বৃষ্টিতে ভিজতে পছন্দ করি রোজা পালন করতে গিয়ে অনেকে শঙ্কিত বোধ করেন, যদি তাঁদের কোনো অসুস্থতা থাকে। তবে যদি রোগ বুঝে খাওয়া হয়, তাহলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আবার যাঁদের কোনো অসুস্থতা নেই, তাঁরাও যদি সঠিকভাবে খাদ্য নির্বাচন করে খান, তাহলেও তাঁরা নির্বিঘ্নে এক মাস রোজা রাখতে পারেন। রোজার সময় সাধারণত তিনবার খাবার খাওয়া হয়—ইফতার, সন্ধ্যা রাতে ও সেহরিতে। সারা দিন রোজা রাখার পর রকমারি ইফতারের লোভ সংবরণ করা সত্যিই কষ্টকর হয়।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন, অন্যান্য দিনে যাঁর যতটুকু এবং যেভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত, রোজার দিনেও সেটি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে নিষিদ্ধ খাবারগুলো পরিহার করে রোজা রাখলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। অথচ দেখা যায়, একজন লোকের সারা দিনে যতটুকু ক্যালোরি প্রয়োজন, শুধু ইফতারিতে এর পুরোটাই খাওয়া হয়ে যায়। কারণ ইফতারের উপাদানগুলো সবই ক্যালোরিবহুল।
যেমন: ২৫ গ্রাম ছোলা ভাজা ৯২ ক্যালোরি, পেঁয়াজু দুটি ১০০ ক্যালোরি, এক কাপ হালিম ২০০ ক্যালোরি, ১০০ গ্রামের একটি কাবাব ১৭০ ক্যালোরি, জিলাপি একটি বড় ২০৩ ক্যালোরি, এক গ্লাস শরবত ৮০-১০০ ক্যালোরি, এক কাপ মুড়ি ৬০ ক্যালোরি ও দুটি খেজুর ১৪৪ ক্যালোরি।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, শুধু ইফতারি থেকেই আমরা ১০০০ থেকে ১২০০ ক্যালোরি গ্রহণ করে থাকি।
সারা দিন পর এত ক্যালোরিবহুল খাবার ওজন বাড়ানো ছাড়াও পেটের গোলমাল সৃষ্টি করতে পারে। সে জন্য ইফতারি হওয়া উচিত হালকা ও সহজপাচ্য। কারণ ইফতারের আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর রাতের খাবার খাওয়া হয়। অনেকের অভিমত, ইফতারি বেশি করে খেয়ে সন্ধ্যা রাতের আহার না করাই ভালো।
তবে এ ধারণা ঠিক নয়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, ডায়াবেটিস থাকলে হাইপোগ্রাইসেমিয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ এতে ইফতারের প্রায় ১০-১১ ঘণ্টা পরে পরবর্তী খাবার খাওয়া হয়। তারপর সারা দিন উপবাস।
এতে দেহে ক্লান্তি আসে, অলসতা আসে। আবার অনেকে ইফতারের পর বেশি রাতে আহার করেন এবং সেহরিতে একেবারেই ওঠেন না। উঠলেও শুধু পানি পান করে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। এটা ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি উভয় মতেই ঠিক নয়। সুতরাং তিন বেলায়ই খেতে হবে।
তবে তা হতে হবে পরিমিত ও সহজপাচ্য
আজ এ পর্যন্তই থাকলো। পরে আবার দেখা হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।