প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের জীবদ্দশায় আমি তাকে নিয়ে যত স্ট্যাটাস দিয়েছি,এমন বোধ করি আর কেউ দেয়নি!সবগুলো একসাথে করলে বিশাল এক হুমায়ূন-নামা হয়ে যাবে সন্দেহ নাই!তার ভালোকে ভালো বলেছি,মন্দকে মন্দ বলেছি!তিনি একজন মানুষ হিসেবে নিশ্চয় ভুল ভ্রান্তির উর্ধে নন!একজন মৃত মানুষের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে তার জন্য পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া চাওয়া উচিৎ।তার মৃত্যুর পর এই কাজটি আমি করেছি!এতেও অনেকে বেজার!আমি নাকি তার মৃত্যুর পর ভোল পালটে ভালো ভালো কথা বলছি!আরে,তিনি বেঁচে থাকলে না হয় ভোল পালটে ভালো কথা বললে আমার কিছু লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।মৃত্যুর পর তার ভালো বললেই কী লাভ আর মন্দ বললেই কী বা আসে যায় তার? মাঝে মাঝে তো তার গুণ গাইলেও দেখেছি সেটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে একটা বিরাট ক্যাচাল বাঁধিয়ে আমাকে হেনস্থা করার চেষ্টায় রত হয়েছে কেউ কেউ!যেমন,একটা স্ট্যটাসে লিখেছিলাম,‘যার কাঁচা হাতের ‘নন্দিত নরকে’,শঙ্খনীল কারাগার’ আমাদের আবেগাপ্লুত করেছিলো,মন্টুর মৃত্যুতে আমাদের চোখ ভিজে গিয়েছিলো,সেই তিনি যখন পরিণত হাতে লেখেন,‘শুভ্র এখন বনে’ তখন বিস্মিত হই বৈকি?যখন সবাই ভাবেন,হুমায়ূন শেষ,তখুনি তিনি ‘মধ্যাহ্ণ’ আর ‘বাদশাহ নামদার’ দিয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি আছেন আগেরই মতন!’ এই স্ট্যাটাসে হুমায়ূন বন্দনাই করা হয়েছে,অথচ কতিপয় লোক এ নিয়েও ঝামেলা করতে বাকি রাখেন নি!তারা বোধহয় খুশি হতেন,হুমায়ূনের মুত্যুতে আমি সাথে সাথে যদি লিখতাম,‘ব্যাটা মরসে ভালো হইসে!আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর!খোদা মানুষের কৃতকর্মের বিচার পৃথিবীতেই করে ফেলেন!শাওনের উচিৎ শাস্তি হইসে!’কিন্তু আফসোস,তাদের নিরাশ হতে হয়েছে!আমাকে তারা একহাত বা একশ হাত দেখে নিতে পারলেন না!এই স্ট্যাটাস কি শোভন হতো?শোভন না হলেও কতিপয় মানুষের আক্রমনের হাতিয়ার তো হতে পারতো!আহা তাদের আশায় ছাই পড়লো বলেই হয়তো তারা আমার হুমায়ূনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি মেনে নিতে পারছেন না!এখানেও তারা আমাকে আক্রমন করতে ছাড়ছেন না!হায় রে ,কী বিচিত্র এই কতিপয় বাঙালি মানব সন্তান!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।