল্লাহ না উঠালেও উটানোর যে চেষ্টা হয়নি তা নই ।
আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে যে মহাভারত অশুদ্ধ
হয়ে যাবে তাও নই । রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম থাকলে সবাই যে হিন্দু
যে মুসলিম হয়ে যাবে তাও নই । এটাই হল প্রথম পদক্ষেপ
ইসলামকে মুছে ফেলার মিশনের প্রথম পদক্ষেপ । কি কি হল
দেখুন , বিভিন্ন প্রতিষ্টানে পর্দা এলার্জি ।
মেয়েরা পর্দা পড়ে
আসতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি । তারপর হাইকোর্টের রায়
কাউকে পর্দা করানো যাবে না । শিক্ষা নীতিতে ধর্মীয় শিক্ষাকে
কোথায় নেয়া হচ্ছে তা একটু গত কয়েক মাসের পর্যালোচনা
থেকে বুঝা যায় । প্রথমে ধর্মীয় শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করার চেষ্টা ।
তারপর তা না পেরে নাম দেয়া হল ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ।
যদিও সেখানে ইসলামের কয়টি অধ্যায় আছে দেখার বিষয় ।
আগামী কয়েক বছর থাকলে প্রথমটা বাদ দিয়ে হবে শুধু
নৈতিক শিক্ষা । মন্ত্রীদের মাদ্রাসা বিরুদ্ধে যেভাবে বিষেদগার
করেছেন তা ভুলার নই । চবি, ঢাবি, জাবি , এই সব
বিশ্ববিদ্যালয়ে যত ছাত্র মারা গেছে সংঘর্ষে তার সিকি ভাগ
হয়নি কওমী মাদরাসা গুলোই । জেএমবি যে কার্যক্রম তার
প্রধান বাংলাভাই ছিলেন রাবি বাংলা বিভাগের প্রভাষক ।
তবুও মাদরাসাকে জঙ্গীর কারখানা বলে তাদের মনে আসল অভিসন্ধি প্রকাশ করেছেন। তা আপনি সুস্থ্য মস্তিকের হলে বুজতে পারবেন। গনতন্ত্রে সবার অধিকার থাকলেও ধর্মীয় রাজনীতি নিয়ে এলার্জি আমরা দেখতে পাই কথিপয় ধর্মনিরপেক্ষার ধ্বজারী থেকে । শাহবাগের প্রথম দিকে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের দাবি আর মাদরাসা এর বিরুদ্ধে বিষেদগার মূলক ব্যক্তবের ভিডিও ফুটেস গুলো খুব যন্তসহকারে রেখেছি ।
সর্বশেষে, মনে রাখবেন সব করা ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ।
আসলে তারা ধর্মনিরপেক্ষ না তারা এর নামে ইসলাম বিদ্বেসীর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সংবিধান শুরু করতে চায়। যেমনটি করে ছিল কামাল পাশা তুরুস্কে দেশের ৯০ ভাগ মানুষের বিপক্ষে গিয়েও । এরা(বাম সমাজতন্ত্রীরা) শুধু ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে পারলে ই তা শুরু করে দিবে । এতে কোন সন্দেহ নেই । তাই সাধু , সময় থাকতে সাবধান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।