আপাতত লিখার কিছু নাই.....ভাবছি কি লিখব... বিভিন্ন কারনে মনের উপর পড়তে পারে। আচ্ছা মনের উপর চাপ মাপবার কোন স্কেল আছে কি? ঠিক আছে, আমরা নিজেরাই একটা স্কেল বানিয়ে নিই।
ধরুন মিঃ এবিসি একজন সজ্জন মানুষ, বিশিষ্ট ভদ্রলোক। স্ত্রী আর তিন সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। নিজে ধার্মিক মানুষ।
কারো সাত পাচে নাই তবে বিপদগ্রস্ত মানুষ কে সাহায্য করবার জন্য তৈরী সর্বদাই। এক স্বাভাবিক কর্ম দিবসে তার মনের উপর চাপ শুণ্য।
তিনি একদিন গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিজন রাস্তা, জন মানব নাই এরকম রাস্তার ধারে এক মেয়ে সাহায্যের জন্য হাত তুলল। তার মনের উপর চাপ পড়া শুরু করল, আহারে, বিপদগ্রস্ত মহিলা, বিরাণ অঞ্চল, তাকে তো অবশ্যই সাহায্য করা দরকার।
মনের উপর চাপ মাত্রা ঃ ১০।
মেয়েটিকে তিনি উঠিয়ে নিলেন। মেয়েটি জানালো সে অসুস্থ, তাকে যেন তিনি হাস্পাতালে নেন। ভদ্রলোক তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন। মেয়েটি ডাক্তার কে বলল , সে গর্ভবতী এবং এবোরশন করাতে এসেছে।
সাথের এই ভদ্রলোক তার বয়ফ্রেন্ড।
আচ্ছা, ভদ্রলোকের মনের উপর এখন চাপ কত? ধরা যাক, যদি এটা কোন অজানা শহর হয় তাহলে ৩০ আর যদি এটা তার নিজের শহর হয় তাহলে ৫০।
ভদ্রলোক এবার প্রোটেস্ট করলেন, এই মহিলার গর্ভের বাচ্চার কোন দায় দায়িত্ব তার নয়। প্রয়োজনে তিনি ডিএনএ টেস্ট করাতে রাজী। যাবতীয় টেস্ট শেষে ডাক্তার বলেলেন এই বাচ্চার ভদ্রলোকের নয়।
ভদ্রলোকের মনের চাপ এবার নেমে আসল আবার শুণ্য তে। শুধু তাই নয়, ডাক্তার তাকে বললেন আসলে ভদ্রলোকের বাবা হবার কোন সম্ভবনা নেই এবং তার এই অসম্পুর্ণতা জন্মগত!
এবার ভদ্রলোক ভাবলেন তার অতি বিশ্বাসী স্ত্রীর গর্ভে তার তিন টি সন্তান আছে!!! অথচ জন্মগত ভাবেই তিনি বাবা হবার অনুপযুক্ত!!!
এবার তার মনের চাপ মাত্রা ১০০!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।