সদ্য প্রয়াত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার-চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের দাফন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিবাদ অবসানে পর্দার অন্তরাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তার প্রথম স্ত্রী, দীর্ঘদিনের জীবন সঙ্গিনী গুলতেকিন খান। নিজের ছেলে মেয়েদের তিনি বাধ্য করেছিলেন হুমায়ূনের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওনের দাবি মেনে নিয়ে বিবাদের অবসান ঘটাতে। খবর বাংলানিউজের।
হুমায়ূনের মৃতদেহ নিউইয়র্ক থেকে দেশে আনার পর দাফন নিয়ে তার প্রথম পক্ষের চার সন্তান ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শাওনের রশি টানাটানি শুরু হয়। হুমায়ূনের সন্তানেরা চান, দাফন ঢাকার মধ্যেই হোক।
কিন্তু শাওন গোঁ ধরে বসে থাকেন নুহাশ পল্লীতে দাফনের ব্যাপারে। এ নিয়ে তিনি পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে লবিংও শুরু করেন। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে প্রচার মাধ্যমের আলো থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন গুলতেকিন খান। কিন্তু প্রয়াত প্রাক্তন স্বামীর মৃতদেহ দাফনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দু’পক্ষের অনড় অবস্থানে তাকে বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
গুলতেকিনই এগিয়ে আসেন নিজের সন্তানদের বোঝাতে।
এ সময় তিনি সন্তানদের বলেন, “তোমাদের বাবাকে বারডেমের মর্গে ফেলে রেখো না। আর দেরি না করে তাকে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করো। ”
এভাবেই তিনি ছেলেমেয়েদের নির্দেশ দেন শাওনের দাবি মেনে নিতে।
এদিকে হুমায়ূন ঘনিষ্ঠ অন্যান্য সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, ক্যান্সারের অস্ত্রোপচারের আগে গুলতেকিনের কাছে ক্ষমা চান হুমায়ূন আহমেদ। তিনি টেলিফোনে গুলতেকিনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন বলেও জানা গেছে।
কন্যা বিপাশার মাধ্যমে গুলতেকিনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সে সময় গুলতেকিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।
সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, অসুস্থ হুমায়ূন আহমেদের কাছাকাছি থেকে তার ক্যান্সার চিকিৎসায় মানসিক শক্তি যোগাতেই যুক্তরাষ্ট্র ছুটে গিয়েছিলেন গুলতেকিন। তবে তাদের দু’জনের এ যোগাযোগ কোনো কোনো পক্ষ ভালো চোখে দেখেনি বলেই জানিয়েছে সূত্র।
সূত্র: দৈনিক আজাদী - ২৮/০৭/২০১২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।