রাজনীতি বুঝিনা। বাঁকা পথে চলিনা । গন্তব্য ওই তো কিছুদূর সামনেই টাকা দরকার তাই প্রাইভেট বা কোচিং এ মাস্টারি টা অঘোষিত পেশা হিসাবে নিছি । গত কয়েক বছর থেকে চলছে এইটা , ভালই চলছিল সব। বাসায় গিয়া পড়াই তবে মেয়েদের না, কারন ভেতর থেকে মনে টানে না ।
পড়াইতে গিয়া যে আপত্তিকর অভ্যাস ছিল আজ তার কিছুই নাই। পুরা সফেদ মানুষ হইয়া গেছি । এখন একটা মেয়ে কে দেখলে কোন মন্তব্য তো আসেই না বরং দায়িত্ব শীলতার পরিচয় দেই। আল্লাহ্ কে অশেষ ধন্যবাদ তিনি আমাকে রক্ষা করেছেন। কোচিং এ পড়াইতে গিয়া অহরহ আমি মিথ্যা কথা বলে যাইতাছে আর টা হল " আমি বিবাহিত"
এর কারন আছে তা হল ' ৮ ম - ইন্টার পর্যন্ত আমার ৪ টা ক্লাস নিতে হয় ।
এই ক্লাস গুলাতে অনেক মেয়ে আছে যারা আমারে কিছু বলতে চায় , তাদের মোভমেণ্ট ভালো ! তবে আমি শিক্ষক হিসাবে আমার কাছে আপত্তি জনক । এমন তাই তো আমি বুঝি । বিভিন্ন সময় তাদের মাঝে কেঊ কেঊ আমার খোজ খবর বেশী নিতে চেষ্টা করে । সবই বুঝি কী আর বলি ,একা একাই হাসি ।
বিষয় টা একসময় আমার কাছে বিরক্ত লাগছিলো , এর থেকে রক্ষা পাওয়া দরকার , টা না হলে আমার এই অঘোষিত পেশা টা ছেড়ে দিতে হবে ।
আর ছেড়ে দিলে মোটামুটি অর্থ কষ্টে ভুগতে হবে। আর ওরা যা চায় তা আমারে দিয়া হবে না।
শিক্ষক হউয়ার কোন ইচ্ছাই আমার নাই , কিন্তু এই পেশার প্রতি আছে অগাধ সন্মান আর স্রধা ।
কিভাবে এই অবস্থা থেকে বার হউয়া যায় ভাবা শুরু করলা__
একদিন মাথায় বুদ্ধি আসল আমি যদি যাইয়া কই যে আমি বিয়া করছি তাইলে শেষ রক্ষা হতে পারে , যা ভাবা তাই কাজ। ।
ক্লাস এ গিয়া গল্প শুরু কোড়লাম এক ফাঁকে কইলাম বিয়া করে বিপদে পড়ছি ,না কোড়াঈ ভালো ছিল । প্রথমে কেঊ বিশ্বাস কোড়টে চাইলো না। এমন ভাবে উপস্থাপন করলাম সবাই মেনে নিলো । এক বছর হল আর সমস্যা নাই। সবাই জানে আমি বিবাহিত ওরা এখন মাঝে মাঝে ভাবীর খোজ নেয় আর আমি অবলীলায় মিথ্যা বর্ণনা দিয়া যাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।