দুঃখের জল,করে ছল-ছল... খুব সামান্য কারণে কিংবা অকারনেই তার-আমার দীর্ঘ ৬বছরের সম্পর্কটা এক নিমিষে ভেঙ্গে গেল। সে জানিয়ে দিলো, তার পক্ষে আর আমার সাথে একসাথে চলা সম্ভব না... আর আমিও অতি আশ্চর্যজনকভাবে নীরবে তা মেনে নিলাম।
এখন সে জিগাতলা আর আমি গাজীপুরে ,দু’জন আলাদা। যদিও কোনদিনই আমাদের একসাথে থাকা হয়নি,তাতে কি!মন কি আর দূরের নিয়ম মেনে চলে?
ক’দিন পেরিয়ে গেছে। আমি অফিস করছি,নামায পরছি,রোজা রাখছি,ইফতার-তারাবি-সেহেরি-সব নিয়মমতো চলছে।
বাহ!আমি ত এখন বেঁচে আছি। ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর । তার কথা ভুলিয়ে দেবার এটাই মোক্ষম উপায়।
অথচ,এই কিছু দিন আগেও ঝগড়া বা অভিমান,কথা-কাটাকাটি, মান-অভিমান হলে আমার খাওয়া –দাওয়া, সব কাজ মাথায় উঠত। লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতাম।
তাকে অনবরত ফোন করতাম, কেঁদেকেটে সর্যিড় বলে মাফ চেয়ে সব কিছু আগের মত স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতাম।
সে মিষ্টি করে হেসে বলত,তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দাও। আর দিওনা।
আমি বন্ধুহী্ন,হয়ত কেউ বিশ্বাস করবেনা। তাই কারণে অকারনে তাকে ফোন করতাম, না রিসিভ করতে পারলে রাগ করতাম, জেদ দেখাতাম,দেখা করতে বললে নানা সমস্যায় দেখা করতে চাইতনা।
তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিল মাস দুয়েক আগে,১০ মিনিটের জন্য।
আমার উপর তার অনেক অভিযোগ , ভালোবাসার হাজারো প্রমান, সততা দেখিয়েও তাকে বিশ্বাস করাতে পারিনি। এতসব অভিযোগে ভেতরে ভেতরে হাপিয়ে উঠেছিলাম ।
আমার প্রতি তার প্রতিনিয়ত অবহেলা, অকারণ মিথ্যা অভিযোগ এসব কারণে তার প্রতি আমার ভালবাসার পারদ দিনকে দিন কমে যাচ্ছিল । আমি তবু চেষ্টা করে গেছি।
তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, বোঝার সময় দিয়েছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা।
সে আমাকে কষ্ট দিয়ে “শিক্ষা” দিতে চাইছে। সে ভেবেছে, আমি আবারও তার কাছে ফিরে যাব ।
না,যাবনা।
স্বীকার করছি, তার জন্য আমার অনেক কষ্ট হবে,তবুও না।
আমার বুকের ভেতর টা এখন একদম শুন্য। কেবল-ই হাহাকার।
আমি আমার নিজের মনকে প্রবোধ দেই, আমি আর তোমাকে ভালবাসিনা...
শুনে আমার নিজের-ই বিশ্বাস হয়না...
আমি জানি,সে একদিন আমার কাছে ফিরে আসবে,ফিরে তাকে আসতেই হবে। তবু তার জেদি স্বভাবের কারণে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।
তবু আশা করতে দোষ কি!
যদি সে আমার কাছে ফিরে আসে,আমি কি পারবো এত কিছুর পরও তাকে আগের মত সেই অকৃত্তিমভাবে ভালবাসতে?
এর উত্তর আমি জানি না,সত্যিই জানিনা...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।