আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোজার অজুহাতে..



রমজানের অজুহাতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন ফাঁকিবাজরা। সুবিধাবাদিরা। এই বাংলাদেশ এই উল্টো রাজার দেশে সংযমও হচ্ছে অন্যরকম। অপকর্মের সংযম না করে আমরা করছি কর্মের সংযম। যেমন এ মাসে অফিসে শোনা যাবে... # রোজার মাসে এতো কাজ নিয়ে আসেন কেন? # স্যার.. বাসায় গিয়ে ইফতার করবো তো একটু সকাল সকাল যেতে চাই।

রোজাদার নন এমন লোকদেরই এ চরিত্রে বেশি দেখা যায়। রোজা না কর‍ার অজুহাতের তো কোন সীমা পরিসীমা নেই এদের কাছে। # সেহরী খেয়ে নামাজ পড়ে একটু ঘুমিয়ে গিয়েছিলামতো তাই অফিসে আসতে দেরী হয়েছে স্যার। # ফাইলটি আজ আর দেখতে পারবো না... জোহরের নামাজের টাইম হয়ে এসেছে। নামাজ আদায় করে আবার প্রস্তুতি নিতে হবে আসরের নামাজের।

তাছাড়া আজ রোজাটা একটু ধরে গেছে শরীরটা ভাল লাগছে না। তাছাড়া বিকেলের আগেই বের না হতে পারলে যানজটে আর ইফতারের আগে বাসায় ফিরতে পারবো না। এরকমের ফাঁকিবাজি করবেন না। তাহলে রমজান ফজিলত হয়ে আসবে না আপনার জীবনে। কর্ম হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবাদত.. আরেকটি এবাদত এর জন্য অজুহাত হতে পারে না।

অনেকেই আবার ভাল(ভারী)ইফতারী না পেয়ে অফিসের বসদের বকাবকি করে থাকেন। কয়েক পদের খাবার না হলে সেহরী খাওয়া হয়না যাদের.. তারাও কি রোজা করছেন? রোজার উদ্দেশ্য ভুলে যাবেন না। এর নাম সিয়াম সাধনা। সংযম। ধর্মের সাথে উৎসবের যোগসূত্র আছে এ কথা মেনে নিয়েই বলছি শুধু উৎসবের আনন্দে ভাসলেই কি হয়ে যায় ধর্ম পালন।

ঈদ উৎসবের মনে করলেও আমি রোজাকে তা মনে করি না। দল বেধে উৎসবে পেট পুরে ইফতার(ভুরিভোজ) করা, দল বেধে খতম তারাবি পড়তে একত্রিত হওয়া ‍অথচ সকালেই ফজরের নামাজ কাজা করা, মাসধরে রোজা করে চাঁদরাতে মদ খেয়ে বুদ হয়ে রাতভর উৎসব আমেজে অকাজ করে বেড়ানো আর যাই হোক এবাদতের অংশ হতে পারে না। রোজা ও ঈদকে উপলক্ষ্য করে আরো অনেকেই করছেন ব্যবসা। ঠকাচ্ছেণ মানুষ। এদের সবাইকে আসুন ঘৃনা করি, প্রতিরোধ করি।

(চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।