কোন কোন সময় আমি একা হয়ে যাই হুমায়ূন আহমেদের চিরবিদায়ে সবাই ছিলেন, শুধু ছিলেন না তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন। হুমায়ূন আহমেদ হয়ে ওঠার পেছনে যার অবদান অনেক। ভালোবাসার ঋণ যার কাছে অনেক, এক মারাত্মক অভিমান নিয়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। কেন তাদের এ মান-অভিমান? সে ইতিহাস সবারই জানা। শাওনের প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করায় সব ওলটপালট হয়ে যায়।
৩০ বছরের সংসারে ভয়ঙ্কর ঝড় এসে আছড়ে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যান দুজন। তাকে ফেরানো গেল না কিছুতেই। অভিমান হুমায়ূন আহমেদেরও কম ছিল না। তিনিও শেকল ভেঙে বেরোতে পারেননি।
ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ২০০৩ সালে স্থায়ীভাবে ছাড়াছাড়ি। ১৯৭৩ সালের সুখের পায়রাটা চিরদিনের মতো উড়ে যায় ২০০৩ সালে। সেই যে সুখপাখিটা উড়ে গেল আর ফিরে এল না তাদের জীবনে। সে সুযোগও আর নেই।
হুমায়ূন আহমেদের জন্য মানুষের যে কান্না শুরু হয়েছে আজ সে কান্না চলতেই থাকবে। তিনি কি কবরে শুয়ে তা শুনতে পাবেন? দেখতে কি পাবেন গোপনে গুলতেকিন তার জন্য অঝোর ধারায় কাঁদছেন! হয়তো শুনবেন কিংবা দেখবেন। নাকি চারদিকের এত কান্নার রোল পুঁজি করে কবরে শুয়ে তিনি শুধুই হাসবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।