সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আমাদের বাড়ির পুকুরে গেলাম হাতমুখ ধুতে, হঠাৎ করে চোখ গেলো পুকুরের পাশে আম্বুল ( জামরুল) গাছের দিকে, দেখি থোকায় থোকায় সাদা সাদা বড় আম্বুল ঝুলে আছে আমি গাছে উঠে খেতে শুরু করলাম, মোটা মুটি পেটচুক্তি খাওয়ার পর রাস্তা ( বাসার পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে ) থেকে একজন ডাক দিলো কিরে রোজা রাখস ন্ইা তখন আমার খেয়াল হলো আরে আমি তো রোজা ........ওহ তখন কি করবো বমি করবো নাকি অন্য কিছু ? ওহ সেকি ছেরা ব্যারা অবস্থা আমাদের এলাকায় রমজান শুরুর দিন আগের দিন বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা নিয়ে মিছিল বের হতো, মাগরিবের নামাজ শেষে চাদ দেখেই মিছিল শুরু হতো, আহলান সাহলান, হে মাহে রমজান, রমজানের পবিত্রতা রক্ষ কর করতে হবে। আমার মিছিল করতে অনেক ভালো লাগতো। এখনো লাগে কিন্তু সুযোগ তো পাই না। যাহোক মিছিলে আমি থাকতাম সব সময়। বয়সের প্রথম দিকে মিছিলে অংশ গ্রহন, পরের দিকে মিছিলে স্লোগানও দিতাম । মিছিল সারা শহর ঘুরপাক খেতো...........মিছিল শেষে আমাদের সিঙগারা দেয়া হতো ....... ধারুন অনুভুতি .......অনেক মিস করি সেদিনের দিনগুলি ............২০০৩ সালের রমজান মাসে মনে হয় আফগানিস্তান আক্রমন হয...হঠাত করেই ভোর রাতে সেহরীর সময় শুনি মিছিল .........আমরা সবাই তালেবান, মুক্ত করবো আফগান........... সেহরী সময় আমি একটু আগেই উঠতাম, অবশ্য মা আমার আগেই উঠে তরকারি গরম করতেন, যা হোক আগে উঠে হাতে ব্রাশ টা হাতে নিয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলা পরিষদের মসজিদে চলে যেতাম মুয়াজ্জিন কে বিভিন্ন ইসলামী সংগীতের ক্যাসেট দিতাম তিনি মাইকে বাজাতেন ...............কিছুক্ষন পর পর বলতেন সেহরী খাওয়ার সময় হয়েছে,আপনার জাগুন আর মাত্র ... মিনিটি বাকি আছে । এখন এই ইটের শহর ঢাকায় এসে সেই দিন গুলি বড় মনে পড়ে যায়...প্রতিদিন সেহরী সময় একটা গান শুনতাম বাসার পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিনের কন্ঠে.......মাহে রমজান এলো বছর ঘুরে, মোমিন মুসলমানের ধারে ধারে, আহ এই গানটা শুনতে পারতাম....এলাকায় যখন থাকতাম তখন এই গান ছাড়া সেহরী খাওয়ো হতো না, এখনকার আবাস উত্তরা .........বড়ো হতাশ করে দেয় নিজেকে না শুনি গান না পাই আত্মার শান্তি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।